পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এর পর থেকেই রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে দেশটির প্রদেশ থেকে প্রদেশে। গতকাল পাঞ্জাবের লাহোরেও বিক্ষোভ দেখা দেয়। ফলে সেখানেও সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সূত্র : ডন, বিবিসি।
খবরে বলা হয়, গতকালও ইসলামাবাদের পরিস্থিতিও ছিল উত্তপ্ত। রাওয়ালপিন্ডিতেও উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখছে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার। বড় বড় সড়কগুলোও কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে জারি থাকা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করার। কিন্তু পুলিশের বাধায় সেই বিক্ষোভ প- হয়ে যায়। ওই সময় বিক্ষোভের জন্য জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।এদিকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও সেনাবাহিনীর সঙ্গে উগ্রপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উগ্রবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। অপর পাঁচজন উগ্রবাদী বাহিনীর সদস্য। খাইবার পাখতুনখাওয়ার নর্থ ওয়াজিরিস্তানের স্পিনওয়াম এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবারের সংঘর্ষের রেশ পড়েছে পাঞ্জাবের লাহোরে। গতকাল লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে জড়ো হওয়ার কথা ছিল ইমরানের সমর্থকদের। তবে সেখানেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে সরকার। মিনার-ই-পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
