ছাত্র আন্দোলন উসকে দেওয়ার জন্য যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দায়ী তাদের মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। গতকাল বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পৃথক বৈঠকে তারা এ দাবি জানান। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো মনোভাব জানা যায়নি। জানা যায়, বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তারা বের হওয়ার পর বৈঠক করেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এ বিষয় পরে রাশেদ খান মেনন ও ফজলে হোসেন বাদশা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেন।
ইনুর সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। ইনুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। রাশেদ খান মেনন ও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাক্ষাতের সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কী করণীয় তা জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, ছাত্রদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আলোচনার জন্য তাদেরকে গণভবনে আহ্বান জানানো হয়েছে।
মেনন বলেন, আমি বলেছি, সব দাবিই মেনে নিচ্ছেন, তাহলে আগে মেনে নিলে ভালো হতো। ছাত্র আন্দোলন উসকে দেওয়ার জন্য যেসব ব্যক্তি (মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী) দায়ী তাদের বিদায় করুন। মন্ত্রিসভায় রদবদল আনুন।’ তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্রদের গ্রেফতার বন্ধ করাসহ গণগ্রেফতার বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি। জানা গেছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। এ জন্য গতকাল সকালে তাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। ছাত্রদের জন্য গণভবনের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। জোটের শীর্ষ নেতারা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘাত-সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, ছাত্রদের সব দাবিই মেনে নিচ্ছেন, আগে নিলে আরও বেশি ভালো হতো। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছি। আমি আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। কিন্তু ছাত্ররা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তৃতীয় পক্ষ তাদেরকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা ও মনোভাব জানতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, ছাত্রদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি খুব দ্রুতই স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন তিনি।