বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধের অনেক স্থান ভেঙে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। যে কোনো সময় পুরো বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে পাউবোর আওতাভুক্ত ৩৫ কিলোমিটার যার পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। সাত কিলোমিটার আছে অধিক ঝুঁকিতে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার বাঁধের ভিতরে ও বাইরে তিস্তার চরে বসবাস করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সলেমান আলী বলেন, বেড়িবাঁধ বন্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র সড়ক। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা বড় বড় ট্রাক্টরে চরের বালু পরিবহন করায় বাঁধটি নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাঁধের নিচ থেকে বালু তোলায় ভাঙনের ঝুঁকি বেড়েছে।
ঝুনাগাছ চাপানি সোনাখুলি গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, নদীর ঘূর্ণিস্রোত এসে পড়ছে বাঁধের ওপর। পানির চাপে বাঁধের বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ছে। নদীভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে ১০০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে সরকারি আবাসনে। বাঁধ ভেঙে গেলে আবাসনের আশ্রয়টুকুও হারাতে হবে তাদের।
ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা হয়েছে মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে। এতে ভাঙনের ঝুঁকি বেড়েছে।