আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লুটতরাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা সৃষ্টি করে যারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদের বিচারের আওতায় আনাসহ সাত দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের এক সমাবেশ থেকে দলের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। দেশে চলমান হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের মতো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বানে এই সমাবেশ হয়। প্রস্তাবনায় রয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নিহত আবু সাঈদসহ কোটা আন্দোলনে ‘শহীদ’ ছাত্রনেতাদের রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা; মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষক জিয়াউর রহমানসহ ফোর ফাদার ন্যাশন প্রতিষ্ঠা করা; গণভবন, বঙ্গভবনসহ সরকারি, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চার নেতার ছবি টাঙিয়ে মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতাদের উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করা; সকল লুটেরা-পাচারকারীদের লুট ও পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচারের আওতায় আনা; এস আলম গ্রুপ, সামিট গ্রুপের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত করা; গণহত্যার দায়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যবস্থা করা; যাদের সহযোগিতায় জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রভৃতি।
এ সময় পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।