রাজধানীর গুলশান এলাকায় দুজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে একজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি হত্যাকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনকে হত্যার ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত দোকানি মো. রফিকের (৬২) ছেলে বাপ্পি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় মো. সাব্বির (১৬) নামে ওই দোকানের এক কর্মচারীকেও হত্যা করা হয়। তদন্তে প্রাথমিক তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি কারণ সামনে রেখে ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। যার ভিত্তিতে হত্যাকারী সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া গেছে। তাকে ধরতে পারলে হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে। সেই সঙ্গে হত্যাকান্ডে ঠিক কতজন জড়িত ছিল তাও জানা যাবে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, দুজনকে হত্যার ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা এখনো জানা যায়নি। তবে একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে, যিনি ওই দোকানে কর্মচারী হিসেবে নতুন যোগ দিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পারলে ঘটনার অনেক তথ্য জানা যাবে।
গত শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৮ নম্বর রোডের ২১ নম্বর খালি প্লটের চায়ের দোকান থেকে রফিকুল ইসলাম (৬৫) ও তার চায়ের দোকানের কর্মচারী সাব্বিরের (১৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, নিহত রফিকের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি থানার ধুপদুপিয়া গ্রামে। আর সাব্বিরের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার রায়গঞ্জ বাজার বেপারীপাড়ায়।