দুই মাস ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পড়ে থাকা পোড়া লাশটি আনসার সদস্য নূরনবীর বলে শনাক্ত করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল লাশটি তাঁর পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ ও পরিবারসূত্র এ তথ্য দিয়েছেন। নূরনবীর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী সদরের পূর্ব অশ্বদিয়া। এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা তিনি। নূরনবীর স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, নূরনবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ আনসার ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় বদলি করা হয় তাঁকে। এরপর ৬ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওই সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় টানা সংঘাত চলছিল। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরদিন থেকে নূরনবীকে পাচ্ছিলেন না তাঁরা।
পুলিশ জানায়, ৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে কয়েকটি পোড়া লাশ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানোর পর স্বজনরা নূরনবীর খোঁজে মর্গে যান। এরপর প্রাথমিকভাবে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা। গতকাল ৪৭ বছর বয়সি এ আনসার সদস্যের লাশ তাঁর স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা, ছেলে তাজনু সিফাতসহ অন্য স্বজনরা এসে নিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি শুরু হওয়া সংঘাতে ৪৪ পুলিশ সদস্য ও দুজন আনসার সদস্য নিহত হওয়ার কথা এর আগে জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে।