মসজিদের ইমামতিতে বাধা দেওয়ার জেরে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিন গ্রামের লোকজনের মধ্যে প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও লুটপাট হয়েছে। এ সময় উশৃঙ্খল লোকজন রেল স্টেশনে আক্রমণ করলে সিলেট বিভাগের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। গতকাল দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কয়েক দফায় চলে সংঘর্ষ ও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরষপুর দারুল উলুম মাদরাসার মসজিদে জুম্মার নামাজে ইমামতি করতে চেয়েছিলেন বশির আহমেদ। ছাত্ররা এতে বাধা দিলে লোকজন দুই পক্ষে ভাগ হয়ে ঝগড়ায় জড়ায়। নামাজ শেষে হরষপুর গ্রামবাসীর সঙ্গে বশির আহমেদের জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুল্লা ও এখতিয়ারপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কিছু উশৃঙ্খল লোক হরষপুর রেল স্টেশনে আক্রমণ করে ও আশপাশের দোকানে লুটপাট চালায়।
স্থানীয় ধর্মঘর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল জানান, বিজয়নগরের কিছু লোক মাদরাসার মসজিদের অজুহাতে হরষপুর বাজারের ৩০-৪০ জন ব্যবসায়ীর দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। মাধবপুর থানার ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরষপুর স্টেশন মাস্টার জাহিদ হোসেন জানান, উশৃঙ্খল লোকজন স্টেশনে আক্রমণ করে কাঁচ ভেঙে দিয়েছে। তিনটি ট্রেন মনতলা ও মুকন্দপুর স্টেশনে বিকাল ৩টা থেকে আটকে ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর সাড়ে ৭টায় সেগুলো গন্তব্যে ছেড়ে যায়।