রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে দেশে তুষারঝড়

দেশে দেশে তুষারঝড়

ডিসেম্বরে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। বড়দিনের আমেজে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমিয়েছিলেন দেশটিতে। কিন্তু তুষারঝড়ের কারণে সেখানেই আটকে পড়েন তারা। এমন পরিবেশে জীবনযাত্রা একেবারেই অন্যরকম। বেশ চ্যালেঞ্জিং। হাড়জমে ওঠা ঠাণ্ডা, তুষারপাত-তুষারঝড়, খাবারের সংকট, পরিবহনের নেই কোনো ব্যবস্থা। বিদ্যুৎহীন কাটাতে হয় দীর্ঘ সময়। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৮ ডিগ্রি নিচে চলে গেছে। তুষার আবৃত শহর নিয়েই আজকের রকমারি...

 

তুষারঝড়ের কবলে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-যুক্তরাজ্য

সম্প্রতি তীব্র তুষারঝড়ের কবলে পড়ে কানাডা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশটিতে আঘাত হানে অব্যাহত ভারী তুষারঝড়। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ পার হয়েছে, কিন্তু এখনো কাটেনি ঝড়-পরবর্তী অচলাবস্থা। অব্যাহত ভারী তুষারপাতের কারণে দেখা দেয় বিশাল বরফের আস্তর। ডিসেম্বরের শেষে দেশটির কোনো কোনো অঞ্চলে ৩০ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পুরু বরফে ছেয়ে যায়। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তীব্র তুষারঝড়ের কারণে কানাডার অন্টারিও, কুইবেক ও আলবারটা প্রদেশের স্কুল-কলেজ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। বাতিল করা হয় বহু ফ্লাইট। সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয় যান চলাচলও।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তুষারঝড়ের কারণে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। দেশটিতে সুপার সাইক্লোন ‘বম্ব সাইক্লোন’-এ নাজেহাল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য। দেশটিতে গত ২২ ডিসেম্বর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং তীব্র তুষারঝড় শুরু হয়। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। তাপমাত্রা নিচে নেমে যাওয়ায় জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটা ছাড়াও আকাশ ও সড়কপথে যোগাযোগে বিপর্যয় ঘটেছে। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন প্রধান উৎসব বড়দিনের ছুটির আমেজে বাগড়া দিয়েছে তুষারঝড়। টানা ৫-৬ দিন প্রবল তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত আমেরিকার নানা প্রান্তে এখন পুরু বরফের স্তর। কোথাও কোথাও বরফের উচ্চতা হয়েছে ৮-১০ ফুট। বেশির ভাগ সড়কেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুরু বরফের নিচে আটকে পড়ে কয়েকজন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাভাস অবহিতকরণ কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ধরনের শীতল পরিবেশ ‘এক প্রজন্মের সামনে নজিরবিহীন’ একটি ঘটনা। উত্তর মেরু অঞ্চল থেকে আসা ঝড়ের প্রভাবে এমন শৈত্য নেমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম থেকে পূর্ব উপকূল, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত থেকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পর্যন্ত এবং দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে শৈত্যের মাত্রা বেড়ে যায়। জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। দেশটির ৬০ শতাংশ অঞ্চল এই সতর্কতার অন্তর্ভুক্ত। ২০ কোটিরও বেশি মানুষ পড়ে বিপাকে। বিদ্যুৎহীন কাটে প্রায় ১৫ লাখ পরিবারের। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ভারী তুষারঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

অন্যদিকে ডিসেম্বরে সবচেয়ে শীতলতম মাস পার করেছে যুক্তরাজ্য। জাতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুসারে, সোমবার মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে স্কটল্যান্ড, লন্ডন ও উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডে। যা চলতি বছরে রেকর্ড। এমতাবস্থায় সাময়িক বন্ধ ছিল হিথ্রোসহ অঞ্চলটির গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি এয়ারপোর্ট। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সোমবার বাতিল হয় ৩১৬টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান ফ্লাইট। দেশটির রয়েল অটোমোবাইল ক্লাবের তথ্য অনুসারে, সাড়ে ৭ হাজারের মতো সড়ক দুর্ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

 

জমে গেছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত

নায়াগ্রা জলপ্রপাত, যার অপরূপ দৃশ্যে মাতোয়ারা গোটা বিশ্ববাসী। তবে সেখানে গেলে জমে যাওয়া জলপ্রপাতের বিস্ময়কর রূপ দেখবেন। এমন কাল্পনিক দৃশ্য বাস্তবে ধরা দিল নায়াগ্রা জলপ্রপাতে। এ যেন এই শতকের ভয়ংকর সুন্দর দৃশ্য। বরফঝরা ছবি। নায়াগ্রা জলপ্রপাতের। আসলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে নেমে যাওয়াতেই নায়াগ্রা নদীর জল জমে গেছে। হঠাৎ ভয়ানক তুষারঝড়ে জমে গেছে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের একাংশ। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় নায়াগ্রা নদীর পানি জমতে শুরু করেছে। পানির ওপর বরফের আস্তর পড়েছে। আর সেই বরফ নিয়েই নিচে আছড়ে পড়ছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত। নায়াগ্রা ফলস নিউইয়র্ক স্টেট পার্কের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই জলপ্রপাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ফুট প্রতি সেকেন্ড বেগে প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ১৬০ টন পানি প্রবাহিত হয়। ১৯৬৪ সালের আগে বরফের কারণে নায়াগ্রার পানির গতি বাধাপ্রাপ্ত হতো। কারণ নদীর উৎসই ঠাণ্ডায় জমে যেত। নদীর পানির গতি সচল রাখতে স্টিল আইস-বুম লাগানো হয়। যা বরফের চাঁই জলের ওপর জমতে দেয় না। নায়াগ্রা জলপ্রপাতকে দেখলে মনে হবে, হঠাৎ যেন সেটি পুরোপুরি থমকে গেছে। তবে আদৌ তা নয়। জলপ্রপাতের উপরিভাগ জমে গেলেও পানি কিন্তু পানির স্রোত বয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে নায়াগ্রায় সৌন্দর্য দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন অনেক পর্যটক। বর্তমানে বম্ব সাইক্লোনে বিপর্যস্ত পুরো আমেরিকা। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৮ ডিগ্রি নিচে নেমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

 

পৃথিবীর শীতলতম বসতি

ভৌগোলিকভাবে স্থানটি উত্তর এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যা বিস্তীর্ণ সাইবেরিয়ার শীতলতম শহর হিসেবে পরিচিত। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে যা রাশিয়ার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। এর রাজধানী শহর ইয়াকুটস্ক। এখানে প্রায় ৫০০ লোকের বসবাস। তারা একটি সম্প্রদায়ের। গরমের সময় এখানকার তাপমাত্রা থাকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শীত এলে শহরটির ভোল পাল্টে যায়। এখানে শীতের সময় মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা চলে। এ শহরের লোকজন সকালের খোলাবাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। প্রায় ২ ঘণ্টার একটি খোলাবাজার বসে। যে মাছ-মাংস নিয়ে আসা হয় তা ওই খোলা জায়গায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে ইস্পাতের মতো শক্ত হয়ে যায়। এখানে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এখন তাদের কাছে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা প্রবল তুষার বর্ষণ আর শীতের কামড় জয় করে নিজেকে টিকিয়ে রাখছেন। যদিও তারা প্রচণ্ড হাড়কাঁপানো শীতে তিনটা প্যান্ট, চারটা শার্ট, তিন-চার জোড়া মোজা পরে বেচাকেনা করেন।

 

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস!

আর্কটিকের বরফের ছোট-বড় দ্বীপগুলো ভেসে চলে গ্রীষ্মে। আর শীতে এসে জমে দাঁড়িয়ে যায়। দুই ঋতুর উত্তর মেরুতে প্রায় ছয় মাসের গরম আর ঠাণ্ডা আবহাওয়া বলা হলেও এখানকার গরমতম দিনেও তাপমাত্রা থাকে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরফ জমে থাকা এই গ্রীষ্মের দিনে ছয় মাস সূর্যের দেখা পাওয়া যায়। শীতকাল এলে রাতের আঁধার নেমে আসে ছয় মাসের জন্য। যদিও ঠিক হিসাবটি ভিন্ন। শীতকাল থাকছে ৯ মাস আর বাকি তিন মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্ম কি শীত, সব সময়ই অবিশ্বাস্য ঠাণ্ডায় মোড়ানো থাকে উত্তর মেরু। শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ থেকে শুরু করে মাইনাস ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই সে সময়ের পরিবেশের চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া সব প্রচেষ্টাকেই বাধাগ্রস্ত করেছে। শীতকালে তুষারঝড়ের কবলে উত্তর মেরুর পরিবেশ আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। গ্রীষ্ম ও শীত ছাড়াও আরও দুটি ঋতু উত্তর মেরুতে খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। শরৎ ও বসন্ত। তবে এই দুটি ঋতুর ব্যাপ্তিকাল কয়েক সপ্তাহ মাত্র। শীতকালে আকাশ থাকে পরিষ্কার। সমুদ্র বরফ হয়ে জমে আছে, তাই বাষ্প নেই, নেই মেঘ, নেই বৃষ্টি। গ্রীষ্ম আসার আগে তুষারঝড় বয়ে যায় উত্তর মেরুতে। শীতে উত্তর মেরুতে যতটা না ঠাণ্ডা, তার চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ে আশপাশের এলাকায় (সাইবেরিয়ায়)।

 

যে শহরে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় বিস্তর ফারাক

সাইবেরিয়া রাশিয়ার একটি অঞ্চল, যা পৃথিবীর অর্ধেক উত্তর গোলার্ধের ওপর অবস্থিত। এখানকার ভার্খোয়ানস্ক বিশ্বের এক আজব শহর। উত্তর মেরুর অন্যতম শীতলতম স্থান এটি। সাইবেরিয়ান হাই নামের শীতল বাতাস এখানকার শীতলতম জলবায়ুর জন্য দায়ী। ১৮৯২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৬৯.৮ ডিগ্রি। শীতকালে বছরের অন্যান্য সময়ও তাপমাত্রা মারাত্মক কম থাকে। অথচ গ্রীষ্মকালে শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ ডিগ্রিরও বেশি হয়ে যায়। মূলত গ্রীষ্মকালে ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এ বছর ভালোভাবেই টের পেল ভার্খোয়ানস্ক। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে, ২০২০ সালে এই শহরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ডব্লিউএমওর বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, সুমেরু অঞ্চলের ধারণকৃত একাধিক তাপমাত্রার মধ্যে এটি অন্যতম। এটি আমাদের জন্য আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়ে একটি সতর্কবার্তা। তবে শীত এবং গ্রীষ্মের তাপমাত্রার মধ্যে এতটা তফাৎ বিশ্বের আর কোনো অঞ্চলে দেখা যায় না। সে কারণ এখানে লোকসংখ্যা অনেক কম। আর্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত এই শহরে খুব বেশি হলে ১ হাজার মানুষের বসবাস। যারা এমন প্রতিকূলতায় জীবিকা নির্বাহ করেন।

 

বিশ্বের শীতলতম শহর ওইমিয়াকন

রাশিয়ার সাখা অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের শীতলতম এই শহর। ওইমিয়াকন গ্রামটি পল অব কোল্ড নামেও পরিচিত। সাইবেরিয়ার কলিমা হাইওয়ে থেকে তোমতোর ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমেই সাখা। বর্তমানে ওইমিয়াকনে প্রায় ৫০০ মানুষের বাস। শীতকালে প্রায় ২১ ঘণ্টাই অন্ধকার থাকে। জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ে, গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে অবশ্য একটা সুবিধা আছে, খাবার-দাবার মানে মাছ-মাংস কিছুই ফ্রিজে রাখতে হয় না। তবে অসুবিধাও রয়েছে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এখানে কিছুক্ষণ বাইরে থাকলেই চোখের ওপর বরফের আস্তর জমে যায়। এ ছাড়া কলমের কালি, গ্লাসে রাখা পানিও কিছুক্ষণ পর আর তরল থাকে না। জমে যায় একদম। এমনকি এই শহরে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া বেশি বিড়ম্বনার। কারণ, বরফ শীতল এই পরিবেশে মানুষকে শায়িত করার জায়গা কোথায়। সেক্ষেত্রে মৃতদের ভর্তি কফিন সমাধিস্থ করার আগে কবর খননের জন্য আগুন জ্বালিয়ে বরফযুক্ত মাটি কাটা হয়। জানুয়ারিতেই সবচেয়ে বেশি শীতল থাকে ওইমিয়াকনে। একবার ঠাণ্ডায় এখানকার আবহাওয়া কেন্দ্রের থার্মোমিটারই বিকল হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়াও ঠাণ্ডায় এখানে নানা উদ্ভট উদ্ভট পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এ ছাড়া অত্যধিক ঠাণ্ডার কারণে সেখানে কোনো ফসল জন্মায় না। ১৯৩৩ সালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকড মাইনাস ৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভয়ংকর এই শীতের সাক্ষী হয়েছিল সেখানকার মানুষ, তারপরও থেমে নেই এখানকার বসবাসরত মানুষের জীবন।

 

পুরো বছরই বরফে ঢাকা থাকে ভস্তক স্টেশন

এক সময় এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শীতলতম স্থান। সময়টা ছিল ১৯৮৩ সাল। গবেষকরা তখন আইসোলেটেড রিসার্চ স্টেশনটিকে নিয়ে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরের এলাকা এটি। এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৮২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেক সময় মাইনাস ১২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। গণমাধ্যম সূত্র থেকে জানা গেছে, রিসার্চ স্টেশনে মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত কোনো সূর্যালোক পৌঁছায় না। তবে ডিসেম্বরে টানা ২২ ঘণ্টা সূর্যকে দেখা যায়। তবে সেই সূর্যের আলোর যা তেজ তা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্র এই রিসার্চ স্টেশনটি স্থাপন করে। এ স্থানে বরফে চাপা পড়া একটি হ্রদ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। হ্রদের নাম লেক ভস্তক। এখানে এক মাইক্রোবস এবং মাল্টিসেলুলার অর্গানিজমের বাস্তুতন্ত্র আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। যা স্থানটিকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর