জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে ইসলামিক স্কলার রাখাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
অন্য দাবিগুলো হলো- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক প্রণীত এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সংশোধিত) সংশোধন করে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাষক (আরবি, ফিকহ, কুরআন, হাদিস ও লাইব্রেরিয়ান) এবং সহকারী মৌলভী (আরবি) ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গ্রাজুয়েটদের আবেদন করার সুযোগ পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি, সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু নিশ্চিতকরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি সাহিত্য, ফিকহ, কুরআন, হাদিস ইত্যাদি বিভাগ নিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বা শরীআ অনুষদ চালু করা ও ইসলামিক স্টাডিজ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগে ইসলাম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে জিইডি-এর অন্তর্ভুক্তকরণ।
এ ব্যাপারে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ উজ জামান বলেন, ইসলাম শিক্ষার ইতিহাস বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে থেকেই আছে।
১৯২১ সালে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ৬টি লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তার অন্যতম ছিল ইসলাম শিক্ষা। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে যে ইসলাম শিক্ষা চালু হলো পরবর্তীতে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর এই ইসলাম শিক্ষা সেভাবে বর্ধিত হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষাকে ঐচ্ছিক করে পরিকল্পিতভাবে ইসলাম শিক্ষাকে সংকোচিত করা হয়েছে। এমনকি চাকরির ক্ষেত্রে ইসলাম শিক্ষাকে পিছিয়ে রেখে মানুষকে ইসলামিক নীতি-নৈতিকতা শেখা থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে বিতর্কহীন ও গ্রহণযোগ্য ইসলামিক স্কলার রাখা। সর্বজন গৃহীত একটি শিক্ষাক্রম তৈরিতে যুগপযোগী ও নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন হওয়া আবশ্যক। বিতর্কিত, ইসলাম বিদ্বেষী ও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতাদর্শের বহির্ভূত কাউকে কমিটিতে না রাখার আহ্বানও করেন তারা।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ