সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পোশাক শ্রমিকদের অস্থিরতার পেছনে তাদের কিছু ন্যায়সংগত দাবি আছে। সেটি বিবেচনার দাবি রাখে। কিন্তু এটি একবারে করা যাবে এমন না। এজন্য সময় লাগবে। হয়তো এগুলো ধাপে ধাপে করতে হবে। তবে কিছু কিছু দাবি হয়তো এখন মানা যেতে পারে। আর কিছু দাবি ধাপে ধাপে করতে হবে। এমনটি আমরা ওষুধ কারখানার শ্রমিকদের ডাকা বিক্ষোভের সময় দেখতে পেয়েছি। ওষুধ কারখানার শ্রমিকদের সমস্যা মিটমাট হয়েছে। তিনি বলেন, আবার এখানে অন্য কোনো ধরনের সমস্যা আছে কি না তা-ও দেখতে হবে। কারণ আমরা দেখেছি যে, এখানে ঝুটসহ নানা ধরনের ব্যবসায়িক স্বার্থের সংঘাত আছে। বিশেষ করে যারা স্থানীয় এবং এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এখানে আইনশৃঙ্খলার অনেক ব্যাপার আছে, এগুলো সেভাবেই দেখতে হবে। আমি মনে করি, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যে ন্যূনতম মজুরি তারা নেগোসিয়েট করেছিলেন গত বছর ডিসেম্বরে, তার ক্রয়ক্ষমতার অবনমন হচ্ছে। এটিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এখনই যে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে তা না। কিছু কিছু হয়তো এখন করা যেতে পারে। শ্রমিকরা টিফিনের বিল ও হাজিরার বিল বাড়াতে চেয়েছেন। এগুলো মালিকপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যেতে পারে।
তবে ভাঙচুর বা কারখানা বন্ধ এগুলো কাম্য না। কারণ অর্ডার চলে গেলে এবং কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান হারাবেন। এজন্য দুই পক্ষ থেকেই এ বিষয়টি বোঝার দরকার আছে। আমরা আশা করব সব কারখানা খুলে যাবে। এরই মধ্যে শ্রমিকরা কারখানায় যাওয়া শুরু করেছেন।
পরিস্থিতিও কিছুটা শান্ত হয়ে আসছে। শিল্পের স্বার্থও দেখতে হবে আবার শ্রমিকের স্বার্থও দেখতে হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। সমস্যাগুলো এক দিনে সমাধান করা যাবে না। পর্যায়ক্রমে যতটুকু সম্ভব তার সমাধান করতে হবে। কারণ কারখানা মালিকদেরও লাভের দিক ও অর্ডারের দিক এবং প্রতিযোগিতায় সক্ষমতার বিষয়টি দেখতে হবে। আবার শ্রমিকদের রুটিরুজির চিন্তাভাবনাকেও সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতে হবে।