নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী সাদিয়া আয়মান। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে সরব ছিলেন এ অভিনেত্রী। নানা কাজ নিয়ে তাঁর বলা কথা তুলে ধরা হলো-
অভিনয়ে প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি ছাত্র আন্দোলেনও সরব ছিলেন, কেমন লাগছে?
শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেছিলাম। কাছের মানুষদের অনেকেই বলেছিলেন, ‘এসব পোস্ট করো না, পরে সমস্যা হতে পারে’। কিন্তু সত্যি কথা বলতে তো ভয়ের কিছু নেই। সেজন্য সাহস নিয়ে পোস্ট করি। নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি আমার জায়গা থেকে সত্য কথা বলেছি। এখন যেরকম মনের কথা সবাই বলতে পারছেন, এটাই হওয়া উচিত।
কেমন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছেন?
দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও সমাজ চাই। মিথ্যা মামলায় অনেকে শাস্তি পেয়েছেন, অনেকে গুম হয়েছেন। এসবের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হোক।
এখন অভিনয়ের ব্যস্ততা কেমন?
সবশেষ ১৮ জুলাই একটি এক ঘণ্টার নাটকের শুটিং করেছিলাম। শুটিং ডেট আগে থেকে দেওয়া ছিল। সেজন্য করেছি। তবে শুটিং ইউনিটে সারা দিন সবাই ভয়ে ছিলাম, আতঙ্কে ছিলাম। অনেক রাতে বাসায় ফেরার সময় আমার গাড়ির সামনে লোকজন এসেছে, চেক করেছে। তবে তারা শিক্ষার্থী ছিল না।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জকে কীভাবে দেখেন?
আমাকে এমন কোনো চরিত্রে এখনো অভিনয় করতে হয়নি যেগুলো খুবই চ্যালেঞ্জিং। পরিচিত মুখ, চেনা জীবনধারা, আশপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনার ছায়া আছে এমন গল্পই পর্দায় তুলে ধরতে হয়েছে। ভালো লাগার বিষয় হলো- সেসব গল্প ও চরিত্র দর্শকের কাছে সাদামাটা মনে হয়নি; বরং অনেকে অভিনীত নাটক, টেলিছবির প্রশংসা করেছেন। যে জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করি।
জনপ্রিয়তার নতুন মাপকাঠি ভিউ নিয়ে কী বলবেন?
ভিউ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমি আসলে কাজ নিয়ে দর্শকদের মন্তব্যগুলো দেখি। আমার নাটক নিয়ে মন্তব্যগুলো দেখবেন, সবার প্রশংসাই আমার অর্জন বলে মনে করি।
অভিনয়-জীবনের চাওয়া কী?
ভালো গল্পে কাজ করতে চাই। নিজের কাজ দিয়ে দর্শকের কাছে পৌঁছাতে চাই আমি।