কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নয়টি আবাসিক হলের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগ নেতাদের বেশ কিছু বাইকেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ২০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত অনেকের নামে মামলা করেছে ছাত্রলীগ। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ভাঙচুর হওয়া হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে প্রাধ্যক্ষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে কয়েক শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের একপর্যায়ে বিভক্ত হয়ে শহীদ জিয়া হল, মাদার বখস হল, শাহ মখদুম হল, নবাব আবদুল লতিফ হল, আমীর আলী হল, মতিহার, শেরেবাংলা ও বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কক্ষ তল্লাশি ও ভাঙচুর চালায়। তারা বঙ্গবন্ধু হলে বেশ কিছু বাইকে অগ্নিসংযোগও করে। তল্লাশির পর তারা দাবি করেন, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের কক্ষ থেকে পিস্তলসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন সকালে ফের বিক্ষোভের ডাক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ নিয়ে ছাত্রী হলের দিকে যাওয়ার পথে একটি অংশ শহীদ হবিবুর রহমান হলে প্রবেশ করে এবং ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ ভাঙচুর ও বিছানাপত্র নিচে ফেলে অগ্নিসংযোগ করে। এদিনও তারা দাবি করেন, ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠন : কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হলকক্ষ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র উদ্ধারের সার্বিক খতিয়ে দেখতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক একরাম উল্ল্যাহকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে সদস্য সচিব রয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন মাদার বখস হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রোকনুজ্জামান, আইন বিভাগের অধ্যাপক আনিসুর রহমান ও ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক বাবুল ইসলাম। আট সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।