অযত্ন আর অবহেলায় ধ্বংস হতে চলেছে রংপুরের বধ্যভূমিগুলো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় এর মধ্যে অনেকগুলো বধ্যভূমি বিলীন হওয়ার পথে। তার ওপরে ব্যক্তিমালিকানায় যেসব স্থানে বধ্যভূমি রয়েছে সেগুলো অধিগ্রহণের জটিলতায় আটকে আছে সংস্কার কাজ। সবশেষ ২০১২ সালের দিকে রংপুর বিভাগের বধ্যভূমিগুলো সংস্কারের জন্য সামান্য কিছু বরাদ্দ এসেছিল। সেই বরাদ্দ কাজ শুরু করার পরপরই শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে বরাদ্দ না আসায় অর্থাভাবে রংপুর বিভাগের শতাধিক বধ্যভূমির সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ থমকে যায়। এসব ফাইল ১২ বছরের বেশি সময় ধরে লাল ফিতায় বন্দি হয়ে রয়েছে। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার স্থান তথা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ১০৮ বধ্যভূমির ওপর জরিপ চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণগুলো চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে সরকার ৫০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এজন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে স্থান ও জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। সরকারি জমিতে থাকা বধ্যভূমি সংস্কারে কোনো সমস্যা না থাকলেও অনেক বধ্যভূমি রয়েছে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে। সেসব জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র জানায়, সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া বধ্যভূমির মধ্যে রংপুরে আছে ৫টি। কিন্তু এর ৩টি ব্যক্তিমালিকানায় থাকায় সেসব জমি এখন পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সংস্কারের সিদ্ধান্ত শুধু কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। তবে বাকি দুটির কিছুটা সংস্কার করা হয়। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, প্রথম দফায় ২০১২ সালের দিকে কিছু টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেলেও পরে বরাদ্দ না আসায় শুরু হওয়ার পরপরই থমকে গেছে সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ। ফলে এখনো বধ্যভূমিগুলো অবহেলায় পড়ে রয়েছে। তা ছাড়া রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুরের বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে বিভিন্ন জটিলতায় সংস্কার করা যাচ্ছে না। তথ্যানুসারে, রংপুর বিভাগে সর্বমোট ৩৯৫টি গণহত্যা হয়েছে। এই গণহত্যার স্থানগুলোতে বা তার আশপাশে গণকবর ও বধ্যভূমি গড়ে উঠেছিল। অনেক বধ্যভূমি উন্মুক্ত ভূমি বা জলাশয় ছিল। ভূমিতে বা জলাশয়ে লাশ পচে-গলে মাটিতে মিশে গেলেও জমি যাতে হাতছাড়া না হয় সেজন্য বধ্যভূমিকে জমির মালিকরা খুব একটা স্বীকার করেন না। সঙ্গত কারণে বধ্যভূমিগুলোতে হালচাষ বা অবকাঠামোর আওতায় আসায় বধ্যভূমি হারিয়ে যেতে বসেছে। রংপুর গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন বরাদ্দ আসছে না। অনেক বধ্যভূমির জমি ব্যক্তিমালিকানায় রয়েছে। ওই সব জমি উদ্ধার করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। তারা বধ্যভূমির জমি উদ্ধার করতে না পারায় সেগুলো চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।
শিরোনাম
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
- দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মুন্সীগঞ্জে পদোন্নতির দাবিতে প্রভাষকদের ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি
- এ রায় প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচারের প্রতিজ্ঞা: চিফ প্রসিকিউটর
প্রকাশ:
০০:০০, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
আপডেট:
০১:৫৯, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
অযত্ন অবহেলায় রংপুরের বধ্যভূমি
নজরুল মৃধা, রংপুর
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর