শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও গা ঢাকা দেন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় সড়কে দেখা দেয় মারাত্মক বিশৃঙ্খলা। এই অবস্থায় সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলার দায়িত্বে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক দিন ধরে তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে ঘাম ঝরাচ্ছেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যক হয়ে যাওয়ায় স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্য ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরানো তথা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সর্বসাধারণের প্রশংসা কুড়ায়। সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানানোর কারণে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বেড়ে যায়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এই দায়িত্বপালন করছেন বলেও মন্তব্য অনেকের। এদিকে, যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে গতকাল শনিবার থেকে সড়কে নেমেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। তারা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নামেন আনসার সদস্যরাও। এদিকে, গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে শুধু স্কাউট ও বিএনসিসির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ছাড়া সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সমন্বয়ক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্র ফয়ছল হোসেন।