বগুড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে সবজির দাম। তবে কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণ হয়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই দিন আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা। হঠাৎ করে আবারো দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এদিকে বাজারে কমেছে ইলিশ মাছের দাম কমেছে। প্রকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ৬০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুকবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনী বাজার ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু মানভেদে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও আদার কেজি ২৮০, রসুন মানভেদে ২০০ থেকে ২৪০, শুকনামরিচ ৪০০, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল, মুলা ও মিষ্টিলাউ ৪০ টাকা, ঝিংগা, বরবটি ও কাকরোল ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
শহরের কলোনী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী হযরত আলী জানান, বাজারে সব ধরণের সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেশি। বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে মরিচের আবাদ নষ্ট হয়েছে। পরিস্থিততি স্বাভাবিক হলে দাম আবারো কমে আসবে।
এদিকে বাজারে ইলিশের পর্যপ্ত সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে বেশিরভাগ ইলিশের কেজিতে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। তারা বলছেন, ৬শ’-৮শ’ গ্রামের প্রতিটি ইলিশ মাছ আগে এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও গতকাল শুক্রবার তা ৭শ’-৮শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ আগে দুই হাজার থেকে ২২শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও তা দাম কমে ১৩শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। পাবদা মাছের কেজি আকারভেদে ২৫০-৪০০, টেংরা ৩২০-৪৬০, শিং মাছ ২৫০-৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ৩২০-৩৪০ টাকা, সাড়ে চার কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩২০-৩৪০ টাকা, তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।
চালের বাজারে গত সপ্তাহের দামেই বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। ফতেহ আলী বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৫৪-৫৮ টাকা, রঞ্জিত ৫৬-৫৮ টাকা, কাটারিভোগ ৬৭-৭০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
শহরের ফুলবাড়ী থেকে বাজার করতে আসা শ্রমিক রুহুল আমিন জানান, বাজারে সবজিসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি। বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকলে সবাই ভালো থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম