কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর দেশব্যাপী শুরু হয়েছে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল। এ সময় প্ল্যাটফরমে ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। ট্রেনে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। প্রায় দুই সপ্তাহ পর রেল চলাচল শুরু হওয়ায় স্টেশনে হকার-কুলি-মজুরদের উপস্থিতিতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। তবে টিকিট ছাড়া কাউকে প্লাটফরমে প্রবেশ করতে দেয়নি রেলওয়ে পুলিশ ও গার্ড।
গতকাল কমলাপুর স্টেশন থেকে স্বল্প দূরত্বের স্টেশন অভিমুখে ছেড়ে যায় তিনটি ট্রেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ কয়েকটি শহর থেকে আশপাশের গন্তব্যে কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
গতকাল থেকে স্বল্প দূরত্বের তিনটি রেল চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ে। কিন্তু প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলেও সাধারণ সময়ের চেয়ে যাত্রী ছিল কম। ভ্রমণের জন্য রেল নিরাপদ বাহন হলেও চলমান পরিস্থিতিতে এখনো শঙ্কা কাটেনি যাত্রীদের।
গতকাল চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৮টায় ছাড়ে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের সাগরিকা এক্সপ্রেস, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বেসরকারি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ছাড়ে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটের লোকাল ট্রেন। যাত্রী ও রেলের নিরাপত্তায় এসব ট্রেনে ছিল ১৪ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
গতকাল সকালে রাজশাহী স্টেশন থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে ‘লোকাল ৫৬৩’ এবং রাজশাহী-খুলনা রুটে ‘মহানন্দা এক্সপ্রেস’ নামে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া সকালে রাজশাহী থেকে মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনার উদ্দেশে এবং লোকাল ৫৬৩ ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
গতকাল দিনাজপুর থেকেও স্বল্প দূরত্বের ‘কাঞ্চন কমিউটার’ ও ‘বুড়িমারী কমিউটার’ ট্রেন চলাচল করছে। এ ছাড়া গতকাল পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে কাঞ্চন কমিউটার ট্রেন সকাল ৯টায় ও বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন সকাল সাড়ে ৯টায় পঞ্চগড় স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে এখনো আন্তনগর ট্রেন চলাচলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।