গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হন কলেজছাত্র ইলহাম সরকার। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল রাখতে পেরেছেন। তবে তার পুরো সুস্থ হতে আরও উন্নত চিকিৎসা এবং সময়ের প্রয়োজন। পাশাপাশি আর্থিক বিষয়টিও জড়িত।
এমন অবস্থায় গুলিবিদ্ধি ইলহামের চিকিৎসার জন্য অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডাক্তারের সমন্বয়ে ইলহামের চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছেন। তার নির্দেশে ইলহাম সরকারের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সার্বিক তদারকি করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এবং বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এদিকে গুরুতর অসুস্থ ইলহামের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য তারেক রহমানের নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকনের কো-অর্ডিনেশনে শুক্রবার রাতে এক বিশেষ ভার্চুয়াল কনসালটেন্সি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির আহ্বায়ক অর্থোপেডিক সার্জন ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল কনসাল্টেশনে দেশি ও বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল অব এক্সপার্টস চিকিৎসা পরামর্শ দেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলিবিদ্ধ ইলহামের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিদেশেও নেওয়া হবে। যে কোনো মূল্যে তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় আনার জন্য যা প্রয়োজন তা করা হবে। এ বিষয়ে তারেক রহমান সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ ছাড়া তারেক রহমান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আন্দোলনে আহত এবং নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তারেক রহমান সদা তৎপর রয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতারা হতাহতদের পরিবারে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।