শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

সময় গেলে সাধন হবে না

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
প্রিন্ট ভার্সন
সময় গেলে সাধন হবে না

সাংবিধানিকভাবে ঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের দৌরাত্ম্য যেভাবে বেড়ে গেছে, তা দেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের অসাম্প্রদায়িক চেতনার সবাই শঙ্কিত। এ ব্যাপারে কদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল বলেছেন, ধর্মান্ধ এবং ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে একটি বিশাল সামাজিক বিপ্লব। কদিন আগে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনও তার লেখনী দিয়েও রুখে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। গত কয়েক দিনে ধর্মান্ধদের তান্ডবের প্রথম প্রমাণটি মিলল এক ধর্মান্ধ পুলিশ কনস্টেবলের অপরাধমূলক এবং অসহনীয় কর্মকান্ড থেকে। তেজগাঁও কলেজের অধ্যাপিকা ড. লতা সমাদ্দারের কপালে টিপের কারণে তার সঙ্গে অপরাধমূলক ব্যবহার করার দায়ে সেই ধর্মান্ধ পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্তের পর সে এই মর্মে এক মিথ্যা দাবি উত্থাপন করেছিল যে সেদিন তার মোটরবাইকের পেছনে তার গর্ভবতী স্ত্রীও ছিল। পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে এই কনস্টেবল এবং তার স্ত্রী এই বানোয়াট কাহিনি ব্যক্ত করে। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ আরও সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, এই কনস্টেবলের মোটরবাইকে পেছনে মোটেও তার স্ত্রী ছিল না, ছিল হলুদ রঙের একটি বাজারের ব্যাগ। আর সেই বাজারের ব্যাগকেই কনস্টেবল নাজমুল এবং তার স্ত্রী এই মর্মে প্রচার করল যে, এটি ছিল নাজমুলের স্ত্রী, যাকে সে ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছিল এবং তার স্ত্রীর পায়ের সঙ্গে লতা সমাদ্দারের ধাক্কা লাগায় কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র। পরে যখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভির ফুটেজগুলো দেখিয়ে নাজমুল তারেক এবং তার স্ত্রীকে পুনরায় জেরা করল, তখন উভয়ই স্বীকার করতে বাধ্য হলো যে, তারা আগের দিন বেমালুম মিথ্যা কথা বলেছে। এখানে দুটি কথা বলতে হয়, প্রথমত পুলিশ কর্তৃপক্ষ যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে আসল ঘটনা নির্ণয় করার জন্য, যার জন্য তারা বহু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে, যার থেকে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, কনস্টেবল নাজমুল তারেক এবং তার স্ত্রী মিথ্যা কথা বলেছে, এ জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ অসংখ্য প্রশংসার দাবিদার। দ্বিতীয় কথাটি হলো- যে পুলিশ সদস্য স্বীকৃতভাবে রাতকে দিন বানানোর মতো মিথ্যা কথা বলল, সে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে পারে কি না? পুলিশকে হতে হবে একান্ত সত্যবাদী এবং ধোয়া তুলসী পাতার মতোই সৎ। অথচ এই ব্যক্তি নিজেই স্বীকার করল যে, সে আগের দিন মিথ্যা কথা বলেছে। শুধু তাই নয়, এটাও পরিষ্কার যে, সে তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ষড়যন্ত্রমূলক কাহিনি রচনা করেছে। এমন মিথ্যাবাদী এবং ষড়যন্ত্রকারী লোক পুলিশ বাহিনীতে থাকলে জনগণ নিরাপদ কি না, সেটিও বিবেচনার বিষয়। যে পুলিশ বাজারের ব্যাগকে স্ত্রী বানাতে পারে, সে কি না করতে পারে? তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ড. সমাদ্দার করেছেন, তা তো বিবেচনায় আনতেই হবে, এর পরেও তার এই স্বীকৃত মিথ্যাচারের কথাটিও ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া সে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে হেলমেট ব্যবহার না করেই বাইক চালাচ্ছিল এবং রাস্তার উল্টো পথে বাইক চালাচ্ছিল, যে দুটিই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে পুলিশের টুপিও পরেনি। কতগুলো ধর্মান্ধ ইউটিউব চ্যানেল, টিকটকার এই স্বীকৃত মিথ্যাচারীর প্রবঞ্চনাকর বক্তব্যকে পুঁজি করে এ মর্মে প্রচারণা চালাচ্ছে যে, একটি সাধারণ ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে। তারা নিশ্চয় জানে এটি মোটেও সাধারণ ঘটনা নয়, এ দেশের ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, এ ঘটনা তারই একটি অংশ মাত্র। তারা বাঙালি পরিচয় মুছে ফেলতে এবং দেশকে পাকিস্তান-তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। কপালে টিপ পরা বাঙালি মহিলাদের সংস্কৃতির অংশ। অতীতে আমার দাদি-নানিরা এটি পরতেন, আমার স্ত্রীও পরতেন। এখন আমার সব নিকটাত্মীয়ই কপালে টিপ দিয়ে থাকেন, যার জন্য আমি গর্বিত কেননা তারা বাঙালি ঐতিহ্য লালন করছেন।

আরেকটি ঘটনা হলো- মুন্সীগঞ্জের একটি স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মন্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধর্ম অবমাননার মামলা করে তাকে গ্রেফতার এবং তার জামিনের দরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা জজ কর্তৃক নাকচ করা। সেই শিক্ষক বলেছিলেন, ধর্ম বিশ্বাসের বিষয় আর বিজ্ঞান প্রমাণিত ব্যাপার। এ কথাটি কীভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, একজন আইনজ্ঞ হয়ে তা আমি বুঝতে অক্ষম। আমার মনে হচ্ছে, এটি বোঝার জন্য আমাকে আবার নতুন করে ব্যারিস্টারি পড়তে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা জজ কীভাবে জামিনযোগ্য অপরাধে হৃদয় মন্ডলের জামিনের দরখাস্ত নাকচ করলেন সেটিও আমার ধারণার বাইরে। জামিনযোগ্য অভিযোগের ক্ষেত্রে আদালত জামিন দিতে বাধ্য, অর্থাৎ জামিনযোগ্য অভিযোগের ক্ষেত্রে জামিন না দেওয়াই বেআইনি, যার জন্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে বেআইনি আটকের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা করা যায়। সে অবস্থায় জামিন নাকচ করা ম্যাজিস্ট্রেট আদৌ বিচারকার্য করার যোগ্য কি না অথবা তার বংশে কোনো রাজাকার আলবদর রয়েছে কি না, সেটি তলিয়ে দেখা দরকার। কোনো বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট মহামান্য হাই কোর্টে দরখাস্ত করে এ মর্মে আদেশ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন যাতে হাই কোর্ট সে ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করে তার দক্ষতা এবং নিষ্ঠার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারেন এবং তার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ কীভাবে হৃদয় মন্ডলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ২৯৫-ক ধারায় মামলা করল, তার জবাব সে জেলার পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট সাব-ইন্সপেক্টরকে অবশ্যই দিতে হবে। আরও প্রয়োজন রয়েছে পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট সাব-ইন্সপেক্টরের বংশ পরিচয় খুঁজে বের করা, এ কথা নির্ণয়ের জন্য যে তাদের রক্তে ধর্মান্ধতা রয়েছে কি না। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহমেদকেও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। এটি পরিষ্কার যে, তাজরিয়ান সিকদার নামক সে স্কুলের এক ধর্মান্ধ বিজ্ঞান শিক্ষক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, সেই ক্লাসের কয়েকজন ছাত্রকে ব্যবহার করে এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে এবং রেকর্ড করা কথাগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে মারাত্মক অপরাধ করেছে। অথচ পুলিশ কর্তৃপক্ষ সেই ধর্মান্ধ শিক্ষক, স্কুলের হেড মাস্টার আলাউদ্দিন আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ছাত্রকে গ্রেফতার না করে স্কুলের একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে দিয়ে করানো মামলা গ্রহণ করে তাদের নিষ্ঠাহীনতার পরিচয় দিল। সেই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও নয়, এমনকি তার নাম ব্যবহার করে যে এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ মন্ডল বাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল, সে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এজাহার সম্পর্কে আদৌ কিছু জানে না। এই পুলিশ সুপার, সাব-ইন্সপেক্টরের বিষয় অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করতে হবে। যখন স্কুলের কিছু ছাত্র এবং বহিরাগতরা এসে মন্ডল বাবুর বাড়িঘর আক্রমণ করল, তখন কেন এসপি এবং পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল, সে প্রশ্নের জবাব এসপিকে অবশ্যই দিতে হবে, নয়তো তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হেডমাস্টার আলাউদ্দিন, বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক তাজরিয়ান সিকদার, সংশ্লিষ্ট সেই ছাত্র এবং ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে অবশ্যই গ্রেফতার করে বিচারে দিতে হবে। এ ম্যাজিস্ট্রেট এবং এসপির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

বঙ্গবন্ধু সাম্প্রদায়িকতার মূল উৎপাটন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে হত্যার পর জিয়া- মোশতাক গং, যাদের প্রকাশ্য উদ্দেশ্য ছিল দেশকে আবার ইসলামী প্রজাতন্ত্রে পরিণত করা। সাম্প্রদায়িকতার বীজ নতুন করে রোপণ করেন এবং এরপর জিয়ার উত্তরসূরিরা ২৫ বছর দেশ শাসন করেছেন যে সময় এই ধর্মান্ধতা এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রচার করা হয়েছে বিভিন্নভাবে, টেক্সট বইয়ের মাধ্যমসহ। কিন্তু গত ১২ বছর তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দল দেশ শাসন করছে। তারা ক্ষমতায় আসার পরেও কেন টেক্সট বইতে এখনো সাম্প্রদায়িকতার প্রচার অক্ষুণ্ন রয়েছে?

 

আরেকটি ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ জেলার এক স্কুলে। একটি মিথ্যা কাহিনি রটিয়েছে কয়েকজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি, এ কথা বলে যে আমোদিনি পাল নামক এক অতিরিক্ত অধ্যক্ষ হেজাব পরার জন্য কয়েকজন ছাত্রীকে পিটিয়েছেন। তদন্তকারী দল এ মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছে যে, এ অভিযোগটি  পুরোপুরি বানোয়াট। আসল ঘটনা হলো কয়েকজন ছাত্রী স্কুলের পোশাক পরে না যাওয়ায় এই উপাধ্যক্ষা এবং আরেকজন মুসলমান শিক্ষক তাদের শাসন করেছিলেন। আর সেই ঘটনাকেই পুঁজি করে কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তি এই মহিলার বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়াচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে ধর্মান্ধ টিকটকাররা।

এসব প্রসঙ্গ নিয়ে একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে টক শো অনুষ্ঠানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান আলম একটি মৌলিক কথা বলেছেন, যেটি সবার বিবেচনার দাবিদার। তিনি বলেছেন, গত কয়েক বছরে নতুন প্রজন্মের মনোজগতে এক ভয়ংকরী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, যার জন্য তিনি মূলত টেক্সট বইগুলোকেই দায়ী করেছেন। তিনি যথার্থই বলেছেন, গত ৩০-৪০ বছরে টেক্সট বইগুলোতে যেসব লেখা ছাপা হচ্ছে সেগুলোতে এমন সব কথা রয়েছে যা নতুন প্রজন্মকে সাম্প্রদায়িকতায় উদ্বুদ্ধ করতে বাধ্য আর সে জন্যই নতুন প্রজন্মের মনোজগতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক, সাম্প্রদায়িক পরিবর্তন। এ কথা কারও দৃষ্টি এড়ায়নি, এমনকি বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও টেক্সট বইয়ের মাধ্যমে পড়ানো হচ্ছে এমন অনেক কথাবার্তা যা সাম্প্রদায়িক উসকানি ছাড়া কিছু নয়। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, শরৎচন্দ্র, মুজতবা আলী, লালন প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকদের অসাম্প্রদায়িক লেখনী পরিত্যাগ করে সে জায়গায় বসানো হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট লেখনীগুলো যা এমনকি পাকিস্তানি আমলেও করা হয়নি। আর সে কারণেই কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা বড় হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে। ড. আলমের এই যুক্তি খন্ডন করার কোনো অবকাশ নেই। অতীতে বাচ্চা বয়সী একজন স্কুল ছাত্র এবং ছাত্রীর ছবিতে দেখানো হতো ছাত্রটি হাফ শার্ট এবং হাফ প্যান্ট পড়া আর ছাত্রীটি কামিজ এবং হাফ প্যান্ট পড়া, কেননা ছোট বাচ্চাদের সেটিই পোশাক। অথচ আজকাল দেখানো হচ্ছে অল্প বয়স্ক ছাত্রটির মাথায় টুপি এবং ছাত্রীটির মাথায় হেজাব। হেজাব বা টুপির বিরুদ্ধে আমার কোনো বিরোধিতা নেই, বয়োপ্রাপ্তির পর যে যার খুশি পোশাক পরতে পারে। কিন্তু ক্লাস থ্রি-ফোরের কোনো বাচ্চার টুপি এবং হেজাব পরা কখনো আমাদের সমাজে ছিল না, আমাদের ঐতিহ্যের, সংস্কৃতির সঙ্গে এটি মেলে না। হেজাব কোনো সময়ই আমাদের পোশাকের অংশ ছিল না, আর বাচ্চাদের তো নয়ই। এটি এমনকি আরব দেশের মেয়েদেরও পোশাকের অংশ নয়। আমাদের দেশে এর আমদানি ঘটেছে গত কয়েক বছর আগে ধর্মীয় মৌলবাদীদের দ্বারা, আর এই মৌলবাদীরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে এর ব্যবহার আরও বাড়াতে, ধর্মান্ধতা এবং মৌলবাদ বাড়ানোর জন্য, আমাদের বাঙালি পরিচয় সমূলে ধ্বংস করার জন্য। এই ছবি দ্বারা কোমলমতি শিশুদের একটি বিশেষ ধরনের পোশাক পরতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যে পোশাক আমাদের সমাজে বিদেশমুখী সংযোজন। একে কোনো অবস্থায়ই পর্দা প্রথার অংশ বলা যায় না। অতীতে আমাদের দাদি-নানিরা পর্দা করতেন মাথায় ঘোমটা দিয়ে। তারা কখনো হেজাব নামের জিনিসটির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না, কারণ এটি কখনো আমাদের সংস্কৃতির অংশ ছিল না। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা অবশ্যই স্বেচ্ছায় হেজাব পরতে পারে, এটি নিশ্চয় তাদের অধিকার। কিন্তু কচি শিশুদের এ ধরনের পোশাক পরতে শিক্ষা দেওয়া নিশ্চয়ই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ২০১১ সনে আমি হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালে এই মর্মে একটি আদেশ দিয়েছিলাম যে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো ছাত্রছাত্রীকে বোরখা বা কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করতে পারবে না। আমার সেই আদেশ এখনো বলবত। অথচ শুনতে পাচ্ছি অনেক স্কুল তাদের ছাত্রীদের হেজাব পরতে বাধ্য করছে। এটি নিশ্চয়ই আদালত অবমাননার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অথচ এদিকে কারও খেয়াল নেই। যারা এগুলো শিখাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য মোটেও মহৎ নয় বরং সাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু সাম্প্রদায়িকতার মূল উৎপাটন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু  তাঁকে হত্যার পর জিয়া-মোশতাক গং, যাদের প্রকাশ্য উদ্দেশ্য ছিল দেশকে আবার ইসলামী প্রজাতন্ত্রে পরিণত করা, সাম্প্রদায়িকতার বীজ নতুন করে রোপণ করেন এবং এরপর জিয়ার উত্তরসূরিরা ২৫ বছর দেশ শাসন করেছে যে সময় এই ধর্মান্ধতা এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রচার করা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে, টেক্সট বইয়ের মাধ্যমসহ। কিন্তু গত ১২ বছর তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দল দেশ শাসন করছে। তারা ক্ষমতায় আসার পরেও কেন টেক্সট বইতে এখনো সাম্প্রদায়িকতার প্রচার অক্ষুণœ রয়েছে? এগুলো কি দেখার কেউ নেই? এর ফলে দেশে যে তালেবানি তন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, বাংলাদেশের বদলে বাংলিস্তান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে, সে ব্যাপারে কি কারও চিন্তা নেই? এ কথা অনস্বীকার্য এবং প্রমাণিত যে টেক্সট বুক বোর্ডে বহু ধর্মান্ধ, মৌলবাদী কর্মকর্তা জাঁকিয়ে বসে থেকে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মস্তিষ্ক ধোলাইয়ের জন্য এসব ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এরা ধরা পড়ার পরেও কেন এদের অপসারণ করা হচ্ছে না এবং কেনই বা এসব সাম্প্রদায়িকতাপূর্ণ লেখাগুলো সরানো হচ্ছে না? এক শ্রেণির ওয়াজ ব্যবসায়ী নিরলসভাবে সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণার বাণী প্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের কেউ বিচারে দিচ্ছে না। সম্প্রতি চরমোনাই পীর নামে কথিত এক নিন্দিত ওয়াজ ব্যবসায়ী বলেছেন, ভারতে হেজাব বন্ধ করলে বাংলাদেশে টিপ এবং সিঁদুর বন্ধ করা হবে। এ ধরনের অপরাধমূলক কথা বলার পরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা হলো না। এ ধরনের বহু ওয়াজ ব্যবসায়ী অপরাধমূলক বক্তব্য দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। গত বছর মামুনুল হকের মতো স্বীকৃত মিথ্যাচারীর, যে বর্তমানে ধর্ষণ মামলার আসামিও বটে, তার বিরুদ্ধে একটি যৌক্তিক কথা বলার পরে সুনামগঞ্জে ঝুমন দাস নামে একজনকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের তথাকথিত অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। সেখানকার জেলা ও দায়রা জজ তাকে এক বছর জামিনও দেয়নি বিধায় তিনি পরে মহামান্য হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হন। এ ব্যাপারে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং সংসদে আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু ককাসের যৌথ উদ্যোগে হিন্দুদের ওপর হামলা তদন্তের জন্য যে গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়, তার সভাপতি হিসেবে আমি সেই কমিশনের অন্য সদস্যসহ সুনামগঞ্জ গেলে সেখানকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে কীভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা হতে পারে? এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব অসাম্প্রদায়িক এবং ন্যায়নিষ্ঠ লোক বলে উপস্থিত সবাই নিশ্চিত করেছেন। তিনি আমাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি, বলেছেন এটি যে পুলিশ কর্মকর্তা করেছিল তিনি আর সেখানে নেই। অবাক হয়েছিলাম জেলা জজের কান্ড দেখে। তার দক্ষতা, নিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক চিন্তা চেতনাও প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। সেই ঝুমন দাসকে এক বছর পরে হাই কোর্ট জামিন দিয়েছে, যেটি বহু আগে সেই দায়রা জজেরই করা উচিত ছিল। সম্প্রতি হৃদয় মন্ডলকে সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট এক ছাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁদে ফেলে তথাকথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে গ্রেফতার করাতে সক্ষম হয়েছে, সেই স্কুলেরই আর এক ধর্মান্ধ বিজ্ঞান শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এবং সেখানেও আদালত তার জামিনের দরখাস্ত নাকচ করে আইনবহির্ভূত কাজ করেছে কেননা যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা জামিনযোগ্য। এসব বিচারকের দক্ষতা এবং মতাদর্শ প্রশ্নবিদ্ধ বটে। তাদের বিচারিক কাজ করতে দেওয়া আইনের শাসনের পরিপন্থী কি না, তা তলিয়ে দেখে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। তারা চাইছে এ দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে। হৃদয় মন্ডলের গ্রেফতারের পর বাংলাদেশের সব শিক্ষক আজ শংকিত। বিজ্ঞান শিক্ষকরা মনে করছেন তাদের কথা এমনিভাবে রেকর্ড করে তাদেরও জেলে পাঠানো হতে পারে। নাসির নগরের সামান্য জেলে মনোরঞ্জন দাসের ফেসবুক চালানোর দক্ষতা নেই সেটি প্রমাণিত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে মামলা এখনো চলছে। এই আইনের যে অপব্যবহার হচ্ছে সেটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সবারই দাবি। এ আইন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে হিন্দুরা এ দেশ ছেড়ে চলে যায়, যেটি ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত করেছিল। হিন্দুরা দেশ ছেড়ে গেলে এ দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করা সহজ হবে। এ বিষয়ে হাই কোর্ট থেকে একটি রুলিং এবং গাইড লাইন প্রয়োজন যাতে নির্দেশনা থাকবে কোন ধরনের কথা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের পর্যায়ে পড়ে আর কোনটি পড়ে না। বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার সরকার বুঝতে পারছেন না যে, এসব ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যা করে যাচ্ছে তার পেছনে আসল উদ্দেশ্য হলো দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করা, আর এই সরকারকে অসাংবিধানিকভাবে উৎখাত করা। আমরা যারা মনে করি অসাম্প্রদায়িকতা রক্ষার জন্য এ সরকারের কোনো বিকল্প নেই, যার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও নিরঙ্কুশভাবে এ সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি, তারা স্বভাবতই দাবি করতে পারি এসব ধর্মান্ধ অপশক্তিকে শেষ করার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী রাজাকারের সন্তানদের সরকারি-আধা সরকারি চাকরিতে না নেওয়ার যে কথাটি উল্লেখ করেছেন, সেটি অবশ্যই বিবেচনার দাবিদার। যারা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের সংবিধানে এবং অস্তিতেই বিশ্বাস করে না, তাদের সরকারি-আধা সরকারি চাকরিতে যাওয়ার কোনো দাবি থাকতে পারে না। সময় এসেছে এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার। মনে রাখতে হবে, এসব ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর প্রধান টার্গেট হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এদের শেষ করা না গেলে এরাই আমাদের শেষ করে দেবে। শেষ করার আগে লালনের সেই উক্তিটিই মনে পড়ল ‘সময় গেলে সাধন হবে না।’

 

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
সর্বশেষ খবর
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক কেপা এবার আর্সেনালে
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক কেপা এবার আর্সেনালে

৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
রাজধানীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

আবারও রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম
আবারও রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বাসায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ
রাজধানীতে বাসায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের ১৫ ফজিলত
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের ১৫ ফজিলত

৪৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

গুইরাসির জোড়া গোলে শেষ আটে ডর্টমুন্ড
গুইরাসির জোড়া গোলে শেষ আটে ডর্টমুন্ড

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হজ পালন শেষে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি
হজ পালন শেষে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি

৫৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

জুলাই আন্দোলনে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু, ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জুলাই আন্দোলনে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু, ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

টেসলায় সোনালি দিন, কিন্তু ইলন মাস্কের কারণে তিক্ত বিদায় কর্মীর!
টেসলায় সোনালি দিন, কিন্তু ইলন মাস্কের কারণে তিক্ত বিদায় কর্মীর!

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘অ্যালকালাইন ওয়াটার’ সাধারণ পানির তুলনায় কতটা ভিন্ন?
‘অ্যালকালাইন ওয়াটার’ সাধারণ পানির তুলনায় কতটা ভিন্ন?

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য
আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান
দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ
শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই
৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান
বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমানের সেই মুন্নি এখন
সালমানের সেই মুন্নি এখন

শোবিজ

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা
যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা

শোবিজ

মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল
মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল

শোবিজ

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’
‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’

মাঠে ময়দানে

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’
সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’

শোবিজ

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না
সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন

নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

নগর জীবন