মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে বাড়ছে বহুতল ভবন

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীতে বাড়ছে বহুতল ভবন

২০১৩ সালে রাজশাহী নগরীতে মোট ৬০০টি ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে এক তলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত ৫৬৫টি এবং ছয়ের অধিক তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩৫টি। ২০১৪ সালে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৫০২টি। এর মধ্যে ৪৮৬টি এক থেকে পাঁচ তলা এবং ছয়ের অধিক তলা বিশিষ্ট ভবন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩৫টি

রাজশাহী মহানগরীতে পাঁচ বছর আগেও বহুতল ভবন ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে সমানে বেড়েছে বহুতল ভবনের সংখ্যা। এখন বিভাগীয় এ শহরে বহুতল ভবন দাঁড়িয়েছে কয়েক শর বেশি। এর মধ্যে ১০ তলা ও এর অধিক তলা ভবনের সংখ্যা অর্ধশতের বেশি।

নগরায়ণের ফলে হু হু করে বহুতল ভবনের সংখ্যা বাড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না নিয়মনীতি। অভিযোগ আছে, অর্থের বিনিময়ে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অসাধু কর্মকর্তারা বহুতল ভবনের অপরিকল্পিত নকশা অনুমোদন দিচ্ছেন। ফলে বিল্ডিং কোড না মেনেই একের পর এক ভবন গড়ে তুলছেন মালিকরা। ফলে ভবন নির্মাণের কারণে বাড়ছে নিরাপত্তাঝুঁকিও।

রাজশাহী নগরীতে ২০০৯ সাল থেকে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর আগে কেবল ১০ তলা ভবন বলতে ছিল নগরীর সিএন্ডবি মোড় এলাকায় জীবন বীমা করপোরেশনের ভবনটি। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ১০ তলা ভবনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০টির বেশি। নগর ভবন থেকে শুরু করে আশপাশের আরও চারটি এবং সাহেববাজার এলাকায় গড়ে উঠেছে ১০টি, আলুপট্টির মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়, সাগরপাড়া, উপশহর, বর্ণালির মোড়, আমবাগান, তেরোখাদিয়া, সিপাইপাড়া, কাজীহাটা ও পদ্মা আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব ভবন। আর ১০ তলার নিচে এবং পাঁচ তলার ঊর্ধ্বে ভবনের সংখ্যা এখন কয়েক শ।

২০১৩ সালে রাজশাহী নগরীতে মোট ৬০০টি ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে এক তলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত ৫৬৫টি এবং ছয়ের অধিক তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩৫টি। ২০১৪ সালে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৫০২টি। এর মধ্যে ৪৮৬টি এক থেকে পাঁচ তলা এবং ছয়ের অধিক তলা বিশিষ্ট ভবন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩৫টি। ২০১৫ সাল থেকে গত বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৩৫৪টি ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৬টি এক থেকে পাঁচ তলা এবং ছয়ের অধিক তলার ভবন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩৩টি।

রাজশাহীর গৌরহাঙ্গা-সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০০১ সালে। এরপর থেকে ওই সড়কের পাশে গড়ে উঠতে শুরু করেছে বহুতল ভবন।

আরডিএর অথরাইজড কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিয়মের মধ্যে থেকেই ভবনের নকশার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম করা হচ্ছে না। তবে ভবন মালিকরা পরে ভবন করতে গিয়ে হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। আরডিএ সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলাসহ নোটিস করছে।

সর্বশেষ খবর