বিকল্প সড়ক না রেখে একসঙ্গে সব রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু করায় সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন দক্ষিণখান ও উত্তরখানের বাসিন্দারা। সড়ক খুঁড়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় বৃষ্টি ও ড্রেনের পানিতে ভোগান্তির চরম সীমায় এই দুই এলাকার সাত ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কোনো রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার রাস্তায় অবশিষ্ট নেই। রাস্তার মধ্যে গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান প্রসবের মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। এই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এখানে যে কয়েকটি ক্লিনিক রয়েছে সেখানে ডাক্তার আসতে না পারায় প্রায় বন্ধ চিকিৎসাসেবা।
গতকাল রাজধানীর দক্ষিণখান বাজারে দক্ষিণখান ও উত্তরখানবাসীর আয়োজনে রাস্তার উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করা ও দুর্ভোগ নিরসনে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। এতে এলাকাবাসী তাদের বক্তব্যে এসব অভিযোগ ও ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। অসুস্থ রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই, ড্রেনের পানিতে সাঁতার কাটতে চাই না, এই ভোগান্তির শেষ কবে- এমন ব্যানার-ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন হাজারো মানুষ। মানববন্ধনে দক্ষিণখান উত্তরখান সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ইয়াছিন রানা বলেন, ২০১৬ সালে এই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটির আওতায় আসার পর থেকে পরিপূর্ণরূপে উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। সিটি নির্বাচনের ছয় বছর পর এসেও এখানের চিত্র বদলায়নি। বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা তলিয়ে যায়, হাঁটার মতো অবস্থা থাকে না। ইয়াছিন রানা বলেন, এই এলাকায় সিটি করপোরেশনের কেউ পরিদর্শনেও আসেন না। তারা উত্তরা, গুলশান, মিরপুরেই শুধু পরিদর্শন করেন। তাদের কাছে জানতে চাই, উত্তরা, গুলশানের বাসিন্দারা এ গ্রেডের নাগরিক আর দক্ষিণখান উত্তরখানের বাসিন্দারা সি গ্রেডের নাগরিক হিসেবে কেনো তারা মূল্যায়ন করছেন তা স্পষ্ট করতে হবে। মানববন্ধনে দক্ষিণখান উত্তরখানের জনগণ পক্ষে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয়। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, দারুল উলুম মাদরাসা মসজিদের খতিব গিয়াস উদ্দিন মাদানি, ফয়সাল হোসেন, বারিকুল ইসলাম শোভন, সাজ্জাত হোসেন, এহসানুল হক শোভন, দক্ষিণখান ও উত্তরখানের ব্যবসায়ীরা।