সেন্ট ভিনসেন্টে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ৭ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ২০ ওভারে তোলে ১৪৭ রান। ক্যারিবিয়ানদের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইন আপের সামনে এই রান খুব বড় চ্যালেঞ্জ হওয়ার কথা নয়। তবে বাংলাদেশের বোলাররা দমে যাননি। শেখ মেহেদি, তাসকিনদের দারুণ বোলিংয়ে ৬১ রানে ৭ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রভম্যান পাওয়েল (৩৫ বলে ৬০) পরে ম্যাচ জমিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত বোলাররা দারুণ পারফরম্যান্সে জয় এনে দেন বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের এই জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শেখ মেহেদী হাসান। ব্যাট হাতে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলার পর বল হাতে দেখান ক্যারিয়ার সেরা নৈপুণ্য। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে শিকার করেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার পাশাপাশি দারুণ বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ এবং হাসান মাহমুদ। ম্যাচের শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করে জয়ের কাজটি সম্পন্ন করেন হাসান।
এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন সৌম্য সরকার। তার ৩২ বলে গড়া এই ইনিংস দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায়। এছাড়া, জাকের আলি অনিক ২৭ বলে ২৭ রান করেন। তবে, শামীম হোসেন পাটোয়ারির ইনিংসটি ছিল ম্যাচের গতি বদলে দেওয়া। মাত্র ১৩ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘আমরা এর আগেও এখানে খেলেছি। তবে উইকেট দেখে মনে হয়েছিল এটি ভালো ব্যাটিং পিচ হবে, কিন্তু পিচ ঠিক আমার ধারণা অনুযায়ী আচরণ করেনি। যখন আমরা ব্যাটিং করি, তখন মনে হয়েছে এটি তেমন ভালো পিচ নয়। আমরা ভেবেছিলাম, ১৫০-১৬০ রান একটি ভালো স্কোর হবে।’
বোলারদের প্রশংসা করে লিটন আরও বলেন, ‘আমি আমার বোলারদের ওপর ভরসা করেছিলাম। আমরা জানতাম, আমাদের বোলারদের নিয়েই এই স্কোরে লড়াই করা সম্ভব। আমি চাই আমার দল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলুক। খেলোয়াড়েরা তাদের দক্ষতা দেখাচ্ছে এবং এই মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে।’
সিরিজ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী লিটন বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ সফর। ভালো শুরু হয়েছে (প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ে)। আমাদের আরেকটি ম্যাচ জিততে হবে, আর সেটি জিততে হলে আমাদের ভালো খেলতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ