মাত্র সোয়া কোটি টাকা ব্যয়েই মেরামত শেষে চালু হলো মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী মিরপুর-১০ স্টেশন থেকে যাত্রীরা যাতায়াত শুরু করছেন। দুই মাস ২৭ দিন পর মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় যাত্রীরা। তারা বলেন, চলাচলে মেট্রোরেলের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। মিরপুর-১০ স্টেশন চালু না হওয়ায় পাশের স্টেশন ব্যবহার করতে হতো। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি স্টেশন পর্যন্ত যাওয়া-আসার খরচও বাড়ে। এ ছাড়া মিরপুর-১০ স্টেশন বন্ধ থাকায় কাজিপাড়া ও মিরপুর-১১ স্টেশন দুটিতে যাত্রীর চাপ বাড়ে। এতে টিকিট কাটাসহ ওঠা-নামায় সময় লাগত। মুক্তা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘দ্রুত মিরপুর-১০ চালু হওয়ায় আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। এটা বন্ধ থাকায় বাসেও কিছুদিন যাতায়াত করতে হয় আমাদের।’ এর আগে সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু অন্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি, তাই সেসব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়’।
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। এতে আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল। ওইদিন বিকালে ভাঙচুরের শিকার হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন। এতে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়। এই দুটি স্টেশন সংস্কারে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এক বছর সময় লাগবে বললেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসের মধ্যেই স্টেশন দুটি চালুর করতে সক্ষম হলো। এতে খরচও হয়েছে খুবই কম। অথচ সে সময়ের সরকার বলেছিল স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে অন্তত ৩৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।