স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শিগগিরই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিগত সরকারের আমলে লাইসেন্স করা অস্ত্রের অবৈধ ও অপব্যবহারের বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লিখিত কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে। রাষ্ট্রদূত পুলিশ সংস্কারে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে উপদেষ্টার কাছে জানতে চান। তিনি বলেন, পুলিশের বিশ্রামকালীন সময় কম থাকার কারণে অনেক চাপের মুখে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, আমরা পুলিশ সংস্কারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তা প্রাথমিক পর্যায়ে। আমরা পুলিশ বাহিনী ছাড়াও পর্যায়ক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্য বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নিচ্ছি। সাক্ষাৎকালে ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক দুর্নীতি রোধ করতে হবে। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে ফোর্স থেকে সার্ভিসে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের গ্রহণযোগ্য সংস্কার করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। পুলিশকে তাদের কাজের মাধ্যমে জনবান্ধব হতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এখানে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশ সদর দপ্তরে এসে পৌঁছালে একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।