শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

নিবন্ধ

বড় হওয়া ঐচ্ছিক

আবু তাহের
প্রিন্ট ভার্সন
বড় হওয়া ঐচ্ছিক

কবি শামসুর রাহমান বলে গেছেন, ‘মহাজ্ঞানী প্লেটো আরব মুল্লুকে পরিচিত ছিলেন ‘আফলাতুন’ নামে। আমাদের আফলাতুন শাব্দিক অর্থেই আফলাতুন।’

 

‘অনেকেই কবিতা লেখে, সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি। সাংবাদিকতা অনেকের পেশা, সবাই সাংবাদিক নয়, কেউ কেউ সাংবাদিক।’ কথাগুলো বলেছিলেন সাহিত্যিক-সাংবাদিক আফলাতুন। চাকরি করতেন ‘দৈনিক বাংলা’য়, তুমুল আড্ডায় মেতে থাকতেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের রোজ বিকালের সদস্য-জটলায়। প্রেস ক্লাব তখন লালরঙা দোতলা ভবন। আমরা জনা পাঁচেক সমমনা ‘সংবাদশ্রমিক’ ছিলাম আফলাতুন দাদুর গভীর অনুরাগী। হ্যাঁ, তাঁকে আমরা ‘দাদু’ সম্বোধন করতাম। নানা বিষয়ে তাঁর বিশদ জ্ঞান ছিল; কিন্তু সেগুলোর প্রকাশ ঘটত আকস্মিক কোনো পরিস্থিতিতে। কবি শামসুর রাহমান বলে গেছেন, ‘মহাজ্ঞানী প্লেটো আরব মুল্লুকে পরিচিত ছিলেন “আফলাতুন” নামে। আমাদের আফলাতুন শাব্দিক অর্থেই আফলাতুন।’

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ভাড়া-করা বাড়িতে বাস করতেন আফলাতুন দাদু। আমিও ওই এলাকায় অনেকদিন থেকেছি। আড্ডা শেষে প্রেস ক্লাব থেকে রাত আটটার দিকে বাড়িমুখো হতেন। কখনো রিকশায় উঠতেন না, হেঁটেই যেতেন। কেন? ফিটনেসের প্রয়োজনে। একবার বলেছি, আপনি তো পলকাদেহী, ফুঁ দিলে হাওয়ায় ভেসে যাবেন, আপনার আবার ফিটনেস! তিনি বললেন, আয়! আমার সঙ্গে লড় দেখি। এমন একখান আছাড় মারব, চিতপটাং হয়ে থাকবি সাড়ে তিন দিন।

প্রচুর পান খেতেন আফলাতুন দাদু। পান চিবোতে চিবোতে শাহজাহানপুর যাত্রাকালে অনেক সময় তাঁর সঙ্গী হয়েছি। হাঁটতে হাঁটতে তিনি দেশ-দুনিয়া-রাজনীতি-মানবচরিত্র সম্পর্কে যেসব কথা বলতেন সেগুলোর মধ্যে থাকত নিবিড় পর্যবেক্ষণের হিরণ¥য় দ্যুতি। এখন তাঁর চলে যাওয়ার (মৃত্যু : ১৪ মে, ২০০৬) ১৮ বছর পরে আফসোস হয়, কেন যে ওসব টুকে রাখলাম না। রসিকতার ছলে হুল ফুটিয়ে দেওয়ার অতুলনীয় মুনশিয়ানা ছিল আমাদের এই দাদুর। এ লেখার একেবারে শেষ দিকে ওই মুনশিয়ানার নমুনা থাকবে।

‘ছুটি’ ম্যাগাজিনে আমার কয়েকটি নিবন্ধ বেরিয়েছিল। সেগুলো পড়ে মুগ্ধ আফলাতুন আমায় পরামর্শ দেন, ‘শুধু পয়সার জন্য না, নিজের আনন্দের জন্যও লিখিস।’

জানতে চাইলাম, নিজের আনন্দ জিনিসটা কী। তিনি বলেন, যে লেখায় মানুষের ন্যূনতম উপকার হয় সেটাই লেখকের জন্য আনন্দ বয়ে আনে বেশি। এইটা তোরে রাহাত খানও কইছিল। তুই রাহাতরে কইছস-‘লেইখা দুই পয়সা পাইলে তাতেই নিজের আনন্দ।’

লোকসংগীত সংগ্রাহক ও লেখক বিখ্যাত অধ্যাপক মুহাম্মদ মনসুরউদ্দিনের (জন্ম : ৩১ জানুয়ারি, ১৯০৪-মৃত্যু : ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭) বাড়ি শান্তিনগরে। আমার তদানীন্তন অফিসও ওই এলাকায়। অসুস্থ অধ্যাপককে দেখতে যাচ্ছেন আফলাতুন। পথিমধ্যে আমাকে পেয়ে বলেন, ‘চল্ স্যারের সঙ্গে তোর পরিচয় করিয়ে দিই।’ গেলাম। অধ্যাপক মনসুরউদ্দিন গড়গড়া হুঁকোয় তামাক সেবন করছিলেন। দুজনের সংলাপ বিনিময় উপভোগ্য। অধ্যাপক আমায় বলেন, আপনার এই দাদু যে ভয়ানক এক পাষ- তা জানেন। দারুণ ছোটগল্প লিখত এই হারামি। তিন বছর ‘দেশ’ (কলকাতার) পত্রিকায় ওর গল্প বেরিয়েছে। হঠাৎ লেখা বন্ধ করে দিল। কেন জানেন! বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের সাহিত্যপ্রতিভা বিকশিত করবার জন্য সংগঠন করবে।

সেদিন আফলাতুন আমায় বুদ্ধি দেন, খবরের কাগজে জীবনকালে দেখা-শোনা-জানা ব্যাপারগুলো আড্ডায় যেভাবে বলিস সেগুলো সুযোগ পেলেই ছাপার অক্ষরে পরিবেশন করবি। নিজের আনন্দ হবে, যারা পড়বে তাদের জ্ঞান না হলেও মজা তো পাবে। সেই থেকে এভাবে লিখে চলেছি যেভাবে আজ এখানে লিখছি।

বাঘ হয়ে যায় গরু : বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৯৯’তে পাকিস্তানকে হারিয়ে দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই টিমের অলরাউন্ডার নাঈমুর রশিদ রাহুলের বাবা আবদুর রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, অর্থনীতিতে তিনি এমএ। আইনশাস্ত্রে ডিগ্রিধারী। পাবনার বিখ্যাত অধ্যাপক আবদুল হামিদের জ্যেষ্ঠপুত্র আবদুর রশিদ (মৃত্যু : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১) তাঁর জনকের আগ্রহে ধর্মবিষয়ক ডিগ্রি ‘মমতাজুল মোহাদ্দিসিন’ হাসিল করেছিলেন।

আগাগোড়া আলোকিত মানুষ আবদুর রশিদ একটা লিমিটেড কোম্পানির পরিচালক ছিলেন। এ কোম্পানির মালিকানায় যে দৈনিক পত্রিকাটি বের হতো তার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন তিনি। ঘটনাক্রমে ২০০৫ সালে আমি ওই পত্রিকায় যোগ দিলাম। দেখি তিনি এ পত্রিকার সবার প্রিয় গুরুজন। অচিরেই রশিদ ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হই। দুপুরে তাঁর বাড়ি থেকে খাবার আসত তাঁর ও আমার। ভাবির রান্নার হাত চমৎকার। যতদিন ওই পত্রিকায় কাজ করেছি প্রায় প্রতিদিনই রশিদ ভাইয়ের কল্যাণে সুস্বাদু সব খাবার খেয়েছি।

রশিদ ভাই একদিন আমায় বলেন, রবি ঠাকুর মনে করতেন মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ। সম্ভবত উনি ভালো মানুষের ওপর আস্থা রাখার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য ওরকম বলে থাকতেন। তবে আমি আমার জীবনে যা যা দেখেছি তার ভিত্তিতে আপনাকে বলি-‘ধরুন আপনি গাঁয়ের পথে হাঁটছেন। আপনার বিপরীত দিক থেকে আসা পথিক জানায়, ওই যে দূরে তালগাছ তার গোড়ায় একটা বিলাই ছিল। কিছুক্ষণ পর সে দেখেছে বিলাইটা বাঘ হয়া গেছে। ওর কথা আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।

কিংবা ধরুন, এক ব্যক্তি আপনাকে জানাল যে তাদের বাড়ির পুকুরের সবচেয়ে বড় রুই মাছটি হঠাৎ কুমির হয়ে গেছে। এটাও বিশ্বাস করলে করতে পারেন। অথবা ধরুন, এক রিপোর্টার আপনাকে বলছে, চিড়িয়াখানায় একটা ঘোড়া পাঁচ মিনিটের মধ্যে হাতি হয়ে গেছে। এটাও বিশ্বাস করা যায়।

এই যে আমাদের স্পোর্টস এডিটর আসিফ ইকবাল। ধরুন আসিফ একদিন আপনাকে বললেন, ভাই নরসিংদীতে আমাদের বাড়ির লাগোয়া জঙ্গলে বাঘ এসেছিল। কয়েক শ লোক সশস্ত্র হয়ে জঙ্গল ঘেরাও করে ফাঁকা গুলির আওয়াজ করতে থাকে। ভয়ার্ত বাঘ লাফ দিয়ে পালায়। জনতাও তাকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেতে খেতে বাঘটি সবার চোখের সামনে গরু হয়ে গেল। আসিফের এ রিপোর্টও আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।

কিন্তু কেউ যদি বলে, কুখ্যাত অমুক মন্দ মানুষটি ভালো হয়ে গেছে, খবরদার! কখনোই তা বিশ্বাস করবেন না।’

শতভাগ নির্ভুল : বংশাল রোডে ‘সংবাদ’ অফিস। সম্পাদক আহমদুল কবির গম্ভীর মুখে তাঁর কামরায় আসীন। তাঁর মন খারাপ। কেননা ‘গণভবন’ থেকে জানানো হয়েছে ‘সংবাদ’-এ প্রকাশিত ‘যে আবেদন এখন আর রাষ্ট্রপতির সামনে যায় না’ শীর্ষক সংবাদটি ভিত্তিহীন। তখন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান। প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ মৌখিকভাবে করেছেন রাষ্ট্রপতির তথ্য উপদেষ্টা দাউদ খান মজলিশ। তথ্য উপদেষ্টা আর সংবাদ সম্পাদক সম্পর্কে খালাতো ভাই। সম্পাদক মনঃকষ্টে ভুগছেন; তাঁর নির্বাহী সম্পাদক আওয়াল খান ভরসা দিচ্ছেন-‘রিপোর্টটি নির্ভরযোগ্য। বানোয়াট রিপোর্ট ও কখনোই করে না।’

‘ও’ মানে মতিউর রহমান চৌধুরী (এখন ‘মানবজমিন’-এর প্রধান সম্পাদক)। সহকর্মী কামদা প্রসাদ ভৌমিক বলল, ‘আইজকা মনে অয় মতিউররে খাইছে।’ প্রতিবেদনটি পড়লাম যার সারকথা : সাধারণ নাগরিকরা বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকার দাবি করে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে সরাসরি আবেদন পাঠান। আবেদনগুলো প্রতি সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির নজরে নেওয়া হলে তিনি সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকদের দিকনির্দেশনা দেন। এতে চটজলদি উপকার পাওয়া যায়। দুই বছর এটা চলেছে। তারপর আর আবেদনগুলোর প্রক্রিয়াকরণ নেই।

জরুরি তলব মতিউর রহমান চৌধুরীকে। সম্পাদক আহমদুল কবির জানতে চান, তোমার সোর্স কে? মতি বলেন, তা তো বলা যাবে না। সম্পাদক বলেন, ‘লুক আওয়াল, হাউ ডেয়ার দিস গাই! হি ইজ অবজেটিং টু ডিভালজ টু হিজ এডিটর।’ মতি বলেন, ‘আপনি কেবল এডিটর নন, পত্রিকার মালিকও। মাই সোর্স মে বি হার্মড বাই ইয়োর অ্যাকশন। টু মি মাই সোর্সেস সিকিয়োরিটি ইজ ফার্স্ট।’

আওয়াল ভাই খুব নিচু স্বরে মতির সঙ্গে একটু আলাপ করার পর চেয়ার থেকে উঠে সম্পাদকের কাছে গিয়ে কানে ফিসফিস করলেন। পরক্ষণে আহমদুল কবির একচেঞ্জে নির্দেশ দেন ‘গণভবনে তথ্য উপদেষ্টাকে ধর।’ লাইন পেতেই বললেন : ‘দাউদ, মাই রিপোর্টার ইজ হানড্রেড পার্সেন্ট রাইট। আই অ্যাম প্রাউড অব হিম’- বলেই রিসিভার রেখে দিলেন সশব্দে। রিপোর্টার কিছুতেই সম্পাদকের কাছে সোর্সের পরিচয় দিলেন না। তদুপরি বুক চিতিয়ে বললেন, তার কাছে সংবাদ উৎসের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদককে সোর্স জানালেন না, কিন্তু পেশাদার সাংবাদিক নির্বাহী সম্পাদকের কাছে ঠিকই সব বললেন। সবই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে নিলেন আহমদুল কবির। পত্রিকার মালিক তিনি, সেই অহং দ্বারা তিনি ক্ষুব্ধ হননি, গর্জে ওঠেননি। তার বদলে রিপোর্টারের জন্য গর্ববোধ করলেন। মিনার উচ্চতার ব্যক্তিত্ব যাঁদের তাঁরা এমনই হয়ে থাকেন। হয়তো এঁদের দেখেই সেই প্রবচনটির উদ্ভব যেখানে বলা আছে-‘বার্ধক্য অপরিহার্য, বড় হওয়া ঐচ্ছিক।’

ত্রিভুবনে নাই : মহাজন সাংবাদিক আতাউস সামাদ (জন্ম : ১৬ নভেম্বর, ১৯৩৭-মৃত্যু : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২) এনটিভি নেটওয়ার্কের সিইও থাকার সময় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার মালিক-সম্পাদক ছিলেন। ‘এখন’ নামের পত্রিকাটিতে লিখবার জন্য অনুরোধ করলেন তিনি। এক পাতার লেখা, শিরোনাম ‘মিঠেকড়া’। স্থির হয়, বিষয়বস্তু তিনি ব্রিফ করবেন, লেখা কীভাবে সংগ্রহ করা হবে জানালেন। এরপর প্রশ্ন, ‘তোমায় কত দিতে হবে?’

‘এ কী কথা সামাদ ভাই!’ বলেছি আমি, ‘আপনার কাগজে লিখবার যোগ্য ভাবলেন আমাকে, এ তো বিরাট সম্মান।’ তিনি বলেন, ‘দেখ, আমি তো জমেদ আলী সমেদ আলী কাউকে ডাকিনি। তোমাকে ডেকেছি তুমি পারো তা-ই। যে পারে সে করে; যে পারে না সে শেখায়।’ কত আমার প্রত্যাশা জানাবার জন্য চেপে ধরলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে এতই যখন লাজ, মুন্নার কাছে বোলো।’

সাংবাদিক মুন্না মিয়া নানাবিধ কাজে আতাউস সামাদের সহায়ক হয়ে কাজ করতেন। মুন্নাকেও আমি কোনো অঙ্ক বলিনি। প্রথম চার সপ্তাহের লেখার যে সম্মানি সামাদ ভাই দেন তা মুগ্ধকর ছিল। মাসের প্রথম সপ্তাহে আগের মাসের বিল পেয়ে যেতাম। ‘এখন’ অফিসে গেলে কোনো কোনো দিন সামাদ ভাইকে পেতাম, দেখতাম খুব ব্যস্ত। ওই অবস্থাতেই খোশগল্প করতেন। তীব্র রসিকতাও করতেন। একদিন দেখি শওকত মাহমুদ (জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি) আর সামাদ ভাই।

বললেন, তাহেরকে কেন লাইক করি জানো? কারণ মূসা ভাই ওকে লাইক করেন। মূসা ভাই (স্বনামখ্যাত সাংবাদিক এ বি এম মূসা। জন্ম : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১-মৃত্যু : ৯ এপ্রিল, ২০১৪) বলেছেন, গোঁয়ারের মতো যতই কথা বলুক না কেন তাহেরের দিলটা কিন্তু ভালো। বাট বি অ্যালার্ট। যাদের দিলটা ভালো তাদের কিল্টাও কিন্তু স্পিডিলি আসে। শওকত মাহমুদ জানান, তিনি সংবাদ-এ আমার সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছেন; আমাকে কখনো কাউকে প্রহারোদ্যত হতে দেখেননি।

সেদিন কথা কথায় আতাউস সামাদকে বলি, ১৯৯১ সালে ‘ভোরের কাগজ’-এ তিনি একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের ঘটনাবলির ওপর যে নিবন্ধ লিখেছেন তাতে একটা অসম্পূর্ণতা আছে। তিনি লিখেছেন, ‘ওই সময় লাহোর থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক  ‘সান’-এর ঢাকায় একটি ব্যুরো ছিল। আমি আর আমার বন্ধু আওয়াল খান দুজনে মিলে ওই ব্যুরো চালাতাম।’ আমি বলেছি, আপনি তো ব্যুরো চিফ ছিলেন। তথ্যটা চেপে গেছেন।

‘হ্যাঁ, তোমার কথা ঠিক।’ বলেন আতাউস সামাদ, ‘চেপে গিয়েছি। ওটা এক ধরনের তৃপ্তি। তোমারও তো বয়েস হচ্ছে। একটা বয়সে পৌঁছে বুঝবে বন্ধুকে ছোট করে যাদের বড় হতে হয় তাদের মতো কাঙাল ত্রিভুবনে নাই।’

কাঙাল কাহারে কয় : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ হওয়ার পর কিছুদিন জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিলেও বেশি মনোযোগী ছিলেন রাজনীতিতে। তিনি স্বজেলা নোয়াখালীতে থিতু হলে তাঁর জায়গায় দলের কেন্দ্রীয় কৃষি সম্পাদক হন মতিয়া চৌধুরী।

প্রায় তিন বছর হলো হানিফ ভাই দুনিয়া ত্যাগ করেছেন। আমার বয়সী প্রাক্তন ছাত্রলীগারদের অনেকের স্মৃতিতে হানিফ ভাই এক অক্ষয় সম্পদ। নীতিনিষ্ঠা, সততা আর বিদ্যানুরাগ তাঁকে মহান করে তুলেছিল। শৈশবে তাঁর বাবা মারা যান। সীমাহীন অনটনের ভিতর মানুষ হয়েছেন। যখন জিলা স্কুলে পড়তেন তখন আমার বোনের বাড়িতে লজিং থাকতেন। সে বাড়ির লোকেরা তাঁকে যে গভীর মমতায় আগলে রাখতেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বাষ্পরুদ্ধ হয়ে যায় তাঁর কণ্ঠ।

অধ্যাপক হানিফ বলতেন, ‘দারিদ্র্য কুৎসিত। তার চাইতেও কুৎসিত কপট বড়লোকী।’ তাঁর স্কুলজীবনের একটি ঘটনা বলেছিলেন। তখন নাইনে পড়েন। ক্লাস টিচার জানান, আমেরিকা কিছু শীতবস্ত্র উপহার দিয়েছে পাকিস্তানের গরিব ছাত্রদের জন্য। তোমরা যারা নিতে আগ্রহী নাম বল, আমি তালিকা করছি। ক্লাসের চারদিক থেকে একযোগে আওয়াজ উঠল-‘হানিফের নাম লিখুন স্যার, হানিফের নাম লিখুন। ও খুব গরিব।’ শীতবস্ত্রের চারটি বড় কার্টন রাখা ছিল টিচারের আসনের পাশেই। ক্লাস মনিটর একটি কার্টন খুলে ভিতরের মাল যাচাই করে। একেবারে ব্র্যান্ড নিউ বাহারি ডিজাইনের উলের পুলওভার সব। ওটা দেখে বড়লোকের পুত্ররা উদ্বেগাফুল হয়ে হাঁক দেয়-‘আমার নাম লিখুন স্যার, আমার নাম লিখুন।’

মোহাম্মদ হানিফ এবার উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘স্যার মেহেরবানি করে আমার নামটা কেটে দিয়ে এদের নাম লিখুন। মাগনায় শীতের কাপড় পাওয়া এদের বেশি দরকার। আমি গরিব। এরা তো কাঙাল। কাঙালের আকুতিতে সাড়া দেওয়া গরিবের কর্তব্য।’

কবিতার গন্ধ : ডেইলি স্টার-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ ফাহিম মোনায়েম ১/১১ সরকারের জমানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হয়েছিলেন। তাঁর বাবা সৈয়দ নূরউদ্দিন সাংবাদিক এবং কবি হিসেবে স্বনামখ্যাত ছিলেন। সৈয়দ নূরউদ্দিন বহু বছর বিদেশে চাকরিবাকরি করে জেনারেল জিয়ার আমলে দেশে ফিরে আসেন। তখন আমি সংবাদ-এ। এ পত্রিকায় তিনি উপদেষ্টা সম্পাদক নিযুক্ত হন। খুবই আধুনিক মনের মানুষ। তরুণদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠলে বিশুদ্ধ কিশোরগঞ্জিয়া ভাষায় বাংলা বলতেন। কিন্তু তাঁর কাব্যভাষা ছিল মোহন। এজন্য ত্রিশের দশকের সেরা কবিদের অন্যতম বলে গণ্য হতেন।

আমাদের দাদু আফলাতুন ছিলেন কবি সৈয়দ নূরউদ্দিনের জুনিয়র দোস্ত। এক বিকালে তাঁরা দুজন প্রেস ক্লাবের বৈঠকঘরে গোলটেবিল ঘিরে পরচর্চা করছেন। এমন সময় স্যুটেড-বুটেড দুই ভদ্রলোক এলেন। এরা সাংবাদিক নন। একজন ইতালি থাকেন, সৈয়দ নূরউদ্দিনের পুরনো পরিচিত। বললেন, ‘সৈয়দ ভাই, আপনার অমুক কবিতায় অসাধারণ কিছু শব্দ পেলাম। এত চমৎকার ব্যবহার করলেন সেই শব্দগুলো। মারভেলাস! ম্যাজিকটা কী বলুন তো।’

‘ম্যাজিক-ফ্যাজিক কিছু না।’ ফুরফুরে মেজাজে বলেন সৈয়দ নূরউদ্দিন, ‘টু টেল ইউ ফ্র্যাংকলি, টয়লেটে আমি যখন হাই কমোডে বসি, বিচিত্র সব শব্দ তখন মাথায় আসে। টয়লেট থেকে বেরিয়েই শব্দগুলো নোট করে রাখি। যখন কবিতা লিখতে বসি, নোটবই থেকে শব্দগুলো নিয়ে লাগসই লাইনে বসাই। দ্যাটস অল।’

আফলাতুন বলেন, ‘অ!’

‘অ করছিস কেন’ জানতে চাইলেন কবি সৈয়দ নূরউদ্দিন, ‘হোয়াট ডু ইউ মিন বাই অ?’

‘অ মানে বুঝলাম আর কী।’

নূরউদ্দিন, ‘কী বুঝলি?’

আফলাতুনের উত্তর, ‘বুঝলাম, কেন আপনার কবিতায় এত দুর্গন্ধ।’

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
একই সুতোয় গাঁথা
একই সুতোয় গাঁথা
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
সর্বশেষ খবর
সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকছে না
সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকছে না

৭ মিনিট আগে | বাণিজ্য

পাকুন্দিয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পাকুন্দিয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কানাডায় মহান মে দিবস পালিত
কানাডায় মহান মে দিবস পালিত

১৩ মিনিট আগে | পরবাস

দুর্ঘটনা প্রবণ সড়কে গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
দুর্ঘটনা প্রবণ সড়কে গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু আর নেই
নাটোরে সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু আর নেই

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্য আটক, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার
বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্য আটক, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনে হামলা; আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন জবাবের হুঁশিয়ারি আনসারুল্লাহ’র
ইয়েমেনে হামলা; আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন জবাবের হুঁশিয়ারি আনসারুল্লাহ’র

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটোরে দোকান সিলগালা, জরিমানা
নাটোরে দোকান সিলগালা, জরিমানা

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘শেরপুরের উন্নয়নে ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়
‘শেরপুরের উন্নয়নে ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

রূপচর্চায় কোন তেলের কী কাজ
রূপচর্চায় কোন তেলের কী কাজ

৪২ মিনিট আগে | জীবন ধারা

ভিসা পেতে জাল নথিপত্র না দেওয়ার আহ্বান সুইডিশ দূতাবাসের
ভিসা পেতে জাল নথিপত্র না দেওয়ার আহ্বান সুইডিশ দূতাবাসের

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নই আঞ্চলিক শান্তির চাবিকাঠি : পাকিস্তান
জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নই আঞ্চলিক শান্তির চাবিকাঠি : পাকিস্তান

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নবীনগরে আজিজ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
নবীনগরে আজিজ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ কন্যা লামিয়ার মায়ের মানসিক পুনর্বাসনের নির্দেশ আদালতের
শহীদ কন্যা লামিয়ার মায়ের মানসিক পুনর্বাসনের নির্দেশ আদালতের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সীমান্তে কেন আটার মজুদ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান?
সীমান্তে কেন আটার মজুদ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যবিপ্রবিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
যবিপ্রবিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেশিনে চাষাবাদে বেড়েছে ফলন, কমেছে পরিশ্রম-খরচ
মেশিনে চাষাবাদে বেড়েছে ফলন, কমেছে পরিশ্রম-খরচ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জে বাল্যবিবাহের কারণ ও করণীয় বিষয়ে কর্মশালা
কিশোরগঞ্জে বাল্যবিবাহের কারণ ও করণীয় বিষয়ে কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যানজট এড়াতে ট্রাফিকের সঙ্গে সতর্ক ছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরাও
যানজট এড়াতে ট্রাফিকের সঙ্গে সতর্ক ছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরাও

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া
আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত
দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ
৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া
গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির
এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ময়মনসিংহে মেজর পরিচয়ে বিয়ে, গ্রেফতার ৪
ময়মনসিংহে মেজর পরিচয়ে বিয়ে, গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকসই উন্নয়নের জন্য সকল খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
টেকসই উন্নয়নের জন্য সকল খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন ডা. জোবাইদা রহমান
১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন ডা. জোবাইদা রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই বিশ্বযুদ্ধ স্মরণে জাতীয় ছুটি ঘোষণা ট্রাম্পের
দুই বিশ্বযুদ্ধ স্মরণে জাতীয় ছুটি ঘোষণা ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইয়েমেনে তাণ্ডব চালাল ৩০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান
ইয়েমেনে তাণ্ডব চালাল ৩০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো’, বিমানে ওঠার আগে বললেন খালেদা জিয়া
‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো’, বিমানে ওঠার আগে বললেন খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঈদুল আজহার তারিখ জানাল আমিরাত
ঈদুল আজহার তারিখ জানাল আমিরাত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মি
ইসরায়েলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, থাকবেন ‘মাহবুব ভবনে’
১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, থাকবেন ‘মাহবুব ভবনে’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক মহড়ার আগেই ডুবে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাহাজ
সামরিক মহড়ার আগেই ডুবে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাহাজ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো ইরান
পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের পথে খালেদা জিয়া
দেশের পথে খালেদা জিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়া
দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের কয়েকটি রাজ্যে যুদ্ধমহড়ার নির্দেশ
ভারতের কয়েকটি রাজ্যে যুদ্ধমহড়ার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি, কুয়েত ও জর্ডানে ভয়াবহ ধূলিঝড়
সৌদি, কুয়েত ও জর্ডানে ভয়াবহ ধূলিঝড়

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফিরোজা’র নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, সামনে নেতাকর্মীদের ঢল
‘ফিরোজা’র নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, সামনে নেতাকর্মীদের ঢল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের ৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ
দেশের ৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহা থেকে ঢাকার পথে খালেদা জিয়া
দোহা থেকে ঢাকার পথে খালেদা জিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে কর্মসূচি, নেতাকর্মীদের যে জরুরি বার্তা দিলেন ফখরুল
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে কর্মসূচি, নেতাকর্মীদের যে জরুরি বার্তা দিলেন ফখরুল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুফতি ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ
মুফতি ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শ্রমিকের ৮০০ কোটি টাকা স্বপনের পেটে
শ্রমিকের ৮০০ কোটি টাকা স্বপনের পেটে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএল প্লে-অফে যেতে কার কী সমীকরণ?
আইপিএল প্লে-অফে যেতে কার কী সমীকরণ?

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুক্রবার আত্মপ্রকাশ ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্মের, নেতৃত্বে যারা
শুক্রবার আত্মপ্রকাশ ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্মের, নেতৃত্বে যারা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্থায়ীভাবে পুরো গাজা দখলের দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েল?
স্থায়ীভাবে পুরো গাজা দখলের দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েল?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীদের ভাতা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন
স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীদের ভাতা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানকুনি পাতার উপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগে আগ্রহী ইতালি
বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগে আগ্রহী ইতালি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিগ্যাল চ্যানেলে শ্রমিক নিতে আগ্রহী ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
লিগ্যাল চ্যানেলে শ্রমিক নিতে আগ্রহী ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধের আশঙ্কায় যুবকদের ট্রেনিং দিচ্ছে ভারত
যুদ্ধের আশঙ্কায় যুবকদের ট্রেনিং দিচ্ছে ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে প্রেমিক
প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে প্রেমিক

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জনজোয়ারে ফিরছেন খালেদা
জনজোয়ারে ফিরছেন খালেদা

প্রথম পৃষ্ঠা

অনলাইনে ঢুকলেই প্রতারণার ফাঁদ
অনলাইনে ঢুকলেই প্রতারণার ফাঁদ

নগর জীবন

রইস হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম
রইস হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাজারে সাতক্ষীরার আম
বাজারে সাতক্ষীরার আম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধ উত্তেজনায় নতুন মাত্রা
যুদ্ধ উত্তেজনায় নতুন মাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঈদের আগেই পাওয়া যাবে নতুন নোট
ঈদের আগেই পাওয়া যাবে নতুন নোট

শিল্প বাণিজ্য

হাসপাতালে বসেই মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি
হাসপাতালে বসেই মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসুতে নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড়
ডাকসুতে নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড়

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি

নগর জীবন

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নতুন উপকারভোগী ৪ লাখ
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নতুন উপকারভোগী ৪ লাখ

শিল্প বাণিজ্য

ফের অচলাবস্থা কুয়েটে
ফের অচলাবস্থা কুয়েটে

পেছনের পৃষ্ঠা

করপোরেট করহার নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
করপোরেট করহার নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটজুড়ে পরিবেশের ওপর নির্যাতন
সিলেটজুড়ে পরিবেশের ওপর নির্যাতন

নগর জীবন

বাড়ছেই বিতর্কের মামলা
বাড়ছেই বিতর্কের মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বাস্থ্যে আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ
স্বাস্থ্যে আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা মালার মতো গাঁথতে চেয়েছি : মাসুদ পারভেজ
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা মালার মতো গাঁথতে চেয়েছি : মাসুদ পারভেজ

শোবিজ

শশীর কোনো হেটার্স নেই নেগেটিভিটি নেই
শশীর কোনো হেটার্স নেই নেগেটিভিটি নেই

শোবিজ

বার্সা-ইন্টার অলিখিত ফাইনাল
বার্সা-ইন্টার অলিখিত ফাইনাল

মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ভুট্টায় ঝুঁকছেন কৃষকরা
বগুড়ায় ভুট্টায় ঝুঁকছেন কৃষকরা

নগর জীবন

দানবীয় লুকে মোশাররফ করিম
দানবীয় লুকে মোশাররফ করিম

শোবিজ

নিউজিল্যান্ডকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

ফুটবলার মহসিনের সন্ধানে বাফুফে
ফুটবলার মহসিনের সন্ধানে বাফুফে

মাঠে ময়দানে

মেয়র ঘোষণা নিয়ে মামলা খারিজ
মেয়র ঘোষণা নিয়ে মামলা খারিজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের অন্তরালে পপি
ফের অন্তরালে পপি

শোবিজ

আজও কেন কালজয়ী ‘ওরা ১১ জন’
আজও কেন কালজয়ী ‘ওরা ১১ জন’

শোবিজ

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে

মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কায় টাইগারদের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
শ্রীলঙ্কায় টাইগারদের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

মাঠে ময়দানে

হ্যারি কেইনের প্রথম শিরোপা
হ্যারি কেইনের প্রথম শিরোপা

মাঠে ময়দানে

ফিফার অনুমতির অপেক্ষায় সামিত
ফিফার অনুমতির অপেক্ষায় সামিত

মাঠে ময়দানে