ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট নিরসন হয়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার গাড়ি। যাত্রী ও চালকদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে সড়কে কোথাও থানা, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ চোখে পড়েনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মুহুরীগঞ্জ থেকে লালপোল পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেন পানিতে তলিয়ে গেছে। বানের পানির স্রোত দেখা গেছে সড়কে। এ কারণে ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানির কারণে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক অচল হয়ে পড়ে। পানি না কমার কারণে সড়কের মাঝখানেই গাড়ি দাড়িয়ে আছে। যার কারণে চালক ও অনান্য যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পাশাপাশি যানজট ও পানির কারণে দোকান খোলা না থাকার কারণে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যার কারণে ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে রেললাইন প্লাবিত হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ ও কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মিরসরাই, ফেনী, কুমিল্লাসহ পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রেললাইন ৭ থেকে ৮ ফুট পানির নিচে এখনও ডুবে আছে। এ অবস্থায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলপথ ও স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতির চিত্র সরেজমিন দেখতে শনিবার চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রেন গেছে। সেটি ফিরলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুপুর ১২টার পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট, কক্সবাজার ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের নাজিরহাট, কক্সবাজার, চাঁদপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।
বিডি প্রতিদিন/এএম