শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

নিবন্ধ

বড় হওয়া ঐচ্ছিক

আবু তাহের
প্রিন্ট ভার্সন
বড় হওয়া ঐচ্ছিক

কবি শামসুর রাহমান বলে গেছেন, ‘মহাজ্ঞানী প্লেটো আরব মুল্লুকে পরিচিত ছিলেন ‘আফলাতুন’ নামে। আমাদের আফলাতুন শাব্দিক অর্থেই আফলাতুন।’

 

‘অনেকেই কবিতা লেখে, সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি। সাংবাদিকতা অনেকের পেশা, সবাই সাংবাদিক নয়, কেউ কেউ সাংবাদিক।’ কথাগুলো বলেছিলেন সাহিত্যিক-সাংবাদিক আফলাতুন। চাকরি করতেন ‘দৈনিক বাংলা’য়, তুমুল আড্ডায় মেতে থাকতেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের রোজ বিকালের সদস্য-জটলায়। প্রেস ক্লাব তখন লালরঙা দোতলা ভবন। আমরা জনা পাঁচেক সমমনা ‘সংবাদশ্রমিক’ ছিলাম আফলাতুন দাদুর গভীর অনুরাগী। হ্যাঁ, তাঁকে আমরা ‘দাদু’ সম্বোধন করতাম। নানা বিষয়ে তাঁর বিশদ জ্ঞান ছিল; কিন্তু সেগুলোর প্রকাশ ঘটত আকস্মিক কোনো পরিস্থিতিতে। কবি শামসুর রাহমান বলে গেছেন, ‘মহাজ্ঞানী প্লেটো আরব মুল্লুকে পরিচিত ছিলেন “আফলাতুন” নামে। আমাদের আফলাতুন শাব্দিক অর্থেই আফলাতুন।’

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ভাড়া-করা বাড়িতে বাস করতেন আফলাতুন দাদু। আমিও ওই এলাকায় অনেকদিন থেকেছি। আড্ডা শেষে প্রেস ক্লাব থেকে রাত আটটার দিকে বাড়িমুখো হতেন। কখনো রিকশায় উঠতেন না, হেঁটেই যেতেন। কেন? ফিটনেসের প্রয়োজনে। একবার বলেছি, আপনি তো পলকাদেহী, ফুঁ দিলে হাওয়ায় ভেসে যাবেন, আপনার আবার ফিটনেস! তিনি বললেন, আয়! আমার সঙ্গে লড় দেখি। এমন একখান আছাড় মারব, চিতপটাং হয়ে থাকবি সাড়ে তিন দিন।

প্রচুর পান খেতেন আফলাতুন দাদু। পান চিবোতে চিবোতে শাহজাহানপুর যাত্রাকালে অনেক সময় তাঁর সঙ্গী হয়েছি। হাঁটতে হাঁটতে তিনি দেশ-দুনিয়া-রাজনীতি-মানবচরিত্র সম্পর্কে যেসব কথা বলতেন সেগুলোর মধ্যে থাকত নিবিড় পর্যবেক্ষণের হিরণ¥য় দ্যুতি। এখন তাঁর চলে যাওয়ার (মৃত্যু : ১৪ মে, ২০০৬) ১৮ বছর পরে আফসোস হয়, কেন যে ওসব টুকে রাখলাম না। রসিকতার ছলে হুল ফুটিয়ে দেওয়ার অতুলনীয় মুনশিয়ানা ছিল আমাদের এই দাদুর। এ লেখার একেবারে শেষ দিকে ওই মুনশিয়ানার নমুনা থাকবে।

‘ছুটি’ ম্যাগাজিনে আমার কয়েকটি নিবন্ধ বেরিয়েছিল। সেগুলো পড়ে মুগ্ধ আফলাতুন আমায় পরামর্শ দেন, ‘শুধু পয়সার জন্য না, নিজের আনন্দের জন্যও লিখিস।’

জানতে চাইলাম, নিজের আনন্দ জিনিসটা কী। তিনি বলেন, যে লেখায় মানুষের ন্যূনতম উপকার হয় সেটাই লেখকের জন্য আনন্দ বয়ে আনে বেশি। এইটা তোরে রাহাত খানও কইছিল। তুই রাহাতরে কইছস-‘লেইখা দুই পয়সা পাইলে তাতেই নিজের আনন্দ।’

লোকসংগীত সংগ্রাহক ও লেখক বিখ্যাত অধ্যাপক মুহাম্মদ মনসুরউদ্দিনের (জন্ম : ৩১ জানুয়ারি, ১৯০৪-মৃত্যু : ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭) বাড়ি শান্তিনগরে। আমার তদানীন্তন অফিসও ওই এলাকায়। অসুস্থ অধ্যাপককে দেখতে যাচ্ছেন আফলাতুন। পথিমধ্যে আমাকে পেয়ে বলেন, ‘চল্ স্যারের সঙ্গে তোর পরিচয় করিয়ে দিই।’ গেলাম। অধ্যাপক মনসুরউদ্দিন গড়গড়া হুঁকোয় তামাক সেবন করছিলেন। দুজনের সংলাপ বিনিময় উপভোগ্য। অধ্যাপক আমায় বলেন, আপনার এই দাদু যে ভয়ানক এক পাষ- তা জানেন। দারুণ ছোটগল্প লিখত এই হারামি। তিন বছর ‘দেশ’ (কলকাতার) পত্রিকায় ওর গল্প বেরিয়েছে। হঠাৎ লেখা বন্ধ করে দিল। কেন জানেন! বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের সাহিত্যপ্রতিভা বিকশিত করবার জন্য সংগঠন করবে।

সেদিন আফলাতুন আমায় বুদ্ধি দেন, খবরের কাগজে জীবনকালে দেখা-শোনা-জানা ব্যাপারগুলো আড্ডায় যেভাবে বলিস সেগুলো সুযোগ পেলেই ছাপার অক্ষরে পরিবেশন করবি। নিজের আনন্দ হবে, যারা পড়বে তাদের জ্ঞান না হলেও মজা তো পাবে। সেই থেকে এভাবে লিখে চলেছি যেভাবে আজ এখানে লিখছি।

বাঘ হয়ে যায় গরু : বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৯৯’তে পাকিস্তানকে হারিয়ে দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই টিমের অলরাউন্ডার নাঈমুর রশিদ রাহুলের বাবা আবদুর রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, অর্থনীতিতে তিনি এমএ। আইনশাস্ত্রে ডিগ্রিধারী। পাবনার বিখ্যাত অধ্যাপক আবদুল হামিদের জ্যেষ্ঠপুত্র আবদুর রশিদ (মৃত্যু : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১) তাঁর জনকের আগ্রহে ধর্মবিষয়ক ডিগ্রি ‘মমতাজুল মোহাদ্দিসিন’ হাসিল করেছিলেন।

আগাগোড়া আলোকিত মানুষ আবদুর রশিদ একটা লিমিটেড কোম্পানির পরিচালক ছিলেন। এ কোম্পানির মালিকানায় যে দৈনিক পত্রিকাটি বের হতো তার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন তিনি। ঘটনাক্রমে ২০০৫ সালে আমি ওই পত্রিকায় যোগ দিলাম। দেখি তিনি এ পত্রিকার সবার প্রিয় গুরুজন। অচিরেই রশিদ ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হই। দুপুরে তাঁর বাড়ি থেকে খাবার আসত তাঁর ও আমার। ভাবির রান্নার হাত চমৎকার। যতদিন ওই পত্রিকায় কাজ করেছি প্রায় প্রতিদিনই রশিদ ভাইয়ের কল্যাণে সুস্বাদু সব খাবার খেয়েছি।

রশিদ ভাই একদিন আমায় বলেন, রবি ঠাকুর মনে করতেন মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ। সম্ভবত উনি ভালো মানুষের ওপর আস্থা রাখার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য ওরকম বলে থাকতেন। তবে আমি আমার জীবনে যা যা দেখেছি তার ভিত্তিতে আপনাকে বলি-‘ধরুন আপনি গাঁয়ের পথে হাঁটছেন। আপনার বিপরীত দিক থেকে আসা পথিক জানায়, ওই যে দূরে তালগাছ তার গোড়ায় একটা বিলাই ছিল। কিছুক্ষণ পর সে দেখেছে বিলাইটা বাঘ হয়া গেছে। ওর কথা আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।

কিংবা ধরুন, এক ব্যক্তি আপনাকে জানাল যে তাদের বাড়ির পুকুরের সবচেয়ে বড় রুই মাছটি হঠাৎ কুমির হয়ে গেছে। এটাও বিশ্বাস করলে করতে পারেন। অথবা ধরুন, এক রিপোর্টার আপনাকে বলছে, চিড়িয়াখানায় একটা ঘোড়া পাঁচ মিনিটের মধ্যে হাতি হয়ে গেছে। এটাও বিশ্বাস করা যায়।

এই যে আমাদের স্পোর্টস এডিটর আসিফ ইকবাল। ধরুন আসিফ একদিন আপনাকে বললেন, ভাই নরসিংদীতে আমাদের বাড়ির লাগোয়া জঙ্গলে বাঘ এসেছিল। কয়েক শ লোক সশস্ত্র হয়ে জঙ্গল ঘেরাও করে ফাঁকা গুলির আওয়াজ করতে থাকে। ভয়ার্ত বাঘ লাফ দিয়ে পালায়। জনতাও তাকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেতে খেতে বাঘটি সবার চোখের সামনে গরু হয়ে গেল। আসিফের এ রিপোর্টও আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।

কিন্তু কেউ যদি বলে, কুখ্যাত অমুক মন্দ মানুষটি ভালো হয়ে গেছে, খবরদার! কখনোই তা বিশ্বাস করবেন না।’

শতভাগ নির্ভুল : বংশাল রোডে ‘সংবাদ’ অফিস। সম্পাদক আহমদুল কবির গম্ভীর মুখে তাঁর কামরায় আসীন। তাঁর মন খারাপ। কেননা ‘গণভবন’ থেকে জানানো হয়েছে ‘সংবাদ’-এ প্রকাশিত ‘যে আবেদন এখন আর রাষ্ট্রপতির সামনে যায় না’ শীর্ষক সংবাদটি ভিত্তিহীন। তখন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান। প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ মৌখিকভাবে করেছেন রাষ্ট্রপতির তথ্য উপদেষ্টা দাউদ খান মজলিশ। তথ্য উপদেষ্টা আর সংবাদ সম্পাদক সম্পর্কে খালাতো ভাই। সম্পাদক মনঃকষ্টে ভুগছেন; তাঁর নির্বাহী সম্পাদক আওয়াল খান ভরসা দিচ্ছেন-‘রিপোর্টটি নির্ভরযোগ্য। বানোয়াট রিপোর্ট ও কখনোই করে না।’

‘ও’ মানে মতিউর রহমান চৌধুরী (এখন ‘মানবজমিন’-এর প্রধান সম্পাদক)। সহকর্মী কামদা প্রসাদ ভৌমিক বলল, ‘আইজকা মনে অয় মতিউররে খাইছে।’ প্রতিবেদনটি পড়লাম যার সারকথা : সাধারণ নাগরিকরা বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকার দাবি করে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে সরাসরি আবেদন পাঠান। আবেদনগুলো প্রতি সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির নজরে নেওয়া হলে তিনি সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকদের দিকনির্দেশনা দেন। এতে চটজলদি উপকার পাওয়া যায়। দুই বছর এটা চলেছে। তারপর আর আবেদনগুলোর প্রক্রিয়াকরণ নেই।

জরুরি তলব মতিউর রহমান চৌধুরীকে। সম্পাদক আহমদুল কবির জানতে চান, তোমার সোর্স কে? মতি বলেন, তা তো বলা যাবে না। সম্পাদক বলেন, ‘লুক আওয়াল, হাউ ডেয়ার দিস গাই! হি ইজ অবজেটিং টু ডিভালজ টু হিজ এডিটর।’ মতি বলেন, ‘আপনি কেবল এডিটর নন, পত্রিকার মালিকও। মাই সোর্স মে বি হার্মড বাই ইয়োর অ্যাকশন। টু মি মাই সোর্সেস সিকিয়োরিটি ইজ ফার্স্ট।’

আওয়াল ভাই খুব নিচু স্বরে মতির সঙ্গে একটু আলাপ করার পর চেয়ার থেকে উঠে সম্পাদকের কাছে গিয়ে কানে ফিসফিস করলেন। পরক্ষণে আহমদুল কবির একচেঞ্জে নির্দেশ দেন ‘গণভবনে তথ্য উপদেষ্টাকে ধর।’ লাইন পেতেই বললেন : ‘দাউদ, মাই রিপোর্টার ইজ হানড্রেড পার্সেন্ট রাইট। আই অ্যাম প্রাউড অব হিম’- বলেই রিসিভার রেখে দিলেন সশব্দে। রিপোর্টার কিছুতেই সম্পাদকের কাছে সোর্সের পরিচয় দিলেন না। তদুপরি বুক চিতিয়ে বললেন, তার কাছে সংবাদ উৎসের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদককে সোর্স জানালেন না, কিন্তু পেশাদার সাংবাদিক নির্বাহী সম্পাদকের কাছে ঠিকই সব বললেন। সবই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে নিলেন আহমদুল কবির। পত্রিকার মালিক তিনি, সেই অহং দ্বারা তিনি ক্ষুব্ধ হননি, গর্জে ওঠেননি। তার বদলে রিপোর্টারের জন্য গর্ববোধ করলেন। মিনার উচ্চতার ব্যক্তিত্ব যাঁদের তাঁরা এমনই হয়ে থাকেন। হয়তো এঁদের দেখেই সেই প্রবচনটির উদ্ভব যেখানে বলা আছে-‘বার্ধক্য অপরিহার্য, বড় হওয়া ঐচ্ছিক।’

ত্রিভুবনে নাই : মহাজন সাংবাদিক আতাউস সামাদ (জন্ম : ১৬ নভেম্বর, ১৯৩৭-মৃত্যু : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২) এনটিভি নেটওয়ার্কের সিইও থাকার সময় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার মালিক-সম্পাদক ছিলেন। ‘এখন’ নামের পত্রিকাটিতে লিখবার জন্য অনুরোধ করলেন তিনি। এক পাতার লেখা, শিরোনাম ‘মিঠেকড়া’। স্থির হয়, বিষয়বস্তু তিনি ব্রিফ করবেন, লেখা কীভাবে সংগ্রহ করা হবে জানালেন। এরপর প্রশ্ন, ‘তোমায় কত দিতে হবে?’

‘এ কী কথা সামাদ ভাই!’ বলেছি আমি, ‘আপনার কাগজে লিখবার যোগ্য ভাবলেন আমাকে, এ তো বিরাট সম্মান।’ তিনি বলেন, ‘দেখ, আমি তো জমেদ আলী সমেদ আলী কাউকে ডাকিনি। তোমাকে ডেকেছি তুমি পারো তা-ই। যে পারে সে করে; যে পারে না সে শেখায়।’ কত আমার প্রত্যাশা জানাবার জন্য চেপে ধরলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে এতই যখন লাজ, মুন্নার কাছে বোলো।’

সাংবাদিক মুন্না মিয়া নানাবিধ কাজে আতাউস সামাদের সহায়ক হয়ে কাজ করতেন। মুন্নাকেও আমি কোনো অঙ্ক বলিনি। প্রথম চার সপ্তাহের লেখার যে সম্মানি সামাদ ভাই দেন তা মুগ্ধকর ছিল। মাসের প্রথম সপ্তাহে আগের মাসের বিল পেয়ে যেতাম। ‘এখন’ অফিসে গেলে কোনো কোনো দিন সামাদ ভাইকে পেতাম, দেখতাম খুব ব্যস্ত। ওই অবস্থাতেই খোশগল্প করতেন। তীব্র রসিকতাও করতেন। একদিন দেখি শওকত মাহমুদ (জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি) আর সামাদ ভাই।

বললেন, তাহেরকে কেন লাইক করি জানো? কারণ মূসা ভাই ওকে লাইক করেন। মূসা ভাই (স্বনামখ্যাত সাংবাদিক এ বি এম মূসা। জন্ম : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১-মৃত্যু : ৯ এপ্রিল, ২০১৪) বলেছেন, গোঁয়ারের মতো যতই কথা বলুক না কেন তাহেরের দিলটা কিন্তু ভালো। বাট বি অ্যালার্ট। যাদের দিলটা ভালো তাদের কিল্টাও কিন্তু স্পিডিলি আসে। শওকত মাহমুদ জানান, তিনি সংবাদ-এ আমার সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছেন; আমাকে কখনো কাউকে প্রহারোদ্যত হতে দেখেননি।

সেদিন কথা কথায় আতাউস সামাদকে বলি, ১৯৯১ সালে ‘ভোরের কাগজ’-এ তিনি একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের ঘটনাবলির ওপর যে নিবন্ধ লিখেছেন তাতে একটা অসম্পূর্ণতা আছে। তিনি লিখেছেন, ‘ওই সময় লাহোর থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক  ‘সান’-এর ঢাকায় একটি ব্যুরো ছিল। আমি আর আমার বন্ধু আওয়াল খান দুজনে মিলে ওই ব্যুরো চালাতাম।’ আমি বলেছি, আপনি তো ব্যুরো চিফ ছিলেন। তথ্যটা চেপে গেছেন।

‘হ্যাঁ, তোমার কথা ঠিক।’ বলেন আতাউস সামাদ, ‘চেপে গিয়েছি। ওটা এক ধরনের তৃপ্তি। তোমারও তো বয়েস হচ্ছে। একটা বয়সে পৌঁছে বুঝবে বন্ধুকে ছোট করে যাদের বড় হতে হয় তাদের মতো কাঙাল ত্রিভুবনে নাই।’

কাঙাল কাহারে কয় : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ হওয়ার পর কিছুদিন জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিলেও বেশি মনোযোগী ছিলেন রাজনীতিতে। তিনি স্বজেলা নোয়াখালীতে থিতু হলে তাঁর জায়গায় দলের কেন্দ্রীয় কৃষি সম্পাদক হন মতিয়া চৌধুরী।

প্রায় তিন বছর হলো হানিফ ভাই দুনিয়া ত্যাগ করেছেন। আমার বয়সী প্রাক্তন ছাত্রলীগারদের অনেকের স্মৃতিতে হানিফ ভাই এক অক্ষয় সম্পদ। নীতিনিষ্ঠা, সততা আর বিদ্যানুরাগ তাঁকে মহান করে তুলেছিল। শৈশবে তাঁর বাবা মারা যান। সীমাহীন অনটনের ভিতর মানুষ হয়েছেন। যখন জিলা স্কুলে পড়তেন তখন আমার বোনের বাড়িতে লজিং থাকতেন। সে বাড়ির লোকেরা তাঁকে যে গভীর মমতায় আগলে রাখতেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বাষ্পরুদ্ধ হয়ে যায় তাঁর কণ্ঠ।

অধ্যাপক হানিফ বলতেন, ‘দারিদ্র্য কুৎসিত। তার চাইতেও কুৎসিত কপট বড়লোকী।’ তাঁর স্কুলজীবনের একটি ঘটনা বলেছিলেন। তখন নাইনে পড়েন। ক্লাস টিচার জানান, আমেরিকা কিছু শীতবস্ত্র উপহার দিয়েছে পাকিস্তানের গরিব ছাত্রদের জন্য। তোমরা যারা নিতে আগ্রহী নাম বল, আমি তালিকা করছি। ক্লাসের চারদিক থেকে একযোগে আওয়াজ উঠল-‘হানিফের নাম লিখুন স্যার, হানিফের নাম লিখুন। ও খুব গরিব।’ শীতবস্ত্রের চারটি বড় কার্টন রাখা ছিল টিচারের আসনের পাশেই। ক্লাস মনিটর একটি কার্টন খুলে ভিতরের মাল যাচাই করে। একেবারে ব্র্যান্ড নিউ বাহারি ডিজাইনের উলের পুলওভার সব। ওটা দেখে বড়লোকের পুত্ররা উদ্বেগাফুল হয়ে হাঁক দেয়-‘আমার নাম লিখুন স্যার, আমার নাম লিখুন।’

মোহাম্মদ হানিফ এবার উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘স্যার মেহেরবানি করে আমার নামটা কেটে দিয়ে এদের নাম লিখুন। মাগনায় শীতের কাপড় পাওয়া এদের বেশি দরকার। আমি গরিব। এরা তো কাঙাল। কাঙালের আকুতিতে সাড়া দেওয়া গরিবের কর্তব্য।’

কবিতার গন্ধ : ডেইলি স্টার-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ ফাহিম মোনায়েম ১/১১ সরকারের জমানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হয়েছিলেন। তাঁর বাবা সৈয়দ নূরউদ্দিন সাংবাদিক এবং কবি হিসেবে স্বনামখ্যাত ছিলেন। সৈয়দ নূরউদ্দিন বহু বছর বিদেশে চাকরিবাকরি করে জেনারেল জিয়ার আমলে দেশে ফিরে আসেন। তখন আমি সংবাদ-এ। এ পত্রিকায় তিনি উপদেষ্টা সম্পাদক নিযুক্ত হন। খুবই আধুনিক মনের মানুষ। তরুণদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠলে বিশুদ্ধ কিশোরগঞ্জিয়া ভাষায় বাংলা বলতেন। কিন্তু তাঁর কাব্যভাষা ছিল মোহন। এজন্য ত্রিশের দশকের সেরা কবিদের অন্যতম বলে গণ্য হতেন।

আমাদের দাদু আফলাতুন ছিলেন কবি সৈয়দ নূরউদ্দিনের জুনিয়র দোস্ত। এক বিকালে তাঁরা দুজন প্রেস ক্লাবের বৈঠকঘরে গোলটেবিল ঘিরে পরচর্চা করছেন। এমন সময় স্যুটেড-বুটেড দুই ভদ্রলোক এলেন। এরা সাংবাদিক নন। একজন ইতালি থাকেন, সৈয়দ নূরউদ্দিনের পুরনো পরিচিত। বললেন, ‘সৈয়দ ভাই, আপনার অমুক কবিতায় অসাধারণ কিছু শব্দ পেলাম। এত চমৎকার ব্যবহার করলেন সেই শব্দগুলো। মারভেলাস! ম্যাজিকটা কী বলুন তো।’

‘ম্যাজিক-ফ্যাজিক কিছু না।’ ফুরফুরে মেজাজে বলেন সৈয়দ নূরউদ্দিন, ‘টু টেল ইউ ফ্র্যাংকলি, টয়লেটে আমি যখন হাই কমোডে বসি, বিচিত্র সব শব্দ তখন মাথায় আসে। টয়লেট থেকে বেরিয়েই শব্দগুলো নোট করে রাখি। যখন কবিতা লিখতে বসি, নোটবই থেকে শব্দগুলো নিয়ে লাগসই লাইনে বসাই। দ্যাটস অল।’

আফলাতুন বলেন, ‘অ!’

‘অ করছিস কেন’ জানতে চাইলেন কবি সৈয়দ নূরউদ্দিন, ‘হোয়াট ডু ইউ মিন বাই অ?’

‘অ মানে বুঝলাম আর কী।’

নূরউদ্দিন, ‘কী বুঝলি?’

আফলাতুনের উত্তর, ‘বুঝলাম, কেন আপনার কবিতায় এত দুর্গন্ধ।’

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
একই সুতোয় গাঁথা
একই সুতোয় গাঁথা
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
সর্বশেষ খবর
সূর্যের রহস্য উন্মোচন : খুঁজে পাওয়া গেল অদৃশ্য চৌম্বক তরঙ্গ
সূর্যের রহস্য উন্মোচন : খুঁজে পাওয়া গেল অদৃশ্য চৌম্বক তরঙ্গ

২৭ সেকেন্ড আগে | বিজ্ঞান

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

অবশেষে সবুজ মমির রহস্যের জট খুলল
অবশেষে সবুজ মমির রহস্যের জট খুলল

২২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

নবনিযুক্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে ডুয়েট উপাচার্যের মতবিনিময়
নবনিযুক্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে ডুয়েট উপাচার্যের মতবিনিময়

৪৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই বইমেলার সময় জানা যাবে
নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই বইমেলার সময় জানা যাবে

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম
পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রঙিন সবজিতে ভরে ওঠবে গৃহিণীর আঙিনা
রঙিন সবজিতে ভরে ওঠবে গৃহিণীর আঙিনা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বরিশাল নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
বরিশাল নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ
টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে আমন ধান
কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে আমন ধান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইশতেহারের আগেই কমিশন থেকে ৪ শিক্ষকের পদত্যাগ
ইশতেহারের আগেই কমিশন থেকে ৪ শিক্ষকের পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার
প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ, কী এমন ঘটল?
ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ, কী এমন ঘটল?

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শরীয়তপুরে দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ২
শরীয়তপুরে দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা
চাঁদপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট
কুমিল্লায় বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাবি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি গঠন
ঢাবি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি গঠন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বকেয়া টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানিকে পিটিয়ে জখম
বকেয়া টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানিকে পিটিয়ে জখম

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বাবুলের গণসংযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিব
নারায়ণগঞ্জে বাবুলের গণসংযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিব

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে গুলিতে নিহত ২
গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে গুলিতে নিহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামালপুরে অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
জামালপুরে অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার
মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া
‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি
শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর
দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা
কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর
কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে
ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান
আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক
নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার
বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৬৭ হাজার টাকায়
পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৬৭ হাজার টাকায়

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস
প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই বছরে দেড় লাখ মৃত্যু, কেন রক্তে ভাসছে সুদান
দুই বছরে দেড় লাখ মৃত্যু, কেন রক্তে ভাসছে সুদান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়েটা করে ফেললে মাঝপথেই তো আটকে গেলাম: পূজা চেরি
বিয়েটা করে ফেললে মাঝপথেই তো আটকে গেলাম: পূজা চেরি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!
চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!

১৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা
এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিয়ে নয়, জীবনে স্বাধীন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে শিখেছি’
‘বিয়ে নয়, জীবনে স্বাধীন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে শিখেছি’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের
নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ
বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে
এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?
দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?

১৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

৩ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের আভাস, টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
৩ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের আভাস, টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নাসার তৈরি সুপারসনিক বিমানের সফল উড্ডয়ন
নাসার তৈরি সুপারসনিক বিমানের সফল উড্ডয়ন

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির
ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন
এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব
নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব

মাঠে ময়দানে

শোবিজ কাঁপানো প্রেম
শোবিজ কাঁপানো প্রেম

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক
বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক

নগর জীবন

আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা
আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!
চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!

নগর জীবন

৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের
৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের

পেছনের পৃষ্ঠা

আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ
আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই
গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি
মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি

প্রথম পৃষ্ঠা

আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ
আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে
দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়
ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়

পেছনের পৃষ্ঠা

গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর
গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর

খবর

এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়
এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়

পেছনের পৃষ্ঠা

পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস
পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের
দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন দলের চার নেতা কুশলী প্রচারে
তিন দলের চার নেতা কুশলী প্রচারে

নগর জীবন

মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে
দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম
বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে
নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর
বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান
নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!
দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!

পেছনের পৃষ্ঠা