কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় আহত আরও চারজনের গতকাল মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুজন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা গেছেন। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার টেকানিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাদরাসা শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন (২৫), কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা গাড়িচালক সোহেল রানা (২০), যশোরের ঝিকরগাছার দেউরী গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ যাবির (২৩) এবং খুলনা রূপসা উপজেলার রহিমনগর গ্রামের বাসিন্দা দোকান কর্মচারী ইয়াসিন (১৭)। ঢামেক সূত্র জানায়, মাইনুদ্দিন যাত্রাবাড়ী সাইনবোর্ডের নিউটাউন এলাকায় থাকতেন। রায়েরবাগ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় গত ২১ জুলাই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫৪ মিনিটে বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
গত ১৯ জুলাই রামপুরা ডিআইটি রোডে আহত হন গাড়িচালক সোহেল রানা। বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠান রামপুরা থানার এসআই মানিক সাহা। একই দিন রামপুরায় আহত হন শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ যাবির। প্রথমে স্থানীয় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গত ২২ জুলাই ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়। এখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর ৪ টায় তার মৃত্যু হয়। গত ২১ জুলাই শনির আখড়ায় আহত হন দোকান কর্মচারী ইয়াসিন। তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে নেওয়া হয়। সূত্র জানায়, এ চারজন নিয়ে শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ৯৭ জনের লাশের খোঁজ পাওয়া গেছে।