বিশ্বখ্যাত ‘ক্যাফে অ্যামাজন’কে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য ‘মাস্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি’ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বুধবার এ বিষয়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন গ্রুপ ডিরেক্টর আহমেদ ইব্রাহিম সোবহান এবং পিটিটি অয়েল অ্যান্ড রিটেইল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিসাহাত পান্যারাচুন।
চুক্তি অনুযায়ী, এ বছরের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশের ১০০ স্থানে ক্যাফে অ্যামাজনের শাখা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মিসরে থাই রাষ্ট্রদূত পাসুসিথ ওংসুরাওয়াত এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. মাসুমুর রহমান।
অনুষ্ঠানে পিটিটি অয়েল অ্যান্ড রিটেইল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিসাহাত আশা প্রকাশ করেন, ‘বাংলাদেশের প্রসারমান অর্থনীতির বাজারে ক্যাফে অ্যামাজন শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে। বাংলাদেশের ভোক্তাদের কাছে আমরা আমাদের সেরা পানীয় এবং অন্যান্য সার্ভিস পৌঁছে দিতে ক্যাফে অ্যামাজনকে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই দশক আগে থাইল্যান্ডের খ্যাতনামা পিটিটি অয়েল অ্যান্ড রিটেইল বিজনেস পাবলিক কোম্পানির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ক্যাফে অ্যামাজন ব্যাংকক ভ্রমণকারীদের কাছে ‘ইউনিক ডেসটিনেশন’ হিসেবে বিবেচিত। এদিকে দেশের সেবা খাতে ‘ফুড হল’ রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে লিও কফি হাউজ এবং ঐতিহ্যবাহী সানফ্লাওয়ার রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এ ছাড়া আবাসন ও জ্বালানি খাতের বিনিয়োগে সুপরিচিত বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের অর্থনীতির বিকাশেও বিভিন্ন উৎপাদনমুখী শিল্পে সফল বিনিয়োগ করেছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে বিলিয়ন ডলার লেনদেন করা দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ অন্যতম।