শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪ আপডেট:

সাক্ষাৎকার - অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে

প্রিন্ট ভার্সন
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জয়শ্রী ভাদুড়ী ও রাশেদ হোসাইন

 

প্রশ্ন : স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কতদূর এগোল? গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা কী ধরনের পরিবর্তন আপনার চোখে পড়ছে?

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : আমরা স্বাধীনতার আগেও সাংবাদিকতা দেখেছি, স্বাধীনতার পরও দেখছি। তবে বিশাল ব্যবধান! এ ব্যবধানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমরা যখন স্কুলের ছাত্র ছিলাম পত্রিকার সংখ্যা একেবারেই সীমিত ছিল। আমার বাসায় ইত্তেফাক ও পাকিস্তান অবজারভার রাখা হতো। পত্রিকা যখন আমরা পড়তাম তখন দেখতাম পত্রিকাগুলো খুবই সাধারণভাবে ছাপানো হয়েছে। তা ছাড়া রেডিও, টেলিভিশন ও সরকারি চ্যানেল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এই ছিল আমাদের গণমাধ্যমজীবন। কিন্তু এখন গণমাধ্যমের বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমাদের মুদ্রণমাধ্যমের সংখ্যা অগণিত। সরকারি, বেসরকারি চ্যানেল মিলে এখন গণমাধ্যমজগৎ ব্যাপক বিস্তৃত। সেই জায়গা থেকে আমরা এখন সারা দুনিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত। এখন স্যাটেলাইট আছে, সেটার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ইউরোপ, আফ্রিকাসহ সব জায়গার খবর দেখি। মুদ্রণমাধ্যমে সেটিও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে তাৎক্ষণিক পাচ্ছি। এখন আমরা যে জায়গায় এসে গেছি সেটাকে বলা যেতে পারে- তথ্যপ্রযুক্তির সমবিন্দুতে এসে পৌঁছেছি। কেননা মুদ্রণমাধ্যম থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র কিংবা ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কথা যদি বলি সবই আমরা মোবাইল ফোনে মুহূর্তে করতে পারি। এটা একটা অভূতপূর্ব অগ্রগতি। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী এ অগ্রগতি ঘটেছে। যার সুবিধা আমরাও উপভোগ করছি। এ ধরনের এক পরিবর্তন আমাদের চোখের সামনে ঘটে গেল যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে, যেখানেই যাব সেখানেই আমাদের সঙ্গে মোবাইল ফোন থাকবে! বাসায় একটা ল্যান্ডলাইন থাকত, সেটা দিয়ে আমরা যোগাযোগ করতাম। যদি বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় টেলিফোন করতে হতো সেখানেও ট্রাঙ্কল কল বুক করতে হতো। সেটাতে সারা দিনেও লাইন পেত না। এ অবস্থা থেকে আমরা মুহূর্তের যোগাযোগব্যবস্থায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আজ তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি হয়েছে বলেই আমরা এ জায়গায় আসতে পেরেছি। এখন গণমাধ্যমের সংখ্যাগত বিকাশের পাশাপাশি গুণগত বিকাশও ঘটেছে। আগের পত্র-পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসতে চাইত না। কেননা বেতন-ভাতা কম, তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই; কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্যান্য চাকরির পাশাপাশি সাংবাদিকতাকেও আগ্রহের সঙ্গে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। অনেক শিক্ষার্থী সাংবাদিকতা করার জন্যই পড়াশোনা করছে। ফলে গণমাধ্যমের গুণগত মানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রশ্ন : বলা হয়ে থাকে, সংবাদমাধ্যম তাদের আধেয় বা কনটেন্ট প্রকাশের মাধ্যমে সার্বিকভাবে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটায়। রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরির কাজ করে। দেশের সংবাদপত্রগুলোকে এক্ষেত্রে কতটা সফল বলা যেতে পারে?

- আমার মনে হয় গণমাধ্যমের কাজই হলো জবাবদিহিতার জায়গা সৃষ্টি করা। আমরা এখনো গণমাধ্যমকে যে সম্মান দেই সেটার কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, আমরা গণতন্ত্রমনা মানুষ এবং গণমাধ্যমের ওপর নির্ভর করি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ সেটা গণমাধ্যমের সুবাদেই হয়ে থাকে।

এখানে জবাবদিহিতার জায়গা গণমাধ্যম এককভাবে করতে পারবে সেটাও হয়তো নয়। জাতীয় সংসদের আমাদের যে জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন, আলোচনা করেন, তাদেরও দায়িত্ব জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণমাধ্যম জনগণের পক্ষ থেকে সেই কাজটি করে থাকে। সুতরাং জনগণের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম আছে। কাজেই উভয়ের মধ্যে একটা সমন্বয় থাকা দরকার। শুধু গণমাধ্যমই যে জবাবদিহিতার জায়গাটি সৃষ্টি করতে পারবে এমনটি নয়। বরং সমন্বিতভাবে সেটা করতে হবে। তা ছাড়া গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকেও নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গণমাধ্যমকে প্রসারিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং গণমাধ্যমের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, প্রেস ইনস্টিটিউট তৈরি হয়েছে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ চালু হচ্ছে। ফলে একে অন্যের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ কাজগুলো করতে হবে। গণমাধ্যমকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। গণমাধ্যম সমাজেরই একটি প্রতিষ্ঠান। সমাজের আর ১০টা জায়গায় যদি সক্রিয় থাকে, আমার মনে হয় গণমাধ্যম একইভাবে সক্রিয় থাকবে এবং জবাবদিহিতার সেই কাজটি করবে।

 

হাতে-কলমে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা প্রসারিত করা দরকার। বর্তমান সময় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তাত্ত্বিক বিষয়ের পাশাপাশি ব্যবহারিক বিষয়ের ওপর জোর দিতে হবে। তাত্ত্বিক বিষয় থেকে ব্যবহারিককে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

 

প্রশ্ন : দেশের সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতা ও দায়বদ্ধতার চর্চা নিয়ে একজন একাডেমিশিয়ান হিসেবে আপনার মূল্যায়ন কী?

- আমি মনে করি, সম্পাদক ও সংবাদকর্মীরা একটি লক্ষ্য নিয়ে এ পেশায় আসেন। তারা সমাজে নির্মোহভাবে কাজ করবেন যাতে জনগণ সঠিক তথ্যটি পান। কিন্তু আমাদের দেশে ইদানীং একটা প্রবণতা দেখা গেছে, গণমাধমগুলো কোনো না কোনো শিল্প কিংবা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ফলে সংবাদপত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মাধ্যমে কখনো কখনো কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে। তবে সাংবাদিকরা সেই জায়গা অতিক্রম করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় এগিয়ে চলেছে। ফলে এখন আমরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ দেখি। সাংবাদিকদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তা ছাড়া গণমাধ্যমের ওপর মিডিয়া মালিকদের একটি প্রচ্ছন্ন প্রভাব বিশ্বজুড়েই লক্ষণীয়। সেই দিকটি খেয়াল রেখে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চা করতে হবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিয়ত অগ্রসর হচ্ছে। আমরা কাক্সিক্ষত মাত্রায় অনেক সময় অগ্রসর দেখি না, তখন হতাশা বোধ করি। যদি বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে আমরা যে খুব বেশি পিছিয়ে আছি তা নয়।

প্রশ্ন : এবার ‘সাংবাদিকতার বিদ্যায়তনিক অধ্যয়ন’ নিয়ে কথা বলতে চাই। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? সাংবাদিকতার সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান কারিকুলাম বা আরও স্পষ্ট করে বললে এর অধ্যয়নকারীরা কতটা যুগোপযোগী?

- বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা ডিগ্রি দিয়ে। সেই সময়ে এক বছরের ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতা করতে যেত। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডিপ্লোমা কোর্স চলেছে। ১৯৬৯ সালের ডিপ্লোমা কোর্সের পাশাপাশি মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এটা ছিল দুই বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি। তারপর ১৯৭৭-৭৮ শিক্ষাবর্ষে তিন বছরের অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কোর্স চার বছরে রূপান্তরিত হয়। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ খোলা হয়েছে। বর্তমানে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও সাংবাদিকতার বিভাগ চালু রয়েছে। সাংবাদিকতা শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত হচ্ছে। প্রথম অবস্থায় যে পাঠক্রম ছিল তার তুলনায় বর্তমান ২০২৪ সালে পাঠক্রমে অনেক গুণগতমান পরিবর্তন হয়েছে। অনেক বেশি উন্নত, আধুনিক এবং যুগোপযোগী করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে সাংবাদিকতার প্রথিকৃৎ। সেই যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিভাগগুলো অনুসরণ করছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে নেই তবে হাতে-কলমে যেটা, সেটা এখনো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে আছে। সাংবাদিকতা তো এখন আর পত্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এখন সম্প্রচার সাংবাদিকতা চলছে। আমাদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সম্প্রচার সাংবাদিকতার টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সেভাবে চালু হয়নি। টেকনিক্যাল বিভাগের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ খোলা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। আমরা চাই আমাদের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে শিক্ষার্থী বের হয়ে যেন তার কর্মক্ষেত্রে খুব ভালো করে। একজন শিক্ষার্থী যেন পূর্ণ দক্ষতা দিয়ে একটি গণমাধ্যমে যোগদান করতে পারে। সেই বিষয়গুলো এসব বিভাগ দেখছে।

আরেকটা বিষয় যেটা করা যেতে পারে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলাদা আলাদা অনুশীলন সাংবাদিকতার জন্য একটি পত্রিকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সাংবাদিকতা বিভাগগুলো এই পত্রিকার দায়িত্বে থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে অথবা সেই শহরের সমস্ত খবরাখবর দৈনিক অথবা সাপ্তাহিক বের করবে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা নিউজ পেপার থাকতে পারে। আমরা আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ চিত্র দেখতে পাই। এ ছাড়া ক্যাম্পাস রেডিও এবং ক্যাম্পাস টেলিভিশন এই বিষয়গুলো নিয়েও আমাদের চিন্তা করতে হবে। ক্যাম্পাস রেডিও বিষয়ে যারা কাজ করবে তারা ক্যাম্পাস রেডিও থেকে সরাসরি জাতীয় রেডিওতে প্রবেশ করবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাস টেলিভিশন দৈনিক ২ ঘণ্টা করে অন এয়ার করা যেতে পারে। যেখানে শিক্ষার্থীরা সংবাদ তৈরি করবে, প্রোগ্রাম করবে, সংবাদ উপস্থাপন করবে, এই বিষয়গুলো প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা গ্রহণ করবে। সংবাদের জন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবে। সেগুলো এডিটিং করে বুলেটিন আকারে দেবে। অর্থাৎ আমি যে কথাটি বলছি, হাতে-কলমে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা প্রসারিত করা দরকার। বর্তমান সময় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তাত্ত্বিক বিষয়ের পাশাপাশি ব্যবহারিক বিষয়ের ওপর জোর দিতে হবে। তাত্ত্বিক বিষয় থেকে ব্যবহারিককে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রশ্ন : গত দশক থেকেই সাংবাদিকতায় নিউ মিডিয়ার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রকাশনা যেমন সহজ ও দ্রুততর হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। সার্বিকভাবে বললে, মিডিয়া আর নিউজ মিডিয়ার যে পার্থক্য তা ম্লান হতে শুরু করেছে। এ প্রেক্ষিতে আগামীতে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?

- আমার মনে হয় প্রযুক্তিগত রূপায়ণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এগুলো প্রতিনিয়তই ঘটবে। এগুলো কখনো বন্ধ হবে না। আজকে তথ্যপ্রযুক্তি যে অবস্থানে আছে আগামীকাল সেই প্রযুক্তি আরও এগিয়ে যাবে। যে জায়গাটা আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত সেটা হচ্ছে বস্তুনিষ্ঠতা। বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখার জন্য আমাদের নির্মোহ মানুষ হতে হবে। সাংবাদিকের কাজ নির্মম সত্যনিষ্ঠ এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ লেখা এবং প্রকাশ করা। তাত্ত্বিক লেখাপড়ার মাঝে এ বিষয়গুলোকে প্রতিদিন আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সাংবাদিকদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। দেখা যায় বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে একজন সাংবাদিক ২০ বছর সাংবাদিকতা করেছে, হঠাৎ করে বস্তুনিষ্ঠতার ঘাটতির ফলে সংবাদের থিম পরিবর্তন হতে পারে। এজন্য বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আজকের সমাজে নানা ধরনের প্রলোভন এবং চাপ আছে, নানা ধরনের লোভ-লালসার বিষয় আছে, সেগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। ধর্মীয়ভাবে সততা ও  বস্তুনিষ্ঠতার মধ্যে থাকতে হবে। এগুলোর মধ্যে আমাদের প্র্যাকটিস থাকতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনেক সহজে আমরা আমাদের সংবাদকে সারা বিশ্ব ছড়িয়ে দিতে পারছি। তবে মূল বিষয়টা হচ্ছে- আমি নিজে কতটা নির্মোহভাবে সংবাদকে প্রকাশ করতে পারছি।

প্রশ্ন : তথ্যপ্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতিতে ‘মিসইনফরমেশন’, ‘ডিসইনফরমেশন’, ‘ম্যাল ইনফরমেশন’, ‘ডিপ ফেইকে’র মতো বিষয়গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বভাবতই এগুলো সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও নানাভাবে ক্ষুণ্ণ  করছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংবাদমাধ্যমগুলোর করণীয় কী বলে আপনি মনে করেন?

- গণমাধ্যমের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিকমাধ্যমের বিস্তার ঘটেছে। সামাজিকমাধ্যম সমাজকে একীভূত রাখবে। সমাজকে সতেজ ও সক্রিয় রাখবে। এটাই আমরা আশা করেছি। সমাজের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা মানুষ নামে অমানুষের মতো কাজ করে, তারা সামাজিকমাধ্যমকে ব্যবহার করে ভুল তথ্য দেয়। এ ক্ষেত্রে পত্রিকার মধ্যে ভুল হলে সংশোধনী দেওয়ার একটা বিষয় থাকে। পত্রিকার মধ্যে একটি ভুল হলে যে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নামে ভুল হয়েছে সে তার প্রতিবাদলিপি দিতে পারে; কিন্তু কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অপতথ্য প্রকাশ-প্রচার করে সামাজিকমাধ্যমে। গুজব ছড়িয়ে দেয় সামাজিকমাধ্যমে। এ মাধ্যম নীতিমালা মেনে ব্যবহার করা উচিত। কেউ যদি সামাজিকমাধ্যমে অপতথ্য দেয় তাহলে সেটা সমাজে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। সেসব বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে রাখার জন্য সামাজিকমাধ্যমকে সেভাবে ব্যবহার করা উচিত। আমরা যখন বলি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তখন আমাদের একটা বিষয় মনে রাখতে হবে- স্বাধীনতা মানেই নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলতেন, স্বাধীনতা মানে স্বাধীনতা। আমার নিজের অধীনে আছি। এটা হলো আমার দায়িত্বগুলো আমার মেনে চলা। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ চাইলেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটতে পারে না। তাকে অবশ্যই রাস্তার একপাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হবে। ট্রাফিক রুলস মেনে চলতে হবে। আইনকানুন মেনে চলতে হবে। ঠিক একইভাবে আমাদের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ মাধ্যমের নীতি মেনে চলতে হবে। আমার এ স্বাধীনতা অন্যকে অপদস্ত করা, অন্যকে হেয় করে কোনো কিছু লেখার জন্য নয়, অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নয়। আমার স্বাধীনতা হলো- আমি স্বাধীনভাবে আমার চিন্তার বিকাশ ঘটানো। অতএব আমাদেরকে গণমাধ্যমের নীতিমালা, সামাজিকমাধ্যমের নীতিমালা এসব মেনে চলতে হবে।

এ উন্মুক্ত জায়গায় যাদের মধ্যে সত্যতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার বৈশিষ্ট্যতা ধারণ করে তারা আসবে। সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ আইনটি হলো- সত্য কথা বলা। সত্য কথা বললে কোনো আইনে তাকে বিপদে ফেলতে পারবে না। আমি মনে করি, এ পেশায় যে আসবে তার মধ্যে সত্যনিষ্ঠ বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। নির্লোভ ও নির্মোহ মনোভাব থাকতে হবে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার দক্ষতা সবার থাকা উচিত। যোগাযোগ হলো একটি সম্পদ। টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ এগুলো যেমন সম্পদ, যোগাযোগটা এর থেকেও বড় সম্পদ। যে যোগাযোগ ভালো করতে পারে সে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তার ভিতর থেকে তথ্য বের করে নিয়ে আসতে পারবে। যোগাযোগ শুধুই পেশা নয়, অন্যান্য পেশার মানুষেরও যোগাযোগ দক্ষতা থাকা উচিত। একজন চিকিৎসকের যোগাযোগ দক্ষতা থাকা দরকার। রাজনীতিবিদদের তো সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ দক্ষতা থাকা উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর
একই সুতোয় গাঁথা
একই সুতোয় গাঁথা
বড় হওয়া ঐচ্ছিক
বড় হওয়া ঐচ্ছিক
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
সর্বশেষ খবর
সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকছে না
সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকছে না

৭ মিনিট আগে | বাণিজ্য

পাকুন্দিয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পাকুন্দিয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কানাডায় মহান মে দিবস পালিত
কানাডায় মহান মে দিবস পালিত

১৩ মিনিট আগে | পরবাস

দুর্ঘটনা প্রবণ সড়কে গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
দুর্ঘটনা প্রবণ সড়কে গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু আর নেই
নাটোরে সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু আর নেই

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্য আটক, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার
বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্য আটক, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনে হামলা; আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন জবাবের হুঁশিয়ারি আনসারুল্লাহ’র
ইয়েমেনে হামলা; আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন জবাবের হুঁশিয়ারি আনসারুল্লাহ’র

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটোরে দোকান সিলগালা, জরিমানা
নাটোরে দোকান সিলগালা, জরিমানা

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘শেরপুরের উন্নয়নে ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়
‘শেরপুরের উন্নয়নে ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

রূপচর্চায় কোন তেলের কী কাজ
রূপচর্চায় কোন তেলের কী কাজ

৪২ মিনিট আগে | জীবন ধারা

ভিসা পেতে জাল নথিপত্র না দেওয়ার আহ্বান সুইডিশ দূতাবাসের
ভিসা পেতে জাল নথিপত্র না দেওয়ার আহ্বান সুইডিশ দূতাবাসের

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নই আঞ্চলিক শান্তির চাবিকাঠি : পাকিস্তান
জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নই আঞ্চলিক শান্তির চাবিকাঠি : পাকিস্তান

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নবীনগরে আজিজ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
নবীনগরে আজিজ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ কন্যা লামিয়ার মায়ের মানসিক পুনর্বাসনের নির্দেশ আদালতের
শহীদ কন্যা লামিয়ার মায়ের মানসিক পুনর্বাসনের নির্দেশ আদালতের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সীমান্তে কেন আটার মজুদ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান?
সীমান্তে কেন আটার মজুদ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যবিপ্রবিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
যবিপ্রবিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেশিনে চাষাবাদে বেড়েছে ফলন, কমেছে পরিশ্রম-খরচ
মেশিনে চাষাবাদে বেড়েছে ফলন, কমেছে পরিশ্রম-খরচ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জে বাল্যবিবাহের কারণ ও করণীয় বিষয়ে কর্মশালা
কিশোরগঞ্জে বাল্যবিবাহের কারণ ও করণীয় বিষয়ে কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যানজট এড়াতে ট্রাফিকের সঙ্গে সতর্ক ছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরাও
যানজট এড়াতে ট্রাফিকের সঙ্গে সতর্ক ছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরাও

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া
আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত
দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ
৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া
গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির
এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ময়মনসিংহে মেজর পরিচয়ে বিয়ে, গ্রেফতার ৪
ময়মনসিংহে মেজর পরিচয়ে বিয়ে, গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকসই উন্নয়নের জন্য সকল খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
টেকসই উন্নয়নের জন্য সকল খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন ডা. জোবাইদা রহমান
১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন ডা. জোবাইদা রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই বিশ্বযুদ্ধ স্মরণে জাতীয় ছুটি ঘোষণা ট্রাম্পের
দুই বিশ্বযুদ্ধ স্মরণে জাতীয় ছুটি ঘোষণা ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইয়েমেনে তাণ্ডব চালাল ৩০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান
ইয়েমেনে তাণ্ডব চালাল ৩০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো’, বিমানে ওঠার আগে বললেন খালেদা জিয়া
‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো’, বিমানে ওঠার আগে বললেন খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঈদুল আজহার তারিখ জানাল আমিরাত
ঈদুল আজহার তারিখ জানাল আমিরাত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মি
ইসরায়েলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, থাকবেন ‘মাহবুব ভবনে’
১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, থাকবেন ‘মাহবুব ভবনে’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক মহড়ার আগেই ডুবে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাহাজ
সামরিক মহড়ার আগেই ডুবে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাহাজ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো ইরান
পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দিলো ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের পথে খালেদা জিয়া
দেশের পথে খালেদা জিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়া
দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের কয়েকটি রাজ্যে যুদ্ধমহড়ার নির্দেশ
ভারতের কয়েকটি রাজ্যে যুদ্ধমহড়ার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি, কুয়েত ও জর্ডানে ভয়াবহ ধূলিঝড়
সৌদি, কুয়েত ও জর্ডানে ভয়াবহ ধূলিঝড়

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফিরোজা’র নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, সামনে নেতাকর্মীদের ঢল
‘ফিরোজা’র নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, সামনে নেতাকর্মীদের ঢল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের ৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ
দেশের ৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহা থেকে ঢাকার পথে খালেদা জিয়া
দোহা থেকে ঢাকার পথে খালেদা জিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে কর্মসূচি, নেতাকর্মীদের যে জরুরি বার্তা দিলেন ফখরুল
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে কর্মসূচি, নেতাকর্মীদের যে জরুরি বার্তা দিলেন ফখরুল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুফতি ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ
মুফতি ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শ্রমিকের ৮০০ কোটি টাকা স্বপনের পেটে
শ্রমিকের ৮০০ কোটি টাকা স্বপনের পেটে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএল প্লে-অফে যেতে কার কী সমীকরণ?
আইপিএল প্লে-অফে যেতে কার কী সমীকরণ?

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুক্রবার আত্মপ্রকাশ ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্মের, নেতৃত্বে যারা
শুক্রবার আত্মপ্রকাশ ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্মের, নেতৃত্বে যারা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্থায়ীভাবে পুরো গাজা দখলের দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েল?
স্থায়ীভাবে পুরো গাজা দখলের দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েল?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীদের ভাতা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন
স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীদের ভাতা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানকুনি পাতার উপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগে আগ্রহী ইতালি
বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগে আগ্রহী ইতালি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিগ্যাল চ্যানেলে শ্রমিক নিতে আগ্রহী ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
লিগ্যাল চ্যানেলে শ্রমিক নিতে আগ্রহী ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধের আশঙ্কায় যুবকদের ট্রেনিং দিচ্ছে ভারত
যুদ্ধের আশঙ্কায় যুবকদের ট্রেনিং দিচ্ছে ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে প্রেমিক
প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে প্রেমিক

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জনজোয়ারে ফিরছেন খালেদা
জনজোয়ারে ফিরছেন খালেদা

প্রথম পৃষ্ঠা

অনলাইনে ঢুকলেই প্রতারণার ফাঁদ
অনলাইনে ঢুকলেই প্রতারণার ফাঁদ

নগর জীবন

রইস হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম
রইস হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাজারে সাতক্ষীরার আম
বাজারে সাতক্ষীরার আম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধ উত্তেজনায় নতুন মাত্রা
যুদ্ধ উত্তেজনায় নতুন মাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঈদের আগেই পাওয়া যাবে নতুন নোট
ঈদের আগেই পাওয়া যাবে নতুন নোট

শিল্প বাণিজ্য

হাসপাতালে বসেই মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি
হাসপাতালে বসেই মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসুতে নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড়
ডাকসুতে নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড়

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি

নগর জীবন

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নতুন উপকারভোগী ৪ লাখ
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নতুন উপকারভোগী ৪ লাখ

শিল্প বাণিজ্য

ফের অচলাবস্থা কুয়েটে
ফের অচলাবস্থা কুয়েটে

পেছনের পৃষ্ঠা

করপোরেট করহার নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
করপোরেট করহার নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটজুড়ে পরিবেশের ওপর নির্যাতন
সিলেটজুড়ে পরিবেশের ওপর নির্যাতন

নগর জীবন

বাড়ছেই বিতর্কের মামলা
বাড়ছেই বিতর্কের মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বাস্থ্যে আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ
স্বাস্থ্যে আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা মালার মতো গাঁথতে চেয়েছি : মাসুদ পারভেজ
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা মালার মতো গাঁথতে চেয়েছি : মাসুদ পারভেজ

শোবিজ

শশীর কোনো হেটার্স নেই নেগেটিভিটি নেই
শশীর কোনো হেটার্স নেই নেগেটিভিটি নেই

শোবিজ

বার্সা-ইন্টার অলিখিত ফাইনাল
বার্সা-ইন্টার অলিখিত ফাইনাল

মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ভুট্টায় ঝুঁকছেন কৃষকরা
বগুড়ায় ভুট্টায় ঝুঁকছেন কৃষকরা

নগর জীবন

দানবীয় লুকে মোশাররফ করিম
দানবীয় লুকে মোশাররফ করিম

শোবিজ

নিউজিল্যান্ডকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

ফুটবলার মহসিনের সন্ধানে বাফুফে
ফুটবলার মহসিনের সন্ধানে বাফুফে

মাঠে ময়দানে

মেয়র ঘোষণা নিয়ে মামলা খারিজ
মেয়র ঘোষণা নিয়ে মামলা খারিজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের অন্তরালে পপি
ফের অন্তরালে পপি

শোবিজ

আজও কেন কালজয়ী ‘ওরা ১১ জন’
আজও কেন কালজয়ী ‘ওরা ১১ জন’

শোবিজ

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে

মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কায় টাইগারদের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
শ্রীলঙ্কায় টাইগারদের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

মাঠে ময়দানে

হ্যারি কেইনের প্রথম শিরোপা
হ্যারি কেইনের প্রথম শিরোপা

মাঠে ময়দানে

ফিফার অনুমতির অপেক্ষায় সামিত
ফিফার অনুমতির অপেক্ষায় সামিত

মাঠে ময়দানে