সিলেটে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ৫০ কেজির বস্তায় ধরনভেদে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বাজারে চালের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। বন্যার কারণে এ সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে বলেও দাবি করছেন তারা।
সিলেটের সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত কালীঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা মিনিকেট আতপ ২৯০০, মিনিকেট সেদ্ধ ২৬৫০, জিরা সেদ্ধ ৩৩০০, মালা ২৬০০ ও কাটারিভোগ ৩২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট আতপে ১৫০, মিনিকেট সেদ্ধে ১৯০, জিরা সেদ্ধে ১৮০, মালায় ১৫০ ও কাটারিভোগে ২৬০ টাকা বস্তাপ্রতি বেড়েছে। খুচরা বাজারেও কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। চালের দাম বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে কৃষক বোরোয় ভালো ফলন পেয়েছে। সুতরাং চলমান সময়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকার কথা। কিন্তু দাম বাড়ছে। চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে ক্রেতারা দুষছে আড়তদারদের। তাদের অভিযোগ, কোনো একটা ইস্যু পেলেই আড়তদাররা চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। কোনো কারণ ছাড়াই তারা চালের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লুটে নিচ্ছেন।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা বন্যা আক্রান্ত। এসব অঞ্চলের চাতালগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে চাল আড়তে আসছে না। তাই সরবরাহ কমে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে।
কালীঘাটের ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে চাহিদার তুলনায় বাজারে চাল কম আসছে। পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই চালের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে চালের দামও স্থিতিশীল হয়ে যাবে।