পুরো পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। দেশটিতে ইন্টারনেট সচল থাকলেও এর গতি একদম কম থাকায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য।
তবে ইন্টারনেটের গতি কমের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
প্রতিবেদনে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, গতি একদম কম থাকায় গ্রাহকদের ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে কিছু অঞ্চলে মোবাইল ডেটা একদমই ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এছাড়া ইন্টারনেট ব্যাঘাতে নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘিতের পাশাপাশি প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। ই-কমার্স এবং রাইড শেয়ার পরিষেবাসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন ব্যবসা সীমিত হয়ে পড়েছে।
ব্যবহারকারীরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হওয়ারও প্রতিবাদ করেছেন। এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখছেন তারা। নাগরিক সমাজ বলছে, ইন্টারনেট বন্ধের ফলে কেবল যোগাযোগের গুরুতর সমস্যাই তৈরি হচ্ছে না, বরং সরকারের আন্তর্জাতিক খ্যাতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিভ্রাটে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (পিটিএ) কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
জিও নিউজ জানিয়েছে, ডিজিটাল জার্নালিজম নিয়ে শঙ্কার জেরে গতমাসে পাকিস্তানে একটি ফায়ারওয়াল ট্রায়াল দেওয়া হয়। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অ্যাপগুলো চালাতে সমস্যায় পড়েন ব্যবহারকারীরা।
গত মাসে সরকারি কর্মকর্তারা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা বিভিন্ন ধরনের গুজব বা ভুয়া খবর ছড়ানোর সাথে জড়িত তাদের এই কার্যকলাপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই ফায়ারওয়াল ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছে। এটি শেষ হওয়ার পরে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ