দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্ন দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কনের মাধ্যমে স্মৃতিতে ভাস্বর করে রেখেছে রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ‘শোনো মহাজন-আমি নয়তো একজন’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট’, ‘বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘রুখে দাও ষড়যন্ত্র’-এমন নানা স্লোগান সংবলিত গ্রাফিতিতে সেজেছে রাজশাহীর বিভিন্ন সড়কের দেয়াল। দল বেঁধে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে এ গ্রাফিতিগুলো অঙ্কন করেছে। রংতুলির আঁচড়ে শিক্ষার্থীরা মেলে ধরেছে তাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়, যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম শহিদ আবু সাঈদের পুলিশের গুলির মুখে দ্বিধাহীন চিত্তে নিজের বুক পেতে দেওয়ার গ্রাফিতিতে উজ্জ্বল রাজশাহীর সড়ক দেয়াল। শহীদ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি সরবরাহ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। এ সময় তার ‘পানি লাগবে? পানি’ এ উক্তি সংবলিত গ্রাফিতিও দেখা গেছে শহরের বিভিন্ন দেয়ালে।
নগরীর নর্দান মোড়, তালাইমারী, কাজলা গেট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গেট, আনসার ক্যাম্প, রাজশাহী কলেজ, মহিলা কলেজ, সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকে সার্কিট হাউস সড়কে গ্রাফিতিতে তরুণরা দেশ নিয়ে তাদের ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। নব প্রভাতের অরুণ আলোর মতো এই গ্রাফিতিগুলো যেন হয়ে উঠেছে শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।