এক সময়ের রেকর্ড দামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছরে প্রত্যাশার অনেক নিচে পারফরম্যান্স, কোচের আস্থার অভাব, আর নিজেকে খুঁজে না পাওয়ার হতাশা—সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কান্না চোখে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছাড়লেন ব্রাজিলিয়ান তারকা অ্যান্টনি।
২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেতিসে যোগ দিয়েছেন সোমবার। যদিও নতুন ক্লাবের হয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল আরও আগে, গেল মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধ ধারে খেলেছিলেন বেতিসের জার্সিতে। সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করে এবার স্থায়ীভাবে দলে জায়গা করে নিলেন।
শুরুতে কিছু আইনি জটিলতায় দলবদল আটকে গেলেও শেষ মুহূর্তে সমঝোতায় পৌঁছায় দুই ক্লাব। ইএসপিএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াল বেতিস অ্যান্টনির জন্য ২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি ও ৩ মিলিয়ন ইউরো বোনাস দেবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অ্যান্টনির বিক্রির ওপর ম্যানইউ পাবে ৫০ শতাংশ শেয়ার।
ম্যানইউ ছাড়ার আগে সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগঘন বিদায়ী বার্তা দিয়েছেন অ্যান্টনি। এক পর্যায়ে চোখের পানি আটকাতে পারেননি তিনি। বলেন, “সত্যি বলতে, আমার পরিবার ছাড়া কেউ জানে না সময়টা কতটা কঠিন ছিল। আলাদা করে অনুশীলন করেছি, দলে জায়গা ছিল না। কিন্তু আমি অপেক্ষা করেছি, কারণ বিশ্বাস ছিল এই সুযোগ আসবেই।”
তিনি আরও বলেন, “এই দলবদল শেষ করা সহজ ছিল না। অনেক বাধা ছিল। কিন্তু এখন আমি এখানে, বেতিসে। আমি আবার মাঠে নামার জন্য অপেক্ষা করছি।”
গত মৌসুমে বেতিসের হয়ে ধারে খেলে ২৬ ম্যাচে ৯ গোল করেন অ্যান্টনি। দলকে পৌঁছে দেন ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে। তার এমন পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হয়ে স্থায়ীভাবে দলে ভেড়ায় লা লিগার ক্লাবটি।
২০২২ সালে আয়াক্স থেকে ৯৫ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানইউতে যোগ দেন অ্যান্টনি। ক্লাব ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামী চুক্তি এটি, পল পগবার পরেই। তবে তিন বছরে ৯৬ ম্যাচে মাত্র ১২ গোল করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
শেষ বিদায় জানিয়ে অ্যান্টনি বলেন, “আমি ইউনাইটেডে ভালো অনুভব করেছি, অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এখানেই থাকতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষাও করেছি। তবে এখন আমি খুশি কারণ আমি বেতিসে ফিরেছি।”
বিডি প্রতিদিন/মুসা