শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

সময় গেলে সাধন হবে না

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
প্রিন্ট ভার্সন
সময় গেলে সাধন হবে না

সাংবিধানিকভাবে ঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের দৌরাত্ম্য যেভাবে বেড়ে গেছে, তা দেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের অসাম্প্রদায়িক চেতনার সবাই শঙ্কিত। এ ব্যাপারে কদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল বলেছেন, ধর্মান্ধ এবং ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে একটি বিশাল সামাজিক বিপ্লব। কদিন আগে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনও তার লেখনী দিয়েও রুখে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। গত কয়েক দিনে ধর্মান্ধদের তান্ডবের প্রথম প্রমাণটি মিলল এক ধর্মান্ধ পুলিশ কনস্টেবলের অপরাধমূলক এবং অসহনীয় কর্মকান্ড থেকে। তেজগাঁও কলেজের অধ্যাপিকা ড. লতা সমাদ্দারের কপালে টিপের কারণে তার সঙ্গে অপরাধমূলক ব্যবহার করার দায়ে সেই ধর্মান্ধ পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্তের পর সে এই মর্মে এক মিথ্যা দাবি উত্থাপন করেছিল যে সেদিন তার মোটরবাইকের পেছনে তার গর্ভবতী স্ত্রীও ছিল। পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে এই কনস্টেবল এবং তার স্ত্রী এই বানোয়াট কাহিনি ব্যক্ত করে। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ আরও সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, এই কনস্টেবলের মোটরবাইকে পেছনে মোটেও তার স্ত্রী ছিল না, ছিল হলুদ রঙের একটি বাজারের ব্যাগ। আর সেই বাজারের ব্যাগকেই কনস্টেবল নাজমুল এবং তার স্ত্রী এই মর্মে প্রচার করল যে, এটি ছিল নাজমুলের স্ত্রী, যাকে সে ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছিল এবং তার স্ত্রীর পায়ের সঙ্গে লতা সমাদ্দারের ধাক্কা লাগায় কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র। পরে যখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভির ফুটেজগুলো দেখিয়ে নাজমুল তারেক এবং তার স্ত্রীকে পুনরায় জেরা করল, তখন উভয়ই স্বীকার করতে বাধ্য হলো যে, তারা আগের দিন বেমালুম মিথ্যা কথা বলেছে। এখানে দুটি কথা বলতে হয়, প্রথমত পুলিশ কর্তৃপক্ষ যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে আসল ঘটনা নির্ণয় করার জন্য, যার জন্য তারা বহু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে, যার থেকে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, কনস্টেবল নাজমুল তারেক এবং তার স্ত্রী মিথ্যা কথা বলেছে, এ জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ অসংখ্য প্রশংসার দাবিদার। দ্বিতীয় কথাটি হলো- যে পুলিশ সদস্য স্বীকৃতভাবে রাতকে দিন বানানোর মতো মিথ্যা কথা বলল, সে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে পারে কি না? পুলিশকে হতে হবে একান্ত সত্যবাদী এবং ধোয়া তুলসী পাতার মতোই সৎ। অথচ এই ব্যক্তি নিজেই স্বীকার করল যে, সে আগের দিন মিথ্যা কথা বলেছে। শুধু তাই নয়, এটাও পরিষ্কার যে, সে তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ষড়যন্ত্রমূলক কাহিনি রচনা করেছে। এমন মিথ্যাবাদী এবং ষড়যন্ত্রকারী লোক পুলিশ বাহিনীতে থাকলে জনগণ নিরাপদ কি না, সেটিও বিবেচনার বিষয়। যে পুলিশ বাজারের ব্যাগকে স্ত্রী বানাতে পারে, সে কি না করতে পারে? তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ড. সমাদ্দার করেছেন, তা তো বিবেচনায় আনতেই হবে, এর পরেও তার এই স্বীকৃত মিথ্যাচারের কথাটিও ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া সে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে হেলমেট ব্যবহার না করেই বাইক চালাচ্ছিল এবং রাস্তার উল্টো পথে বাইক চালাচ্ছিল, যে দুটিই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে পুলিশের টুপিও পরেনি। কতগুলো ধর্মান্ধ ইউটিউব চ্যানেল, টিকটকার এই স্বীকৃত মিথ্যাচারীর প্রবঞ্চনাকর বক্তব্যকে পুঁজি করে এ মর্মে প্রচারণা চালাচ্ছে যে, একটি সাধারণ ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে। তারা নিশ্চয় জানে এটি মোটেও সাধারণ ঘটনা নয়, এ দেশের ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, এ ঘটনা তারই একটি অংশ মাত্র। তারা বাঙালি পরিচয় মুছে ফেলতে এবং দেশকে পাকিস্তান-তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। কপালে টিপ পরা বাঙালি মহিলাদের সংস্কৃতির অংশ। অতীতে আমার দাদি-নানিরা এটি পরতেন, আমার স্ত্রীও পরতেন। এখন আমার সব নিকটাত্মীয়ই কপালে টিপ দিয়ে থাকেন, যার জন্য আমি গর্বিত কেননা তারা বাঙালি ঐতিহ্য লালন করছেন।

আরেকটি ঘটনা হলো- মুন্সীগঞ্জের একটি স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মন্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধর্ম অবমাননার মামলা করে তাকে গ্রেফতার এবং তার জামিনের দরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা জজ কর্তৃক নাকচ করা। সেই শিক্ষক বলেছিলেন, ধর্ম বিশ্বাসের বিষয় আর বিজ্ঞান প্রমাণিত ব্যাপার। এ কথাটি কীভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, একজন আইনজ্ঞ হয়ে তা আমি বুঝতে অক্ষম। আমার মনে হচ্ছে, এটি বোঝার জন্য আমাকে আবার নতুন করে ব্যারিস্টারি পড়তে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা জজ কীভাবে জামিনযোগ্য অপরাধে হৃদয় মন্ডলের জামিনের দরখাস্ত নাকচ করলেন সেটিও আমার ধারণার বাইরে। জামিনযোগ্য অভিযোগের ক্ষেত্রে আদালত জামিন দিতে বাধ্য, অর্থাৎ জামিনযোগ্য অভিযোগের ক্ষেত্রে জামিন না দেওয়াই বেআইনি, যার জন্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে বেআইনি আটকের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা করা যায়। সে অবস্থায় জামিন নাকচ করা ম্যাজিস্ট্রেট আদৌ বিচারকার্য করার যোগ্য কি না অথবা তার বংশে কোনো রাজাকার আলবদর রয়েছে কি না, সেটি তলিয়ে দেখা দরকার। কোনো বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট মহামান্য হাই কোর্টে দরখাস্ত করে এ মর্মে আদেশ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন যাতে হাই কোর্ট সে ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করে তার দক্ষতা এবং নিষ্ঠার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারেন এবং তার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ কীভাবে হৃদয় মন্ডলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ২৯৫-ক ধারায় মামলা করল, তার জবাব সে জেলার পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট সাব-ইন্সপেক্টরকে অবশ্যই দিতে হবে। আরও প্রয়োজন রয়েছে পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট সাব-ইন্সপেক্টরের বংশ পরিচয় খুঁজে বের করা, এ কথা নির্ণয়ের জন্য যে তাদের রক্তে ধর্মান্ধতা রয়েছে কি না। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহমেদকেও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। এটি পরিষ্কার যে, তাজরিয়ান সিকদার নামক সে স্কুলের এক ধর্মান্ধ বিজ্ঞান শিক্ষক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, সেই ক্লাসের কয়েকজন ছাত্রকে ব্যবহার করে এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে এবং রেকর্ড করা কথাগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে মারাত্মক অপরাধ করেছে। অথচ পুলিশ কর্তৃপক্ষ সেই ধর্মান্ধ শিক্ষক, স্কুলের হেড মাস্টার আলাউদ্দিন আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ছাত্রকে গ্রেফতার না করে স্কুলের একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে দিয়ে করানো মামলা গ্রহণ করে তাদের নিষ্ঠাহীনতার পরিচয় দিল। সেই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও নয়, এমনকি তার নাম ব্যবহার করে যে এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ মন্ডল বাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল, সে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এজাহার সম্পর্কে আদৌ কিছু জানে না। এই পুলিশ সুপার, সাব-ইন্সপেক্টরের বিষয় অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করতে হবে। যখন স্কুলের কিছু ছাত্র এবং বহিরাগতরা এসে মন্ডল বাবুর বাড়িঘর আক্রমণ করল, তখন কেন এসপি এবং পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল, সে প্রশ্নের জবাব এসপিকে অবশ্যই দিতে হবে, নয়তো তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হেডমাস্টার আলাউদ্দিন, বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক তাজরিয়ান সিকদার, সংশ্লিষ্ট সেই ছাত্র এবং ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে অবশ্যই গ্রেফতার করে বিচারে দিতে হবে। এ ম্যাজিস্ট্রেট এবং এসপির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

বঙ্গবন্ধু সাম্প্রদায়িকতার মূল উৎপাটন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে হত্যার পর জিয়া- মোশতাক গং, যাদের প্রকাশ্য উদ্দেশ্য ছিল দেশকে আবার ইসলামী প্রজাতন্ত্রে পরিণত করা। সাম্প্রদায়িকতার বীজ নতুন করে রোপণ করেন এবং এরপর জিয়ার উত্তরসূরিরা ২৫ বছর দেশ শাসন করেছেন যে সময় এই ধর্মান্ধতা এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রচার করা হয়েছে বিভিন্নভাবে, টেক্সট বইয়ের মাধ্যমসহ। কিন্তু গত ১২ বছর তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দল দেশ শাসন করছে। তারা ক্ষমতায় আসার পরেও কেন টেক্সট বইতে এখনো সাম্প্রদায়িকতার প্রচার অক্ষুণ্ন রয়েছে?

 

আরেকটি ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ জেলার এক স্কুলে। একটি মিথ্যা কাহিনি রটিয়েছে কয়েকজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি, এ কথা বলে যে আমোদিনি পাল নামক এক অতিরিক্ত অধ্যক্ষ হেজাব পরার জন্য কয়েকজন ছাত্রীকে পিটিয়েছেন। তদন্তকারী দল এ মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছে যে, এ অভিযোগটি  পুরোপুরি বানোয়াট। আসল ঘটনা হলো কয়েকজন ছাত্রী স্কুলের পোশাক পরে না যাওয়ায় এই উপাধ্যক্ষা এবং আরেকজন মুসলমান শিক্ষক তাদের শাসন করেছিলেন। আর সেই ঘটনাকেই পুঁজি করে কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তি এই মহিলার বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়াচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে ধর্মান্ধ টিকটকাররা।

এসব প্রসঙ্গ নিয়ে একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে টক শো অনুষ্ঠানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান আলম একটি মৌলিক কথা বলেছেন, যেটি সবার বিবেচনার দাবিদার। তিনি বলেছেন, গত কয়েক বছরে নতুন প্রজন্মের মনোজগতে এক ভয়ংকরী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, যার জন্য তিনি মূলত টেক্সট বইগুলোকেই দায়ী করেছেন। তিনি যথার্থই বলেছেন, গত ৩০-৪০ বছরে টেক্সট বইগুলোতে যেসব লেখা ছাপা হচ্ছে সেগুলোতে এমন সব কথা রয়েছে যা নতুন প্রজন্মকে সাম্প্রদায়িকতায় উদ্বুদ্ধ করতে বাধ্য আর সে জন্যই নতুন প্রজন্মের মনোজগতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক, সাম্প্রদায়িক পরিবর্তন। এ কথা কারও দৃষ্টি এড়ায়নি, এমনকি বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও টেক্সট বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হচ্ছে এমন অনেক কথাবার্তা যা সাম্প্রদায়িক উসকানি ছাড়া কিছু নয়। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, শরৎচন্দ্র, মুজতবা আলী, লালন প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকদের অসাম্প্রদায়িক লেখনী পরিত্যাগ করে সে জায়গায় বসানো হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট লেখনীগুলো যা এমনকি পাকিস্তানি আমলেও করা হয়নি। আর সে কারণেই কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা বড় হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে। ড. আলমের এই যুক্তি খন্ডন করার কোনো অবকাশ নেই। অতীতে বাচ্চা বয়সী একজন স্কুল ছাত্র এবং ছাত্রীর ছবিতে দেখানো হতো ছাত্রটি হাফ শার্ট এবং হাফ প্যান্ট পড়া আর ছাত্রীটি কামিজ এবং হাফ প্যান্ট পড়া, কেননা ছোট বাচ্চাদের সেটিই পোশাক। অথচ আজকাল দেখানো হচ্ছে অল্প বয়স্ক ছাত্রটির মাথায় টুপি এবং ছাত্রীটির মাথায় হেজাব। হেজাব বা টুপির বিরুদ্ধে আমার কোনো বিরোধিতা নেই, বয়োপ্রাপ্তির পর যে যার খুশি পোশাক পরতে পারে। কিন্তু ক্লাস থ্রি-ফোরের কোনো বাচ্চার টুপি এবং হেজাব পরা কখনো আমাদের সমাজে ছিল না, আমাদের ঐতিহ্যের, সংস্কৃতির সঙ্গে এটি মেলে না। হেজাব কোনো সময়ই আমাদের পোশাকের অংশ ছিল না, আর বাচ্চাদের তো নয়ই। এটি এমনকি আরব দেশের মেয়েদেরও পোশাকের অংশ নয়। আমাদের দেশে এর আমদানি ঘটেছে গত কয়েক বছর আগে ধর্মীয় মৌলবাদীদের দ্বারা, আর এই মৌলবাদীরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে এর ব্যবহার আরও বাড়াতে, ধর্মান্ধতা এবং মৌলবাদ বাড়ানোর জন্য, আমাদের বাঙালি পরিচয় সমূলে ধ্বংস করার জন্য। এই ছবি দ্বারা কোমলমতি শিশুদের একটি বিশেষ ধরনের পোশাক পরতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যে পোশাক আমাদের সমাজে বিদেশমুখী সংযোজন। একে কোনো অবস্থায়ই পর্দা প্রথার অংশ বলা যায় না। অতীতে আমাদের দাদি-নানিরা পর্দা করতেন মাথায় ঘোমটা দিয়ে। তারা কখনো হেজাব নামের জিনিসটির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না, কারণ এটি কখনো আমাদের সংস্কৃতির অংশ ছিল না। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা অবশ্যই স্বেচ্ছায় হেজাব পরতে পারে, এটি নিশ্চয় তাদের অধিকার। কিন্তু কচি শিশুদের এ ধরনের পোশাক পরতে শিক্ষা দেওয়া নিশ্চয়ই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ২০১১ সনে আমি হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালে এই মর্মে একটি আদেশ দিয়েছিলাম যে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো ছাত্রছাত্রীকে বোরখা বা কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করতে পারবে না। আমার সেই আদেশ এখনো বলবত। অথচ শুনতে পাচ্ছি অনেক স্কুল তাদের ছাত্রীদের হেজাব পরতে বাধ্য করছে। এটি নিশ্চয়ই আদালত অবমাননার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অথচ এদিকে কারও খেয়াল নেই। যারা এগুলো শিখাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য মোটেও মহৎ নয় বরং সাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু সাম্প্রদায়িকতার মূল উৎপাটন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু  তাঁকে হত্যার পর জিয়া-মোশতাক গং, যাদের প্রকাশ্য উদ্দেশ্য ছিল দেশকে আবার ইসলামী প্রজাতন্ত্রে পরিণত করা, সাম্প্রদায়িকতার বীজ নতুন করে রোপণ করেন এবং এরপর জিয়ার উত্তরসূরিরা ২৫ বছর দেশ শাসন করেছে যে সময় এই ধর্মান্ধতা এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রচার করা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে, টেক্সট বইয়ের মাধ্যমসহ। কিন্তু গত ১২ বছর তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দল দেশ শাসন করছে। তারা ক্ষমতায় আসার পরেও কেন টেক্সট বইতে এখনো সাম্প্রদায়িকতার প্রচার অক্ষুণœ রয়েছে? এগুলো কি দেখার কেউ নেই? এর ফলে দেশে যে তালেবানি তন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, বাংলাদেশের বদলে বাংলিস্তান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে, সে ব্যাপারে কি কারও চিন্তা নেই? এ কথা অনস্বীকার্য এবং প্রমাণিত যে টেক্সট বুক বোর্ডে বহু ধর্মান্ধ, মৌলবাদী কর্মকর্তা জাঁকিয়ে বসে থেকে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মস্তিষ্ক ধোলাইয়ের জন্য এসব ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এরা ধরা পড়ার পরেও কেন এদের অপসারণ করা হচ্ছে না এবং কেনই বা এসব সাম্প্রদায়িকতাপূর্ণ লেখাগুলো সরানো হচ্ছে না? এক শ্রেণির ওয়াজ ব্যবসায়ী নিরলসভাবে সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণার বাণী প্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের কেউ বিচারে দিচ্ছে না। সম্প্রতি চরমোনাই পীর নামে কথিত এক নিন্দিত ওয়াজ ব্যবসায়ী বলেছেন, ভারতে হেজাব বন্ধ করলে বাংলাদেশে টিপ এবং সিঁদুর বন্ধ করা হবে। এ ধরনের অপরাধমূলক কথা বলার পরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা হলো না। এ ধরনের বহু ওয়াজ ব্যবসায়ী অপরাধমূলক বক্তব্য দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। গত বছর মামুনুল হকের মতো স্বীকৃত মিথ্যাচারীর, যে বর্তমানে ধর্ষণ মামলার আসামিও বটে, তার বিরুদ্ধে একটি যৌক্তিক কথা বলার পরে সুনামগঞ্জে ঝুমন দাস নামে একজনকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের তথাকথিত অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। সেখানকার জেলা ও দায়রা জজ তাকে এক বছর জামিনও দেয়নি বিধায় তিনি পরে মহামান্য হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হন। এ ব্যাপারে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং সংসদে আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু ককাসের যৌথ উদ্যোগে হিন্দুদের ওপর হামলা তদন্তের জন্য যে গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়, তার সভাপতি হিসেবে আমি সেই কমিশনের অন্য সদস্যসহ সুনামগঞ্জ গেলে সেখানকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে কীভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা হতে পারে? এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব অসাম্প্রদায়িক এবং ন্যায়নিষ্ঠ লোক বলে উপস্থিত সবাই নিশ্চিত করেছেন। তিনি আমাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি, বলেছেন এটি যে পুলিশ কর্মকর্তা করেছিল তিনি আর সেখানে নেই। অবাক হয়েছিলাম জেলা জজের কান্ড দেখে। তার দক্ষতা, নিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক চিন্তা চেতনাও প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। সেই ঝুমন দাসকে এক বছর পরে হাই কোর্ট জামিন দিয়েছে, যেটি বহু আগে সেই দায়রা জজেরই করা উচিত ছিল। সম্প্রতি হৃদয় মন্ডলকে সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট এক ছাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁদে ফেলে তথাকথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে গ্রেফতার করাতে সক্ষম হয়েছে, সেই স্কুলেরই আর এক ধর্মান্ধ বিজ্ঞান শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এবং সেখানেও আদালত তার জামিনের দরখাস্ত নাকচ করে আইনবহির্ভূত কাজ করেছে কেননা যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা জামিনযোগ্য। এসব বিচারকের দক্ষতা এবং মতাদর্শ প্রশ্নবিদ্ধ বটে। তাদের বিচারিক কাজ করতে দেওয়া আইনের শাসনের পরিপন্থী কি না, তা তলিয়ে দেখে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। তারা চাইছে এ দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে। হৃদয় মন্ডলের গ্রেফতারের পর বাংলাদেশের সব শিক্ষক আজ শংকিত। বিজ্ঞান শিক্ষকরা মনে করছেন তাদের কথা এমনিভাবে রেকর্ড করে তাদেরও জেলে পাঠানো হতে পারে। নাসির নগরের সামান্য জেলে মনোরঞ্জন দাসের ফেসবুক চালানোর দক্ষতা নেই সেটি প্রমাণিত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে মামলা এখনো চলছে। এই আইনের যে অপব্যবহার হচ্ছে সেটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সবারই দাবি। এ আইন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে হিন্দুরা এ দেশ ছেড়ে চলে যায়, যেটি ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত করেছিল। হিন্দুরা দেশ ছেড়ে গেলে এ দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করা সহজ হবে। এ বিষয়ে হাই কোর্ট থেকে একটি রুলিং এবং গাইড লাইন প্রয়োজন যাতে নির্দেশনা থাকবে কোন ধরনের কথা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের পর্যায়ে পড়ে আর কোনটি পড়ে না। বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার সরকার বুঝতে পারছেন না যে, এসব ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যা করে যাচ্ছে তার পেছনে আসল উদ্দেশ্য হলো দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করা, আর এই সরকারকে অসাংবিধানিকভাবে উৎখাত করা। আমরা যারা মনে করি অসাম্প্রদায়িকতা রক্ষার জন্য এ সরকারের কোনো বিকল্প নেই, যার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও নিরঙ্কুশভাবে এ সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি, তারা স্বভাবতই দাবি করতে পারি এসব ধর্মান্ধ অপশক্তিকে শেষ করার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী রাজাকারের সন্তানদের সরকারি-আধা সরকারি চাকরিতে না নেওয়ার যে কথাটি উল্লেখ করেছেন, সেটি অবশ্যই বিবেচনার দাবিদার। যারা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের সংবিধানে এবং অস্তিতেই বিশ্বাস করে না, তাদের সরকারি-আধা সরকারি চাকরিতে যাওয়ার কোনো দাবি থাকতে পারে না। সময় এসেছে এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার। মনে রাখতে হবে, এসব ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর প্রধান টার্গেট হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এদের শেষ করা না গেলে এরাই আমাদের শেষ করে দেবে। শেষ করার আগে লালনের সেই উক্তিটিই মনে পড়ল ‘সময় গেলে সাধন হবে না।’

 

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক
অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল
সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

৫ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত
রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত

৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার

১১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ

১৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

২০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগের হাতে কোনদিন গণতন্ত্র নিরাপদ ছিল না: মঈন খান
আওয়ামী লীগের হাতে কোনদিন গণতন্ত্র নিরাপদ ছিল না: মঈন খান

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

নাটোর সদর আসনে জামায়াতের নির্বাচনী শোডাউন
নাটোর সদর আসনে জামায়াতের নির্বাচনী শোডাউন

৪২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পদ ফিরে পেলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিরীন
পদ ফিরে পেলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিরীন

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু

৫৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ
ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫
ভাঙ্গায় পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপির জনসমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজ ২৬ নভেম্বর, দেখা যাবে ১০০ টাকায়
ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজ ২৬ নভেম্বর, দেখা যাবে ১০০ টাকায়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৫ গোলের বড় জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের
৫ গোলের বড় জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভারতীয় পিয়াজ ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ৩
সিলেটে ভারতীয় পিয়াজ ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ৩

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

হুমকির ঘটনায় ওপেনএআইয়ের সানফ্রান্সিসকো অফিসে নিরাপত্তা জোরদার
হুমকির ঘটনায় ওপেনএআইয়ের সানফ্রান্সিসকো অফিসে নিরাপত্তা জোরদার

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দৌলতপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের আর্থিক সহযোগিতা
দৌলতপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের আর্থিক সহযোগিতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুন্সীগঞ্জে সড়ক মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ
মুন্সীগঞ্জে সড়ক মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ধানের শীষ বিজয়ী হলে নতুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান’
‘ধানের শীষ বিজয়ী হলে নতুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ
নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১
বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা