সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা গতকাল কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে টেন্ডার ছাড়া মালামাল বিক্রিসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে জানতে চান। এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মিলের ইনচার্জ আবুল বাশার।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- টেন্ডার ছাড়াই ৭ ট্রাক ১১ ভ্যান পুরনো যন্ত্রাংশ কালোবাজারে বিক্রি, টেন্ডার ছাড়াই পুকুর খননের ২২০ ট্রাক বালু ও ১৬০ ট্রাক মাটি, ৫ লাখ টাকার ৮৭টি কাঁঠালগাছ ও ৪২টি আম গাছ বিক্রি ও আবাসিক গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি বাণিজ্যিক রেট ১০ টাকা ৩০ পয়সার বিপরীতে ২২ টাকা নির্ধারণ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেন জানান, ‘সাতক্ষীরা টেক্সটাইল মিলস জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই মিলের দুর্নীতি আমাদের ভাবায়। মিলের আবাসন ও অন্যান্য সম্পদ থেকে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে আমাদের কাছে তথ্য আছে। আগামীকাল আবার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলে যাবেন বলে জানান তিনি। মিলের ইনচার্জ আবুল বাশার জানান, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অফিসে এসেছিলেন। তারা বেশকিছু বিষয়ে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। আমি উত্তর দিয়েছি। তারা সেসব বিষয়ের কাগজপত্র চেয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে আগামীকাল তাদের কাগজ দেখাব।
এদিকে আট দফা দাবি নিয়ে গতকাল নাটোরে বাংলাদেশ রোডস ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কার্যালয়ে আসেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পাঁচটি দাবি মেনে নিয়ে বাকি তিনটি ঊর্ধŸতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সহকারী পরিচালক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, আটটি দাবি নিয়ে ছাত্র সমাজ বিআরটিএ কার্যালয়ে আসেন। সহকারী পরিচালক পাঁচটি দাবি মেনে নেন। বাকি তিনটির জন্য সাত কর্ম দিবস সময় নিয়েছেন। দালাল প্রথা নির্মূল, ঘুষ ছাড়া কাজ করার নিশ্চয়তা, লাইসেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র অফিস থেকে প্রদান, অফিস কর্মকর্তা ও লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজ ব্যতীত বাইরের কেউ অফিসে আসতে পারবে না, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা, কোনো শো-রুম থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি বিক্রি হবে না নিশ্চিত করা, নাটোর প্রশাসন ভবন থেকে আলাদা জায়গায় নতুন অফিস এবং রেজিস্ট্রেশনের পর নম্বর আসার সাত দিনের মধ্যে ডিজিটাল নম্বর প্লেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো।