শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

নিবন্ধ

বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই

কাজী হায়াৎ
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই

সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী। নতুনরা দারুণ আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে। এর ফলে নায়ক-নায়িকার সংজ্ঞাও বদলে যাচ্ছে...

 

বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা-বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই। কিন্তু আমরা এখন চলচ্চিত্রকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দেখি। এফডিসিকেন্দ্রিক লোকজন বিকল্পধারাকে আপন করে নিতে পারে না। নায়ক-নায়িকা দেখতে কেমন হবে তারও নির্দিষ্ট মাপকাঠি রয়েছে। এতে কি আমরা অবশ্যই পিছিয়ে যাচ্ছি। আমার মনে হয়, সিনেমার কোনো বিভাজন থাকা উচিত নয়। এফডিসির লোকেরা যেমন আর্ট ফিল্মকে টেলিফিল্ম বা নাটক বলে অনেক সময়, আর্ট ফিল্মের লোকেরাও কিন্তু এফডিসির সিনেমাকে সিনেমাই মনে করে না। এসব বিভাজন এখন ঘুচে যাচ্ছে। এবারের ঈদেও যে ছবিগুলো সুপারহিট হয়েছে তা কিন্তু তথাকথিত বাণিজ্যিক ঘরানার নয়। আমি সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে যেহেতু সব ছবি দেখার সুযোগ পাই তা বলতে পারি, সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী। নতুনরা দারুণ আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে। এর ফলে নায়ক-নায়িকার সংজ্ঞাও বদলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। এখন ভালো শিল্পীরাই কাজের সুযোগ পাবেন বেশি।

আমি যখন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আসি তখন আমার চোখে এর অবস্থা খুব ভালো ছিল। কারও কারও হয়তো ভিন্নমত থাকতে পারে। তখন একটি ধাঁচেই ছবি হতো ইন্ডাস্ট্রিতে। ফর্মুলা ছবি বা বাণিজ্যিক ধারার ছবি বলতে আমরা যেটাকে বুঝি সেটিই হতো। এর কারণও ছিল, যা এখনকার অনেকেই জানে না। তখন সিনেমা হলে সিনেমা নিয়ে গেলেই চালাত না। এখন তো একটি সিনেমা বানালে তা মুক্তির পর যদি ১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয় তার মধ্যে ৫ টাকা পান প্রযোজক, বাকি অর্ধেক সিনেমা হল মালিকদের। কিন্তু তখন ‘হাউস প্রোটেকশন’ নামে একটি টার্ম ছিল। এর মানে হলো, একটি সিনেমা হলের সাপ্তাহিক যে খরচ সেটি প্রযোজক পকেট থেকে দিয়ে তারপর ছবি চালাতে হতো। ধরেন ১০ টাকা টিকিট বিক্রি হয়েছে এক সপ্তাহে, সেখান থেকে সিনেমা হলের খরচা বাবদ ‘হাউস প্রোটেকশন’ হিসেবে ২ টাকা বাদ দিয়ে বাকি ৮ টাকা দুই ভাগ করে নিতেন প্রযোজক ও সিনেমা হল মালিক। সেই আমলে বলাকা সিনেমা হলের ‘হাউস প্রোটেকশন’ ফি ছিল ৩০-৪০ হাজার টাকা। বুঝতেই পারছেন অঙ্কটা কত বড়! এটা তো গেল সিনেমা হিট হওয়ার পর হিসাব। আর যদি সিনেমা ফ্লপ হতো তাহলে তো প্রযোজক কোনো টাকা পেতেনই না, উল্টো ‘হাউস প্রোটেকশন’ বাবদ তাকে গাঁটের পয়সা দিতে হতো হল মালিককে! নয়তো হল মালিকরা সিনেমার প্রিন্ট আটকে রাখত। এ অবস্থা আমি আসার আগে থেকেই ছিল। যেটি মোটামুটি আশির দশকের শেষ দিক পর্যন্ত ছিল। যেহেতু শিল্পমান সম্পন্ন সিনেমার জনপ্রিয়তা বরাবরই আমাদের দেশে কম, এজন্যই তখন জীবনঘনিষ্ঠ সিনেমা বা আর্টস্টিক সিনেমা কেউ বানিয়ে লোকসানের ভাগীদার হতে চাইতেন না। ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমাই হতো।

আমার জীবন কত সহস্র স্মৃতি, অভিজ্ঞতা ঠাসা, তাই না? একটা বলতে গেলে দর্শকের প্রিয় আম্মাজান সিনেমাটার কথাই বলি। এ ছবি করার আগেই আমার একের পর এক ছবি সুপারহিট হয়ে জনপ্রিয়তা শীর্ষ ছুঁয়েছে। প্রযোজকরা আমার ওপর অন্য রকম আস্থা করতে শুরু করেছেন। আমার আর মান্নার জুটিটাও তৈরি হয়ে গেছে। এমন সময় আম্মাজানের গল্পটা মাথায় আসে। অবাক করা কান্ড, এমন পরিস্থিতিতেও একাধিক প্রযোজক ছবিটি করতে রাজি হলেন না। তাদের দাবি ছিল, যে ছবিতে নিজের মায়ের ধর্ষণের দৃশ্য ছেলে স্বচক্ষে দেখেছে সেই ছবি কোনোভাবেই দর্শক সাদরে গ্রহণ করবে না। তারা তো ছবিটি করতে রাজিই হয়নি, আমাকে উল্টো পরামর্শ দিল, অন্য প্রযোজককে দিয়েও যেন ছবিটি করিয়ে তাদের সর্বনাশ না করি! কিন্তু আমার তেমনটা মনে হয়নি। গল্পটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী ছিলাম। এমন সময় হুট করেই ডিপজল আমাকে ফোন করে বলল, দ্রুত একটি ছবি করেন আমার হাউস থেকে। কিন্তু একটাই শর্ত মান্নাকে কাস্টিং করা যাবে না। কারণ তার কিছুদিন আগেই মান্নার সঙ্গে ডিপজলের কি একটা বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে। আমি প্রযোজকের শর্ত মেনে নিয়ে প্রথমে হুমায়ুন ফরীদি, এরপর রুবেলকে নিয়ে ছবিটি করতে চাইলাম। কিন্তু তাদের শিডিউল মিলছিল না। খবরটি মান্নার কানে যেতেই আমাকে ফোন দিল। আমি একটু বকা দিয়েই বললাম, ছবিটি করতে না পারলে তোর ক্যারিয়ার থেকে একটা বড় ছবি হাতছাড়া হবে। তুই যে করেই হোক ডিপজলের সঙ্গে মিটমাট করে ফেল। অবশেষে তাদের দূরত্ব কমে গেল। এরপর মায়ের চরিত্রের জন্য প্রথমেই গেলাম শাবানা ম্যাডামের কাছে। তিনি গল্পটি শুনে রীতিমতো কাঁদলেন। পরদিন এফডিসিতে যেতে বললেন শিডিউল দেবেন বলে। আমি পকেটে নগদ ২ লাখ টাকা অ্যাডভান্স নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। দেখি উনি আমাকে দেখে খালি সরে সরে যাচ্ছেন। অবাক হলাম, পরে যখন কথা হলো, উনি বললেন, হায়াৎ সাহেব ছবিটি আমি করতে পারব না। কারণ হিসেবে বললেন, এখনই আমাকে মান্নার মায়ের চরিত্রে কাজ করতে অনেকেই নিষেধ করেছেন। তার নায়ক আলমগীর সাহেব, জসীম সাহেবরা হয়তো বাণিজ্যিক চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে আমাকে বিখ্যাত সাংবাদিক খোকা জামান চৌধুরী একদিন বললেন, হায়াৎ সাহেব, আপনি কি জানেন শবনম ম্যাডাম পাকিস্তান থেকে দেশে থিতু হয়েছেন। উনি এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং কাজ করবেন বলে আমার বিশ্বাস। আপনি দেখা করেন, আমি আপনার কথা বলে রাখব। আমি গেলাম, শবনম ম্যাডাম এক বাক্যে রাজি হলেন এবং অনেক কম পারিশ্রমিকেই কাজটি করে দিলেন। শুধু তাই নয়, তার মতো অভিনেত্রী আমাকে এক সেকেন্ডের জন্য কোনো যন্ত্রণা দেননি। অসম্ভব মনোযোগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটি করেছেন। তার ফল তো পরে দর্শক দিয়েছেন।

মান্নাকে প্রথম দেখি ১৯৮৪ সালে এফডিসিতে নতুন মুখের সন্ধানে প্রোগ্রামে। তখন বলিউডে মিঠুনের যুগ চলছে। মান্না মিঠুনের গানেই ভালো নেচে দেখাল। এর কদিন পরেই ডিপজলের বড় ভাই শাহাদাৎ আমাকে বললেন, আমাকে এক মাসের মধ্যে একটি ছবি করে দেন, আমার জিদ আমার নানাকে অন্তত একটা ছবি প্রযোজনা করে দেখাব! আমার সৌভাগ্য যে, প্রযোজকরা বরাবরই আমার গল্প আর আমার প্রতি আস্থাশীল হয়েছেন। কে নায়ক-নায়িকা সেটা খুব একটা ভাবতেন না। এজন্যই আমি অনেক নতুন শিল্পীকে সুযোগ করে দিতে পেরেছি। সেভাবেই মান্নার কথাটা মনে পড়ে। ঠিকানা নিয়ে তার মোহাম্মদপুরের বাসাই যাই। কিন্তু সে আমাকে নামে চিনলেও চেহারায় চিনত না বলে প্রথমে আমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। কারণ সে তখন একটু খারাপ লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা করত। আমাকে ভেবেছে সিনেমায় কাজের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে মেরে ফেলব। তখন এমন চিত্র দেখা যেত ঢাকায়। কিন্তু আমি আসার সময় তাকে মিরপুরের একটি স্টুডিওর ঠিকানা দিয়ে এসেছিলাম, মত বদলালে দেখা করতে। সে পরে হয়তো কারও কাছে আমার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে আশ্বস্ত হয়ে দেখি জামা কাপড় নিয়ে স্টুডিওতে হাজির। সেই শুরু হলো তার সঙ্গে প্রথম সিনেমার কাজ। অনেক বাণিজ্যসফল ছবি আমরা একসঙ্গে উপহার দিয়েছি। একটা পর্যায়ে আমার এক সহকারী পরিচালককে মান্না বলেছিল, আমি মুখে রঙ না মাখলে তো তোর ওস্তাদের পেটেও ভাত যাবে না! আমি সেটা শুনে খুব আহত হই। মনে হতে লাগল, আমিই মান্নাকে সুযোগ দিয়েছি, তৈরি করেছি। সেই এখন নিজেকে এত বড় ভাবছে, আমাকে অপমান করে কথা বলছে। আমি বরং তাকে এড়িয়ে চলি। আমি দেখিয়ে দেব, কাজী হায়াৎ চাইলে যে কাউকে দিয়েই ছবি হিট করাতে পারে। এরপর আমার ছেলেকে নিয়ে বাজি ধরলাম। সে দেখত অতটা নায়কোচিত নয়, কিন্তু তারপরও ‘ইতিহাস’ ছবিটি সুপারহিট হলো। সেটা ভিন্ন গল্প, মান্নার প্রসঙ্গে আসি। সে মৃত্যুর ছয় মাস আগে একদিন আমার বাড়িতে এসে তার কথার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বলল, একটা নতুন ছবি করতে হবে। এভাবেই তার সঙ্গে মনোমালিন্য দূর হয়ে যায়।

একসময় চলচ্চিত্রের দুর্দিন এসে গেল। পাইরেসি একটা বড় কারণ ছিল। আমি পাইরেসির কবলে পড়ে ‘ইতিহাস’-এর মতো সুপার ডুপারহিট ছবিটি থেকে কোনো টাকা ফেরত পাইনি। সেই টাকা পেলে আজ আমি যথেষ্ট সম্পদের মালিক থাকতাম। এর ওপর ছিল অশ্লীল ছবির জয়জয়কার। এসব কারণেই মারুফকে নিয়ে আমার জার্নিটা শুরুতেই হোঁচট খায়। তারপরও ছবিটি দর্শক পছন্দ করেছে, আমি আর মারুফ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলাম। এরপর তাকে নিয়ে আরও কয়েকটি সুপারহিট ছবি আমি করেছি, কিন্তু টাকা আমার কাছ পর্যন্ত আসেনি। তা ছাড়া তার প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছিল, যারা ছিল অনেক স্ট্রং। ফিল্ম পলিটিক্সে পড়েই মারুফ আমেরিকায় পাড়ি জমায়।

অনুদানের জন্য সরকার প্রতি বছর প্রচুর টাকা দিচ্ছে। ২০-২৫ কোটি টাকা দিলে এর অর্ধেক এফডিসিতে আনার চেষ্টা করব। সেই টাকা দিয়ে মূলধারার নির্মাতা বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরি করবে। এই টাকা দিয়ে ব্যবসা হলে আবার ফেরত দেবে। ইতিহাস কিংবা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ছবি বানানোর জন্য বাকি টাকা যেন সরকার ব্যয় করে। প্রতি বছর এভাবে যদি ১০টি ছবিতে অনুদান পাওয়া যায় তাহলে ১০ বছর মূলধারার ১০০ পরিচালক ছবি বানাতে পারবে। আমি বিষয়টি নিয়ে সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে পাস করানোর চেষ্টা করব। আমি গণপূর্তমন্ত্রী ও সচিবের কাছে বলব, তারা যেন ১০-১২ একর জমি আমাদের দিয়ে ঘর তৈরি করে দেন। কোনো ইন্টারেস্ট না নিয়ে যেদিন ফ্ল্যাটের মূল্যটা ভাড়ার টাকায় শেষ হবে সেদিন আমাদের লিখে দিলেই হবে। আমার মনে হয়, এমন সুন্দর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী, পূর্তমন্ত্রী ও সচিব মেনে নেবেন।

আমি একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের একটি ছেলে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার তাড়াইল গ্রামে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। (ঈষৎ হেসে) আপনারা এবং পাঠকরা জানলে অবাক হবেন, আমার শিক্ষাজীবন শুরুর ঘটনা শুনলে। আমার শিক্ষাজীবন শুরু হয় আমাদের রান্নাঘরে। মা তালপাতা সেদ্ধ করে পেরেক দিয়ে তাতে অ আ ক খ এঁকে দিতেন। কড়াইয়ের কালি গুলিয়ে বাঁশের কঞ্চির কলমে মেখে সেই আঁকার ওপর ঘোরানো ছিল আমার প্রাথমিক শিক্ষা। এরপর আমার গ্রামের একটি পাঠশালায় যাতায়াত। সেও এক অদ্ভুত বিষয়। ১৯৪৮-৪৯ সালের কথা। আমাদের শিক্ষক ছিলেন ঋষিকেশ মুখার্জি। আমাদের গ্রাম থেকে আরও দু-তিন গ্রাম দূরে ছিল তার বাড়ি। সেখান থেকে রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে পায়ে হেঁটে আসতেন বিনা পয়সায় আমাদের পড়াতে। আমাদের গ্রাম মূলত হিন্দু অধ্যুষিত। কিছু মুসলমানও বাস করত। তিনি জাত-পাত নির্বিশেষে শিশুদের অক্ষর জ্ঞান দান করতে এতটা কষ্ট করতেন।

প্রাইমারি শিক্ষার গন্ডি পার করেছি আমাদের এলাকাতেই মডেল স্কুলে। ক্লাস ফাইভে প্রতিটি স্কুলের প্রথম সারির কয়েকজন মিলে বৃত্তি পরীক্ষা হতো। আমি বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম গোপালগঞ্জে, যদিও বৃত্তি পাইনি। তবে একটা মজার ঘটনা হলো, আমি সবার মধ্যে এত ছোট ছিলাম যে, সবাই আমাকে দেখতে আসত। শুধু তাই নয়, হাই বেঞ্চে পরীক্ষা হতো, আমি বসলে নাগাল পেতাম না। তাই পুরোটা পরীক্ষা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দিতে হয়েছিল আমাকে। এরপর মাধ্যমিক শিক্ষা মদন মোহন একাডেমিতে। ম্যাট্রিক পাস করি ১৯৬৪ সালে। এরপর ভর্তি হই পাশের গ্রামের রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ কলেজে। পড়েছিলাম কমার্সে। এটিও হাসি পায় ভাবলে! আমার বড় দুই ভাই পড়েছে আর্টস নিয়ে। আমার ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা আনার জন্য কমার্স দেওয়া হলো আমার কোনো মতামত ছাড়াই। আমি এমকম পাস করেছি। কমার্সের পড়াশোনা আমার জন্য এতটাই কঠিন ছিল যে, রাত জেগে অনেক পরিশ্রম করে পড়াশোনা শেষ করেছি। কিন্তু আজকে বুঝি, সেই পড়াশোনা আমার জীবনে বিন্দুমাত্র কাজে লাগেনি। যা হোক, কলেজজীবনে ফিরি। ১৯৬৭ সালে আমি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হই ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। সে সময় মুসলমানদের একটা সেন্টিমেন্ট কাজ করে কলেজের নাম নিয়ে, বেশির ভাগ ছাত্র মুসলমান, এটার নাম কেন শ্রীকৃষ্ণ কলেজ হবে? কলেজের নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন বিদ্যোৎসাহী মেম্বার। কিন্তু আমি তাতে বাধা দিই। ফলে আমাকে ফোর্স টিসি দিয়ে কলেজ থেকে বহিষ্কার করে দিলেন। বহিষ্কৃত ছাত্ররা তখন ভালো কোনো কলেজে পড়ার সুযোগ পেত না। ভর্তি হই টিঅ্যান্ডটি নাইট কলেজে। কিন্তু ক্লাস করতে গিয়ে খারাপ লাগত যে, আমার সহপাঠীরা সব দাড়িওয়ালা বয়স্ক লোক। তারা আসলে নানা চাকরিজীবী, কাজের শেষে রাতে পড়াশোনা করছে ডিগ্রি লাভের আশায়। আমার বন্ধু নিমাই দাশ জগন্নাথ কলেজে পড়ল। তার কাছে পরামর্শ চাইলাম কীভাবে সাধারণ কলেজে পড়ার সুযোগ পাব। সে আমাকে কলেজ ট্রান্সফারের পরামর্শ দেয়। সেভাবেই ভর্তি হলাম পুরান ঢাকার সলিমুল্লাহ কলেজে। তখনো যেমন জীর্ণশীর্ণ ছিল কলেজটি, কিছুদিন আগে দেখতে গিয়েছিলাম, একই অবস্থাতেই আছে, দেখে খুব খারাপ লেগেছে। যা হোক, সেখানেও মন বসল না। দুই দিন ক্লাস করার পরই ট্রান্সফার হয়ে চলে গেলাম কায়েদে আজম কলেজে। এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হতে লাগল দ্রুত। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, দেশের এই অস্থির সময়ে ডিগ্রি পরীক্ষা আর হলো না। আমার আর বিকম পাস করা হলো না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করলাম। দেশ স্বাধীনের পর যে কলেজ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হলো সেই কলেজের প্রিন্সিপালই আমাকে আবার ডেকে নিলেন। সেখান থেকেই বিকম পাস করলাম। এরপর ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে এমকম সম্পন্ন করলাম। 

সংস্কৃতির প্রতি দুর্বলতা, সংস্কৃতিচর্চা, সিনেমার প্রতি প্রেম এসব তো আর একদিনে হয় না। ছোটবেলা থেকেই একটা জার্নির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমিও নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজের মধ্যে সিনেমার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও টান আবিষ্কার করেছিলাম। একটা কথা আছে, কেউ যখন কিছু মনপ্রাণ দিয়ে চায় সে সেটা পেয়ে যায়। ফলে পড়াশোনা করার পর বেশি দিন আমাকে অপেক্ষা করতে হলো না। পরিচালক হওয়ার জন্য ট্রেনিং নিতে শুরু করলাম সহকারী পরিচালক হিসেবে। এফডিসির কাছেই ছিল আমার বাসা। বিজি প্রেস কোয়ার্টারের পাশেই চাচাতো ভাই লোকমান শরিফের বাসায় থাকতাম। ভাগ্যটা ভালো ছিল বলেই হয়তো আমার সিনেমায় আসার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। নিয়মিত এফডিসিতে যেতাম। সব পরিচালকের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করলাম আর তাদের সঙ্গে কাজের বাসনার কথা বলতাম। অনেকের কাছে কাজ চাইলেও শুরুতেই পাইনি, ঘা খেয়ে খেয়ে প্রথম কাজ পাই আমজাদ হোসেনের সঙ্গে, তবে একদিন পর আর ডাকলেন না। তারপর গেলাম আজিজুর রহমানের কাছে, তিনিও একদিনের জন্য কাজে নিয়েছিলেন। অবশেষে ১৯৭৮-এর ডিসেম্বরে যোগ দিলাম মমতাজ আলীর সহকারী পরিচালক হিসেবে, ‘সোনার খেলনা’ ও ‘কে আসল কে নকল’ ছবিতে টিকে গেলাম। কিন্তু এরপর তিনি নিজেই বেকার হয়ে গেলেন। তখন টিএসসিতে বসে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সারা দিন আড্ডা আর সমষ্টি গোষ্ঠীতে সন্ধ্যায় থিয়েটার চর্চা শুরু করলাম। তবে এফডিসির মায়া ছাড়তে পারতাম না। মাঝে মাঝে এফডিসিতে আসতাম। আলমগীর কবিরের সঙ্গে আগে থেকেই টুকটাক পরিচয় ছিল, উনার মতো গুণী পরিচালকের কাছ থেকে শিখতে চাইতাম অনেক কিছু, জানার একটা স্পৃহা ছিল আমার মধ্যে। সে জন্যই গায়ে পড়ে উনার সঙ্গে কথা বলতাম, অনেক প্রশ্ন করতাম। একদিন এফডিসিতে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, আপনি কি এখন কারও সঙ্গে কাজ করছেন। আমি বললাম, না। তিনি বললেন, আমার একটি ছবির অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। আপনি চাইলে আমার সঙ্গে অ্যাসিস্ট করতে পারেন। সেই ছবিটিই কালজয়ী ‘সীমানা পেরিয়ে’। সেই কাজ করতে করতেই আমি ছবি পেয়ে গেলাম ‘দ্য ফাদার’। পূর্ণাঙ্গ পরিচালক হিসেবে আমার যাত্রা শুরু হলো এই ছবি দিয়ে ১৯৭৮-এ। এরপর আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পুরো ক্যারিয়ারে মাত্র তিন দিন বাদে আমাকে আর বেকার থাকতে হয়নি। শুক্রবারে ‘দ্য ফাদার’ মুক্তি পেল, সোমবারে এক প্রযোজক আমাকে ফোন করে আমার দ্বিতীয় ছবির প্রস্তাব দিলেন। ছাত্রজীবনে যেসব ছবি করতে চাইতাম তেমনি একটি ছবির গল্প নিয়ে তার অফিসে গেলাম। সেটি ছিল রবীন্দ্রনাথের ক্ষুধিত পাষাণ গল্প অবলম্বনে ‘রাজবাড়ি’ ছবিটি। সেই ছবি করাকালীনই ‘দেলদার আলী’, ‘খোকন সোনা’, ‘মনা পাগলা’ একের পর এক ছবি নির্মাণের সিরিয়াল শুরু হয়ে গেল। এ পর্যন্ত ৫২টি ছবি নির্মাণ করেছি। সর্বশেষ ছবি আমি এখনো সেরা কাজটি করতে পারিনি। দুটো ছবির গল্প তৈরি আছে। ‘ঘুম’ আর ‘হুসনার জবানবন্দি’। এই ছবি দুটি আমার কল্পনার মতো করে বানাতে পারলে সেটিই হবে আমার সেরা কাজ।

 লেখক : চলচ্চিত্রকার

এই বিভাগের আরও খবর
একই সুতোয় গাঁথা
একই সুতোয় গাঁথা
বড় হওয়া ঐচ্ছিক
বড় হওয়া ঐচ্ছিক
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
সর্বশেষ খবর
সূর্যের রহস্য উন্মোচন : খুঁজে পাওয়া গেল অদৃশ্য চৌম্বক তরঙ্গ
সূর্যের রহস্য উন্মোচন : খুঁজে পাওয়া গেল অদৃশ্য চৌম্বক তরঙ্গ

২৭ সেকেন্ড আগে | বিজ্ঞান

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

অবশেষে সবুজ মমির রহস্যের জট খুলল
অবশেষে সবুজ মমির রহস্যের জট খুলল

২২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

নবনিযুক্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে ডুয়েট উপাচার্যের মতবিনিময়
নবনিযুক্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে ডুয়েট উপাচার্যের মতবিনিময়

৪৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই বইমেলার সময় জানা যাবে
নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই বইমেলার সময় জানা যাবে

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম
পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রঙিন সবজিতে ভরে ওঠবে গৃহিণীর আঙিনা
রঙিন সবজিতে ভরে ওঠবে গৃহিণীর আঙিনা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বরিশাল নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
বরিশাল নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ
টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে আমন ধান
কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে আমন ধান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইশতেহারের আগেই কমিশন থেকে ৪ শিক্ষকের পদত্যাগ
ইশতেহারের আগেই কমিশন থেকে ৪ শিক্ষকের পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার
প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ, কী এমন ঘটল?
ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ, কী এমন ঘটল?

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শরীয়তপুরে দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ২
শরীয়তপুরে দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা
চাঁদপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট
কুমিল্লায় বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাবি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি গঠন
ঢাবি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি গঠন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বকেয়া টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানিকে পিটিয়ে জখম
বকেয়া টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানিকে পিটিয়ে জখম

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বাবুলের গণসংযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিব
নারায়ণগঞ্জে বাবুলের গণসংযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিব

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে গুলিতে নিহত ২
গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে গুলিতে নিহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামালপুরে অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
জামালপুরে অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার
মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া
‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি
শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর
দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা
কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর
কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে
ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান
আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক
নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার
বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৬৭ হাজার টাকায়
পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৬৭ হাজার টাকায়

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস
প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই বছরে দেড় লাখ মৃত্যু, কেন রক্তে ভাসছে সুদান
দুই বছরে দেড় লাখ মৃত্যু, কেন রক্তে ভাসছে সুদান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়েটা করে ফেললে মাঝপথেই তো আটকে গেলাম: পূজা চেরি
বিয়েটা করে ফেললে মাঝপথেই তো আটকে গেলাম: পূজা চেরি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!
চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!

১৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা
এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিয়ে নয়, জীবনে স্বাধীন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে শিখেছি’
‘বিয়ে নয়, জীবনে স্বাধীন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে শিখেছি’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের
নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ
বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে
এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?
দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?

১৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

৩ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের আভাস, টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
৩ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের আভাস, টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নাসার তৈরি সুপারসনিক বিমানের সফল উড্ডয়ন
নাসার তৈরি সুপারসনিক বিমানের সফল উড্ডয়ন

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির
ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন
এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব
নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব

মাঠে ময়দানে

শোবিজ কাঁপানো প্রেম
শোবিজ কাঁপানো প্রেম

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক
বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক

নগর জীবন

আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা
আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!
চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!

নগর জীবন

৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের
৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের

পেছনের পৃষ্ঠা

আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ
আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই
গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি
মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি

প্রথম পৃষ্ঠা

আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ
আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে
দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়
ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়

পেছনের পৃষ্ঠা

গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর
গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর

খবর

এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়
এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়

পেছনের পৃষ্ঠা

পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস
পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের
দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন দলের চার নেতা কুশলী প্রচারে
তিন দলের চার নেতা কুশলী প্রচারে

নগর জীবন

মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে
দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম
বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে
নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর
বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান
নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!
দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!

পেছনের পৃষ্ঠা