রবিবার, ১০ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঢাকা লিগে বিশ্বকাপের ফুটবলার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বপ্নের বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশ কখনো খেলেনি। এই অসম্ভবকে সম্ভবে রূপান্তরিত করা যাবে কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই। না খেলুক, বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলাররা তো ঢাকার মাঠ মাতিয়ে গেছেন। যে স্মৃতি কখনো ভোলবার নয়। তিন জন তারকা ফুটবলারের ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে খেলার রেকর্ড রয়েছে। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে ইরাক। সেই দলে নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন শামির সাকির ও করিম মোহাম্মদ। ১৯৮৭ সালের দলের শক্তি বাড়াতে আবাহনী উড়িয়ে আনে বিশ্বকাপে খেলা শামির ও করিমকে। বিশ্বকাপের খেলোয়াড় ঢাকা লিগে খেলবেন তা ছিল স্বপ্ন। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে প্রথম মাঠে নামেন ইরাকি এই দুই ফুটবলার। তাদের দেখতে পুরো গ্যালারি ভরে যায়। দলে বিশ্বকাপের ফুটবলার থাকলেও আবাহনী সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট ছিল তারা। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ইরানের অভিষেক হয়। সেই বিশ্বকাপে ইরানের গোলরক্ষক ছিলেন নাসের হেজাজি। ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকা লিগে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের পক্ষে খেলতে আসেন। ঢাকা আসার পর তাকে দলের কোচও করা হয়। তবে একটি ম্যাচে অংশ নেন হেজাজি। আবাহনীর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডানের গোলরক্ষক কানন আহত হলে মাঠেই জার্সি পাল্টিয়ে মাঠে নামেন হেজাজি। দলকে এনে দেন ৩-২ গোলে জয়। তারই প্রশিক্ষণে মোহামেডান টানা দুই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়। নাইজেরিয়ার এমেকাও ১৯৮৭ সালে মোহামেডানে খেলেন। তবে তিনি বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পান ১৯৯৪ সালে। মোহামেডানে খেলা ইরানের নালজেগারও বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে খেলেন।

 হেজাজি ও শামির পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচও হন। ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসে ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম সোনা জিতে শামিরের প্রশিক্ষণে।

সর্বশেষ খবর