ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বন্দীরা গড়ে তুলেছেন সবজি খামার। কারা অভ্যন্তরে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তারা সবজি চাষ করছেন। এতে শুধু কারা পরিবেশই বদলে যায়নি, উৎপাদিত সবজি থেকে সরকারের বছরে আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কারা সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন মামলার আসামিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছেন সবজিবাগানে। কারাগারের বিশাল পরিত্যক্ত ভূমিতে প্রশিক্ষিত বন্দীদের মাধ্যমে বছরজুড়ে চলছে সবজি চাষাবাদ। এর মাধ্যমে বছরে সরকারের লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি বন্দীরা সংশোধন হচ্ছেন। তারা পাচ্ছেন মাসিক সম্মানী। ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’ এ মনমানসিকতা নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে ব্রাক্ষণাড়িয়া জেলা কারাগার। শহরতলির উরসীউড়ায় ১৭ একর জমির ওপর কারাগারটি প্রতিষ্ঠিত। প্রথম শ্রেণির এ কারাগারে বর্তমানে বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৮ জন। নারী বন্দী রয়েছেন ৫১ জন। তাদের সঙ্গে থাকা শিশুদের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার সেন্টার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সমাজসেবা অধিদফতরের উদ্যোগে এখানে বন্দীদের কৃষি, ইলেকট্রনিক্স, সেলাই ও নরসুন্দরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দুজন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে সপ্তায় পাঁচ দিন চলে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। বিশাল আয়তনের এ কারাগারে শ্রমিক ও মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের সাহায্যে বিভিন্ন মৌসুমি ফলসহ সবজির চাষ হচ্ছে। সূত্র জানায়, বন্দী এবং স্টাফদের খাবারের জন্য উৎপাদিত সবজির সিংহভাগ ব্যয় করা হয়। এতে প্রতি বছর সরকারের ১০-১২ লাখ টাকা আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। উৎসাহিত করার জন্য বন্দীদের কাজের জন্য দেওয়া হয় সম্মানী। কারা বাগানে নিয়মিত কাজ করে অনেকটাই স্বাবলম্বী একাধিক বন্দী। কারাগারে ঢেঁড়স, ডাঁটা, পুঁইশাক, লালশাক, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, আলু, টম্যাটো, বেগুন, পেঁপেসহ নানা জাতের শাক-সবজি উৎপাদন হচ্ছে বছরজুড়েই। কারা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এই প্রতিবেদক কথা বলেন কয়েকজন বন্দীর সঙ্গে। এ সময় বন্দী আল-আমীন বলেন, ‘বিভিন্ন মামলায় আমি দুই বছর আগে কারাগারে আসি। ভিতরে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর কারা বাগানে কাজের ব্যবস্থা হয়। বাগানে কাজ করে মাসে কিছু সম্মানী পাই। সব মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে এখানেই থেকে যাই। কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে বাগানে নিযুক্ত করেন। মাসে এখন ৮ হাজার টাকা বেতন পাই। তিন বেলা খানা খাই। বাড়িতে আর যাই না। আমার সঙ্গে কয়েকজন সহকর্মীও রয়েছেন।’ মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দী আজগর বলেন, ‘বাগানে নিয়মিত কাজ করি। মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতন পাই।’ বাঞ্ছারামপুরের আলম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা বাগানে কাজ করি। বিনিময়ে ভাতা পাই।’ নরসিংদীর মনসুর আলী বলেন, ‘বাগানে কাজ করে যা পাই তা বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। এ টাকা সংসারের কাজে ব্যয় হয়।’ জেলার মোহাম্মদ আবদুল বারেক বলেন, ‘তাদের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করি। এতে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। সবজির সিংহভাগ বন্দীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাদের মাসিক সম্মানী দেওয়া হয়।’ জেল সুপার মো. নূরুন্নবী ভুইয়া বলেন, ‘বন্দীদের কাজের মাধ্যমে তাদের কর্মক্ষম করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। এতে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়ছে।’
শিরোনাম
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রোটারী
- গণভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে সরকারের চিঠি
- দেশের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- কুমিল্লায় অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা
- স্টার্কের ডেলিভারিতে দগ্ধ ইংল্যান্ড, হেডের ব্যাটে লেখা জয়গাথা
- বাজি ধরে না চিবিয়ে পুরো বার্গার গেলার চেষ্টা, যুবকের করুণ মৃত্যু
- অ্যাশেজে মাত্র দুই দিনেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া
- ‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
- ফেব্রুয়ারিতে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
- মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩
- বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেবে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা