১৪ বছরের শিশু মানিকগঞ্জের সুরুজ বিশ্বাস। ইউটিউবে দেখে কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি। আগ্রহ নিয়ে শুরু করে কোয়েল পাখি পালন। অল্প সময়ের ব্যবধানে পেয়েছে সাফল্য। দেড় বছরেই সফল উদ্যোক্তার পরিচিতি মিলেছে তার।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার নয়াডাঙ্গী গ্রামের পলান বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ বিশ্বাস। এখন চর জামালপুর আলিয়া মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। কোয়েল পাখি পালন করে মাসে আয় করছে ১ লাখ টাকা। সুরুজ বিশ্বাস মোবাইলে ইউটিউবে কোয়েল পাখি পালন দেখে দেড় বছর আগে শখ করে ৫০০টি কোয়েল পাখি ক্রয় করে পালন করতে শুরু করে। লাভের দেখা পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন শুরু করে। এখন তার খামারে ১০ থেকে ১৫ হাজার কোয়েল পাখির বাচ্চা রয়েছে। শুরুতে বিভিন্ন খামার থেকে এক দিনের বাচ্চা ক্রয় করে। এক মাস পালন করে তারপর দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে। খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। সুরুজ বিশ্বাস বলে, পাখিগুলো এক মাস লালনপালন করতে কমবেশি সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় সাড়ে ৪ লাখ টাকার কিছু বেশি। আয় থেকে সুরুজ আরেকটি ঘর (শেড) তৈরি করেছে। সুরুজ মাদরাসায় পড়তে গেলে সুরুজের মা সাহানাজ বেগম খামারে বাচ্চাদের দেখভাল করেন। সুরুজের ইচ্ছা সে নিজেই মেশিন কিনে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাবে। দেশের ৬৪টি জেলার পরিবহনের মাধ্যমে সুরুজের বাচ্চা পৌঁছে যাচ্ছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সহায়তায় হচ্ছে লেনদেন। সন্তানের সফলতা দেখে মা ও প্রবাসী বাবা খুশি। সুরুজের মা বলেন, কিছু দিন পর সুরুজের বাবাও দেশে এসে এই ব্যবসা করবেন। তাদের প্রতিবেশীরা জানান, সুরুজ আগে থেকেই হাঁস, মুরগি, কবুতর পালন করত। কোয়েল পাখি পালনের পর থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসাযাওয়া করছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, শিশু সুরুজ খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোয়েল পাখি পালন করে সফলতা দেখিয়েছে। আমাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।