২০১০ সালের শেষে তিউনিসিয়ায় অস্থিরতার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হয়েছিল এক ধারাবাহিক আন্দোলন। নাম- আরব বসন্ত। আর সেই আন্দোলনে কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশে আন্দোলন দমাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে। ফলাফল- আন্দোলন অগ্নিগর্ভ রূপ নেয়। যদিও আরব বসন্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। তবে কয়েকটি দেশে আন্দোলন ব্যাপক সহিংসতায় রূপ নেয়। আরব বসন্তের ফলস্বরূপ বিশ্ববাসী দেখে বিভিন্ন দেশে একের পর এক স্বৈরশাসনের পতন; যা মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশের জনগণকে স্বপ্ন দেখাতে শেখায়...
কেন আন্দোলন?
আরব বসন্ত বলতে আরবের বিভিন্ন দেশের গণজাগরণকে বুঝায়। ২০১০ সালের শেষে শুরু হওয়া আরব রাষ্ট্রগুলোর জনগণের বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন সংঘটিত হয়। এর নেপথ্যে অবশ্য অসংখ্য কারণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেমন- দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসন বা চরম রাজতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, দুর্বল অর্থনীতি, অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, চরম দরিদ্রতা ও শিক্ষিত হতাশাগ্রস্ত যুবসমাজ বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের অসন্তোষ এই বিপ্লবের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়াও এসব দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে ছিল। যে কারণে তারা কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় ছিলেন। সম্পদের সুষম বণ্টন হয়নি। ফলে খরা ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন সাধারণ মানুষ। সে সময় আন্দোলনের শুরুটা যারা করেছিলেন তাদের অনেকেই ছিলেন পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত। যেখানে স্বৈরতন্ত্র ও রাজতন্ত্রকে অচল বলে মনে করা হয়। এ কারণে জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার হার বৃদ্ধির ফলে মানব উন্নয়ন সূচকের উন্নতি হলেও সরকারের সংস্কার না হওয়া তারা সহজেই মেনে নিতে পারেনি।
‘আরব বসন্ত’ : ক্ষমতার পালাবদল
আরব বসন্তের প্রভাব
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায়
২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিউনিসিয়ার এক গভর্নর অফিসের সামনে অসহায় ফেরিওয়ালা নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহনন করেছিলেন। জীবনযুদ্ধে মোহাম্মদ বুআজিজি নামের লোকটি এক পরাজিত সৈনিক। তিনি কোনোভাবেই পরিবারের ভরণপোষণ করতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। তার দুঃখ এবং সংসার-সংগ্রাম দুঃখী অনেক তিউনিসিয়ানের জীবনগাথার মতোই। তিউনিসিয়ার মন্দ অর্থনীতি, বেকারত্ব ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অতিষ্ঠ মানুষের কাছে বুআজিজি নতুন বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তা ছিল সংগ্রাম ও বিদ্রোহের বার্তা। তখন কে জানত এ ঘটনার মাত্র ২৭ দিনে আন্দোলনে প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলীর ২৩ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানের মাধ্যমে সূচনা হবে ‘আরব বসন্তের’। তিউনিসিয়া থেকে সে বার্তা আরব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে আলজেরিয়া, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব, বাহরাইন এবং ইয়েমেনসহ আরবের অন্যান্য দেশে। এতে কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা শাসনযন্ত্র তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। বাধ্য হয়ে বেন আলী পালিয়ে যান সৌদি আরবে। তিউনিসিয়ার পর মিসর। দেশটির রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে মাত্র ১৮ দিনের আন্দোলনে ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন হোসনি মোবারক। একই সঙ্গে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন। নভেম্বরে ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ মনসুর আল হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অবসান ঘটে ৩৩ বছরের স্বৈরশাসকের। সুদান, ইরাক বা জর্ডানের রাষ্ট্রপ্রধানরাও শিগগিরই ক্ষমতা হস্তান্তর বা আবার নির্বাচন না করার অঙ্গীকার করে আন্দোলন প্রশমিত করার চেষ্টা চালান। তবে লিবিয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ছিল কিছুটা ভিন্ন। দেশটিতে যেভাবে পরিবর্তন এসেছে তাকে কোনোভাবেই গণতন্ত্রের পথে সঠিক যাত্রা বলা ঠিক হবে না। বিচিত্র চরিত্র অথচ আরব বিশ্বে এই নেতাকে ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর নিজ শহর সির্তে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। লিবিয়ার ৪২ বছরের শাসক গাদ্দাফির পতন ঘটেছে। সিরিয়ার বাশার আল আসাদের পতন ঠেকাতে তার সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ এখনো চলছে। ২০১৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে আরব বিশ্বের এই দেশটিতে। তারপরও ক্ষমতা থেকে নেমে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি আসাদ সরকারকে। এ ছাড়া আলজেরিয়া, বাহরাইন, ইরান, মরক্কোয় বড় ধরনের বিদ্রোহ হয়। তবে লেবানন, মৌরিতানিয়া, সৌদি আরব, সুদান এবং পশ্চিম সাহারায় বড় ধরনের না হলেও বিক্ষোভ দেখা যায়।
যেসব দেশে ছড়িয়েছে আরব বসন্তের ঢেউ
তিউনিসিয়ায় উত্থান
তিউনিসিয়া আরব বসন্তের জন্মস্থান। ২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশটির মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামে এক ফল বিক্রেতা পুলিশের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেন। তারপরই দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্ম হয় এবং তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রধান লক্ষ্য- প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলীর দুর্নীতি ও দমনপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। ব্যাপক বিক্ষোভ আর আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততার ফলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি সশস্ত্র বাহিনী বিক্ষোভ দমন করতে অস্বীকার করার পর দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট বেন আলী। তার পতনের পর তিউনিসিয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে। পরে তিউনিসিয়া নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটি সংবিধান পেয়েছে।
মিসরে মোবারকের বিদায়
তিউনিসিয়ায় ‘আরব বসন্ত’ শুরু হলেও তা অঞ্চলটিকে বদলে দেয়। যার উদাহরণ- ১৯৮০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা পশ্চিমের আরব মিত্র মিসরীয় প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুমুল গণ আন্দোলনের মুখে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি আন্দোলনকারীদের দমনে ব্যাপক ধরপাকড় চালান। অ্যামনেস্টির মতে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তখন অন্তত ৮০০ আন্দোলনকারী নিহত হন এবং ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। মোবারকের পতনের পর দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসি। তবে গণতন্ত্রের সেই ধারাবাহিকতা থাকেনি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনা-সমর্থন নিয়ে ক্ষমতাসীন হন সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
বাহরাইনে ‘তাহরির স্কয়ার’
দেশটিতে আরব বসন্তের ছোঁয়া লেগেছিল ২০১১ সালে। পারস্য উপসাগরীয় এই রাজতন্ত্রে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি; মোবারকের পদত্যাগের মাত্র কয়েকদিন পরে। সেদিন বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর ‘পার্ল স্কোয়ার’ দখল করে নেন এবং চত্বরটির নাম দেন ‘তাহরির স্কোয়ার’। কিন্তু তিন দিন পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। আন্দোলনের মুখে সরকার তাৎক্ষণিক কিছু সংস্কারের কথা জানায়। এতে ক্ষমতাসীনদের গদিচ্যুত হতে হয়নি। তবে দেশটির ব্যাপারে অ্যামনেস্টি বলছে, আন্দোলনকারীদের ওপর দমনপীড়ন চলছেই। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দমনপীড়নের নানা অভিযোগ রয়েছে শাসকদলের ওপর।
বিস্ফোরিত হয় লিবিয়াও
মিসরীয় নেতা পদত্যাগের পরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বড় অংশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। লিবিয়ায় কর্নেল মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির শাসনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। একই বছরের অক্টোবরে তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বিদ্রোহীদের বিজয় ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ এরপর দেশটিতে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে। যারা দেশকে বিভক্ত করে ফেলেছিল। ফলে লিবিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য গৃহযুদ্ধে পতিত হয়। এখন এখানে চলে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি। দেশটিতে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিচার ব্যবস্থাসহ সবকিছু ভেঙে পড়েছে। সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী জীবন বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। অন্তত ২৫ লাখ মানুষের ভাগ্যে এমনটা ঘটেছে বলে দাবি অ্যামনেস্টির।
সিরিয়ায়ও গণবিক্ষোভ
২০১১ সালের ৬ মার্চ কয়েকজন শিক্ষার্থী দক্ষিণ সিরিয়ার স্কুলের দেয়ালে লেখেন- ‘এবার আপনার পালা, ডাক্তার’। সে সময় প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হয়। তারা গণতান্ত্রিক সংস্কারের আহ্বান জানান। কিন্তু সরকারের সহিংস দমনপীড়নের ফলে বিদ্রোহ গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উত্থান দেশটির এই অবস্থার জন্য অনেকটাই ভূমিকা রেখেছে। প্রথমে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন বিদ্রোহীরা। পরে সেই লড়াই সরকার-বিদ্রোহী-আইএস- ত্রিমুখী পরিণতি পায়। ‘আইএস’ দমনে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া অভিযান চালায়। জাতিসংঘ বলছে, বাসারবিরোধী লড়াইয়ে দেশটিতে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
ইয়েমেনও রক্তাক্ত
আরব বসন্তের চতুর্থ শিকার ইয়েমেনের নেতা আবদুল্লাহ সালেহ। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেন। প্রতিবাদে জনতা আন্দোলন শুরু করে। মূলত তিউনিসিয়া থেকে উৎসাহিত হয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেন। বিক্ষোভ ঠেকাতে ওই বছরের মার্চে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হন। সরকারের দমনপীড়নে শত শত মানুষ প্রাণ হারান। ২০১৪ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সালেহ এখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন। দেশটিতে উত্থান ঘটে হুতি বিদ্রোহীদের- যাদের দমনে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সৌদি নেতৃত্বে হুতিবিরোধী অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মরক্কোতেও আন্দোলন
২০১১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ‘আরব বসন্ত’ মরক্কোয় আঘাত হানে। সে সময় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী রাবাত এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলোয় বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার এবং রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার দাবিতে জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ তার কিছু ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সাংবিধানিক সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়ে সাড়া দিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাজা সে সময় একটি নতুন সংসদ নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন; যা পূর্ববর্তী নির্বাচনের মতো রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন হবে না। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতিবাদ, রাষ্ট্রীয় তহবিলে দুর্নীতিসহ নানা দাবিতে মানুষ রাস্তায় নামেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এখনো তিউনিসিয়া বা মিসরের মতো জনসাধারণকে একত্রিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জর্ডানেও ‘আরব বসন্ত’
২০১১ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে জর্ডানে বিক্ষোভ গতি পায়। সে সময় ইসলামপন্থি দল, বামপন্থি গোষ্ঠী এবং যুব-কর্মীরা জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। মরক্কোর মতোই বেশির ভাগ জর্ডানিয়ানরা সেখানকার রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির পরিবর্তে সংস্কার চেয়েছিলেন। ফলস্বরূপ রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করেন। তিনি তার সরকারে নানা রদবদল করে ‘আরব বসন্তকে’ সাময়িক রুখে দিতে সক্ষম হন। যদিও পরে দেশটিতে সিরিয়ার মতো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। যাই হোক জর্ডানের অর্থনীতি বেশি খারাপভাবে কাজ করছে এবং মূল সমস্যাগুলোর কোনোটিরই আজও সমাধান হয়নি। তবে দেশটিতে মাঝে মাঝে বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।