স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীন ১৩ কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পথ মেরামতে প্রয়োজন হবে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে পূর্বাঞ্চলের অধীন রেলপথের প্রায় ৫৬ কিলোমিটার পথ ডুবে যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের ফাজিলপুর থেকে কালীদহ হয়ে ফেনী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পথ। এ সাত কিলোমিটার রেলপথ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম-ঢাকা, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, লাকসাম-নোয়াখালী রুটে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ পানিতে ডুবেছিল। তাছাড়া লাকসাম-নোয়াখালী ৪৯ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার রেলপথও পানিতে ডুবে। তবে এ লাইনটিতে এখন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম দু’টি রেল লাইনের মধ্যে একটি দিয়ে ট্রেন চলছে, অন্যটি মেরামত করা হচ্ছে। এ কারণে ১৫টি ট্রেন বন্ধ আছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ রাফি মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর মুহুরীগঞ্জ থেকে গুণবতী পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার ডুবেছিল। এর মধ্যে ফাজিলপুর-কালীদহ হয়ে ফেনী পর্যন্ত (চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী লাইন) প্রায় সাত কিলোমিটার রেললাইন পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। এই রেল লাইনটি চারদিন পানির নিচে ডুবেছিল। রেল লাইনের পাথর-স্লিপারসহ নষ্ট হয়ে যায়। এই ৭ কিলোমিটার রেললাইন আবার তৈরি করতে হবে। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী রেলপথটি ভালো আছে। এটার তেমন ক্ষতি হয়নি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের মধ্যে জানালীহাট, পটিয়া ও কাঞ্চননগর এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার রেললাইন পানিতে ডুবেছিল। এই রেললাইনেও ক্ষতি হয়েছে। ষোলশহর-নাজিরহাট রুটে নাজিরহাটের শেষের দিকে ৫ কিলোমিটার রেললাইন পানিতে ডুবেছিল। এটা পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া এসব রেলপথের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। লাকসাম-নোয়াখালী ৪৯ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পানিতে ডুবে ছিল ১৫ কিলোমিটার। পানিতে ডুবে থাকার কারণে এই রেল লাইনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল