নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ওপর হামলা কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক পক্ষ সকালে সমাবেশ করেছে, অন্য পক্ষের নেতা-কর্মীরা বিকালে সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে একে অন্যকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আর এ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আবুল আউসাল আশা বলেন, ‘আবু আল ইউসুফ খান টিপু সাহেবের ওপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে টিপু সাহেবকেও বলব-আপনার ভাষা সংযত করুন। যত্রতত্র আজেবাজে কথা বলবেন না। আপনারা সবাই জানেন মিডিয়ায় এসেছে সুজন এবং রাজু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। আপনারা (টিপু-সাখাওয়াত) তাদের উল্টো মদদ দিচ্ছেন। আপনারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না। আপনাদের মতো চাঁদাবাজদের, টেন্ডারবাজদের, মামলাবাজদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কেউ রক্ত দেয়নি। আজকে কমিটি চলে গেলে রিকশায় ওঠার জন্য সঙ্গে লোক পাবেন না। সুতরাং সাবধান হয়ে যান।’
এদিকে বিকালে আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি দাবি করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ব্যানারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আতাউর রহমান মুকুলের কৃতকর্মের জন্য দল তাকে বহিষ্কার করেছিল। সে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি, দখলদারি করে মানুষকে মারধর করছে। তার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। অবিলম্বে আতাউর রহমান মুকুল, আবুল কাউসার আশার, মোস্তাক, সৌরভ রাজীবদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’