‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবছরের মতো গতকাল শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান বলেছেন, এক দশকে প্রায় ৬০ শতাংশ মাছের উৎপাদন বেড়েছে।
গতকাল মৎস্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদন বাড়ায় মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণ ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ দশমিক ৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। দেশের কৃষিজ জিডিপির ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ মৎস্য উৎপাদন খাতের অবদান। দেশের প্রায় ১২ শতাংশের অধিক মানুষ মৎস্য খাতের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বের ৫০টিরও অধিক দেশে বাংলাদেশ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে। বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দাবস্থা থাকা সত্ত্বেও ৭৭ হাজার ৪০৮ টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মাধ্যমে ৪০৫ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ইউএস ডলার (অর্থাৎ প্রায় ৪৪৯৬.৩৮ কোটি টাকা) বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন অর্জন করতে হলে মৎস্যখামার যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি মৎস্য চাষ ও ব্যবস্থাপনার প্রতিটি পর্যায়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।