শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ আপডেট:

সাক্ষাৎকার

দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি

ড. আলী রীয়াজ
প্রিন্ট ভার্সন
দেশে গণতন্ত্রচর্চার জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হয়নি

ড. আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর। তিনি আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্টও। খ্যাতিমান এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ধর্ম, রাজনীতি, সমাজ, গণমাধ্যম ও রাষ্ট্র বিষয়ে বাংলা-ইংরেজিতে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও বই লিখছেন। সন্ত্রাসবাদ, ধর্ম, রাজনীতি নিয়ে তাঁর গবেষণা বিশ্ব বাঙালি ও সুধীসমাজে প্রশংসিত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র, গণমাধ্যম বিষয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন কৃতী এই শিক্ষক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জয়শ্রী ভাদুড়ী

 

প্রশ্ন : স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। একজন খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখেন? জাতি হিসেবে আমাদের অগ্রযাত্রা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

- গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ এগিয়েছে। দেশের অর্থনীতি বড় হয়েছে, সামাজিক খাতের বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি হয়েছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে। এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে প্রথমত বাংলাদেশের নাগরিকদের অভাবনীয় প্রচেষ্টায়। সব ধরনের বিরূপ পরিবেশেও সাধারণ মানুষ তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন, পাশাপাশি তাঁরা দেশের জন্য অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির যে তিনটি স্তম্ভ- রেমিট্যান্স, তৈরি পোশাকশিল্প এবং কৃষি, তার দিকে তাকালেই এটা বোঝা যায়। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে সক্রিয় তিনটি অ্যাক্টরের প্রচেষ্টা; এগুলো হচ্ছে রাষ্ট্র, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং উদ্যোক্তা। কিন্তু এই সময়ে যেখানে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে সেটা হচ্ছে বৈষম্য দূর করা এবং শাসনব্যবস্থায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরি না করা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ অনুসারে, আয়ের জিনি সহগ ২০০০ সালে শূন্য দশমিক ৪৫০ থেকে ২০২২ সালে শূন্য দশমিক ৪৯৯-তে উন্নীত হয়েছে। সম্পদের বৈষম্য তো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে- ২০২১ সালে সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ বাংলাদেশি জাতীয় সম্পদের ১৬ দশমিক ৩ শতাংশের মালিক ছিলেন। আর সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের মালিকানা ছিল মাত্র ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। শাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথ থেকে বারবার সরে এসেছে, অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা তিরহিত হয়েছে। গত এক দশকে তার এতটাই অবনতি হয়েছে যে, এখন বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থাকে ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র’ বা পারসোনালিস্টিক অটোক্রেসি ছাড়া আর কিছু বলার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন : ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। এই পররাষ্ট্রনীতি মাথায় রেখে বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

- পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে এ ধরনের কথা আপনি অন্য দেশেও শুনবেন। কোনো দেশ, বিশেষ করে ছোট বা মাঝারি আকারের দেশ তো বলে না যে, আমার অনেকের সঙ্গে শত্রুতা আছে। এ ধরনের অবস্থানের কথা ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে দ্বি-মেরুতে বিভক্ত বিশ্বব্যবস্থায় বলা হতো, সেই সময়ে যে জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল তার সঙ্গে যুক্ত দেশগুলো বলত। সেটা বাস্তবেও ছিল। সেই সময়ের অবস্থা এখন আর নেই, ফলে কথা হিসেবে এটা বলা হলেও আচরণে কী প্রকাশিত হচ্ছে সেটা বিবেচ্য। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগ দিয়েছে, সেটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন। এখন পৃথিবীতে এক ধরনের মেরুকরণ ঘটছে, আবার অন্যদিকে বৈশ্বিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের কারণে সবার সঙ্গেই সব দেশের সম্পর্ক আছে, থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ঝোঁকটা কোন দিকে তা বোঝা দরকার। কোন দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্রনীতি প্রভাবিত করছে তা দেখা দরকার। সেখানে দৃশ্যত মোটা দাগে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমাগতভাবে চীনের দিকে সরে যাচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তার দূরত্ব, টানাপোড়েন সৃষ্টি হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের ভূমিকা চীন এবং অংশ ভারত প্রভাবিত। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যদি জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় কোনো পদক্ষেপ নেয় তা কি বৈরিতায় রূপ নিতে পারে না? ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের বিবেচনায়, নাকি তার চেয়ে বেশি? এগুলোই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কেবল কাগজে কী লেখা আছে সেটা দিয়ে বিবেচনা না করাই ভালো।  

প্রশ্ন : বর্তমান বিশ্ব বিভিন্ন মেরুতে বিভক্ত। পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে বাংলাদেশ কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে?

- বাংলাদেশ কি আসলেই ভারসাম্য রক্ষা করছে? পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা চীন বা রাশিয়াকে এক ধরনের রক্ষাকবচ বলেই মনে করছেন। ফলে সেখানে জাতীয় স্বার্থের বিবেচনা গৌণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েন তো সবাই জানেন। যুক্তরাষ্ট্র তার জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এনগেজমেন্ট পলিসি অনুসরণ করছে, কিন্তু মূল্যবোধের বিবেচনায় একটা দূরত্ব আছে। এগুলো বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। কেননা ক্ষমতাসীনরা দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করছেন বলে মনে হয় না। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই পররাষ্ট্রনীতি তৈরি হচ্ছে। সরকারের যেহেতু নৈতিক বৈধতার সংকট আছে সেহেতু বিদেশি শক্তিগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছে, সরকারকে অনেক রকম আপস করতে হচ্ছে।     

প্রশ্ন : সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে বিশ্ব মোড়লদের খুবই খোলামেলাভাবে কথা বলতে দেখা যায়। এর কারণ কী? তাদের হঠাৎ এ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়াকে আপনি কী চোখে দেখছেন?

- আপনি ‘বিশ্ব মোড়ল’ বলে যাদের দিকে ইঙ্গিত করছেন, আমি তাঁদের কাউকেই বিশ্ব মোড়ল বলে বর্ণনা করি না। এখন বিশ্বে যেমন দুই শিবিরে প্রতিযোগিতা হচ্ছে, তেমনি আবার আঞ্চলিক শক্তিরও উত্থান হয়েছে। ফলে কোনো দেশের একক প্রভাবের জায়গা সীমিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া কেন বাংলাদেশ বিষয়ে উৎসাহী হয়ে উঠেছে। এই উৎসাহের কারণ হচ্ছে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এ অঞ্চল অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ এবং বঙ্গোপসাগরের কারণে বাংলাদেশ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া চীন দক্ষিণ এশিয়ায় তার প্রভাব বাড়াতে চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র চায় তার প্রভাব বৃদ্ধি করতে। এই টানাপোড়েন এ অঞ্চলের অন্য দেশেও হচ্ছে। কিন্তু যেটা দেখার বিষয় সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ একে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে কি না, একটা স্বাধীন অ্যাক্টর হিসেবে তার স্বার্থ রক্ষা করছে কি না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ভূমিকা কার্যত তার বিপরীতে।

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ঝোঁকটা কোন দিকে তা বোঝা দরকার। কোন দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্রনীতি প্রভাবিত করছে তা দেখা দরকার। সেখানে দৃশ্যত মোটা দাগে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমাগতভাবে চীনের দিকে সরে যাচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তার দূরত্ব, টানাপোড়েন সৃষ্টি হচ্ছে...

 

প্রশ্ন : গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে বা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে? পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি তৈরি হয়েছে কি?

- বাংলাদেশের ব্যাপারে গত দেড়-দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান নিয়েছিল দৃশ্যত সেখান থেকে সরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করে না, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন অভিনন্দন জানাননি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন একত্রে কাজ করার কথা বলেছেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন অনেকটা কমবে। তার অর্থ এই নয় যে, দুই পক্ষের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। বড় কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত থেকে গেছে; এর মধ্যে একটি হচ্ছে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যে মেরুকরণ হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ কী ভূমিকা নেবে। অভ্যন্তরীণভাবে নাগরিকদের অধিকারের প্রশ্ন, শ্রমিকদের অধিকারের প্রশ্ন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্ন, এগুলোতে মতপার্থক্য আছে, দুই পক্ষের মধ্যে অস্বস্তি আছে।     

প্রশ্ন : দেশে একই সঙ্গে ব্যাপক দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হচ্ছে। উন্নয়নের এমন বিপরীত চিত্র নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

- গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ব্যাপকতা বৃদ্ধিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যে ধরনের উন্নয়ন নীতি এবং কৌশল অনুসরণ করা হয়েছে তার অবশ্যম্ভাবী ফল হচ্ছে এ পরিস্থিতি। ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’-এর চর্চায় দুর্নীতি হবেই। এটাই তো নীতি। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সুবিধা পাবে। মেগা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে গ্রামের রাস্তা তৈরি পর্যন্ত এসব অবকাঠামো প্রকল্প, স্বাস্থ্য খাত, আমদানি-রপ্তানি, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট সবকিছুই হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের সমর্থনে, তাঁদের লোকজন দিয়ে। এরাই ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার ভিত্তি। এঁদের সুবিধা না দিয়ে ক্ষমতাসীন দল টিকবে কী করে? আর এ ব্যবস্থার পেছনে আছে জবাবদিহিতাহীন শাসন। নির্বাচনের নামে ২০১৪ থেকে কী হচ্ছে সেটা তো দেখছেন। এর বাইরে যে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকতে পারত, সিভিল সোসাইটি, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম- সেগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তরা জানেন তাঁরা দায়মুক্তি পেয়েই আছেন।

প্রশ্ন : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনের বিষয়গুলোসহ সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের যে যোগসূত্র, তা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ কী?

- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে যে ধরনের ইতিবাচক ধারণা ছিল, গত এক বছরে তাতে পরিবর্তন এসেছে। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে যেসব ব্যত্যয় আছে সেগুলো এখন অনেক বেশি আলোচিত। গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বাংলাদেশবিষয়ক প্রতিবেদনগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। আগে যেভাবে এই প্রবৃদ্ধিকে এককভাবে প্রাধান্য দেওয়া হতো এখন সেখানে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের একটা বড় ভিকটিম যে বাংলাদেশ সেটা কমবেশি সবার জানা। যে কারণে এ নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ গুরুত্ব পাচ্ছে, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তহবিলে বাংলাদেশের বরাদ্দ নিশ্চিত থাকছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে এখন আর খুব বেশি আলোচিত নয়। সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয় উল্লিখিত হচ্ছে। বাংলাদেশও যে এ বিষয়ে কথা বলছে তা নয়।

প্রশ্ন : আপনি সাংবাদিকতার ছাত্র-শিক্ষক। নিজে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্তও ছিলেন। আজকের বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে কী বলবেন? সারা বিশ্বের সাংবাদিকতা থেকে আমরা কতটুকু এগিয়ে বা পিছিয়ে আছি?

- বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। স্বাধীন এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এখন প্রায় অনুপস্থিত হয়ে গেছে। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে গণমাধ্যমগুলো ক্রমাগতভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমি সারা বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করার দরকার মনে করি না। দেড় দশক, এমনকি এক দশক আগেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো গণমাধ্যমের, সাংবাদিকদের এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় যে ভূমিকা পালন করত এখন তা পালন করে না। এর কারণ তিনটি। প্রথমত, সামগ্রিকভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সীমিত হয়ে আসা, নাগরিকদের অধিকার যেখানে সীমিত সেখানে সাংবাদিকতা স্বাধীন হতে পারে না। আইনি ও আইনবহির্ভূতভাবে সরকার বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। দ্বিতীয়ত, মালিকানার ধরনে বড় ধরনের পরিবর্তন; এখন গণমাধ্যমের মালিকানা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের হাতে কুক্ষিগত হয়েছে, যারা তাঁদের অন্যান্য বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে এবং ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সখ্যের জন্য ব্যবহার করেন। তৃতীয়ত, সাংবাদিকরা দলের পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে গেছেন, তাঁরা দলের কাছ থেকে সুবিধাকেই প্রাপ্তি বলে বিবেচনা করেন, তাঁদের দায়িত্ব পালন করলেন কি না সে বিষয়ে চিন্তিত নন। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির জন্যই নিবেদিত থাকেন।

প্রশ্ন : ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্র : অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ’- এই শিরোনামে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।

- এ বিষয়ে সংক্ষেপে বলা দুরূহ। তবে যেটা সহজেই দৃশ্যমান তা হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে একাধিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল, ১৯৯১ এবং ২০০৯ সালে সেগুলো বাস্তব রূপ নেয়নি। তার অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যারাই ক্ষমতায় গেছেন তারাই তাঁদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার চেষ্টা করেছেন। তদুপরি গণতন্ত্রচর্চার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি সেগুলো তৈরি বা শক্তিশালী করা হয়নি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বদলে দল এবং ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এ চেষ্টা করা হয়েছে শক্তির মাধ্যমে এবং সাংবিধানিকভাবেও। এসব সত্ত্বেও এক ধরনের ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র চালু ছিল, যাত্রামুখটা ছিল সামনের দিকে। ২০১১ সালের পর থেকে সেই যাত্রা পশ্চাদ্মুখী হয়েছে, স্বৈরাচারীকরণ হয়েছে; এখন দেশ কেবল কার্যত একদলীয় শাসন নয়, ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনের যুগে প্রবেশ করেছে। তবে রাজনীতিতে কিছুই নিয়তি নয়, কেনো শাসনব্যবস্থাই অপরিবর্তনীয় নয়।

এই বিভাগের আরও খবর
একই সুতোয় গাঁথা
একই সুতোয় গাঁথা
বড় হওয়া ঐচ্ছিক
বড় হওয়া ঐচ্ছিক
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
বিশ্ব সিনেমায় এখন মূলধারা বাণিজ্যিক ধারা বলে কিছু নেই
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরিতে কাজ করে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
সাংবাদিকরা তাদের পেশা থেকে কতটা দূরে
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন!
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
অনলাইন ও ফেসবুকের যুগে প্রিন্ট সংস্করণে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
প্রিন্ট পত্রিকার দিন ফুরিয়ে যায়নি
সর্বশেষ খবর
মৌলভীবাজারে মাদক সেবনের দায়ে ৬ জনের কারাদণ্ড
মৌলভীবাজারে মাদক সেবনের দায়ে ৬ জনের কারাদণ্ড

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

গিলের ২৬৯ রানের মহাকাব্য, অধিনায়ক হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ টেস্ট রান
গিলের ২৬৯ রানের মহাকাব্য, অধিনায়ক হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ টেস্ট রান

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দিবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দিবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে নতুন যে তথ্য দিল র‌্যাব
মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে নতুন যে তথ্য দিল র‌্যাব

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭
সিরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, ৭ নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, ৭ নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে জামায়াতের জনসভা আজ
রংপুরে জামায়াতের জনসভা আজ

৪১ মিনিট আগে | রাজনীতি

ফিনল্যান্ডে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, গ্রেফতার ১
ফিনল্যান্ডে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, গ্রেফতার ১

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি
কুমিল্লায় বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রতিদিন ৪০ আত্মহত্যা: চামড়া ও চেহারার যুদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ায়
প্রতিদিন ৪০ আত্মহত্যা: চামড়া ও চেহারার যুদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ায়

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাজধানীতে ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম
রাজধানীতে ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ
ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্লোরিডায় ২শ’ মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন
ফ্লোরিডায় ২শ’ মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন নয়, আমিরাতও নয়- তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া!
চীন নয়, আমিরাতও নয়- তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় গণহত্যায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল
গাজায় গণহত্যায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক হেলপারের মৃত্যু, আহত ট্রাক চালক
গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক হেলপারের মৃত্যু, আহত ট্রাক চালক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের ওয়েবস্টার-ক্যারের লড়াই, তবু প্রথম দিনে অলআউট অস্ট্রেলিয়া
ফের ওয়েবস্টার-ক্যারের লড়াই, তবু প্রথম দিনে অলআউট অস্ট্রেলিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৮ অস্কারজয়ী স্টুডিও এক ছবিতে,  বাজেট শুনে প্রোডিউসাররাও অবাক
৮ অস্কারজয়ী স্টুডিও এক ছবিতে,  বাজেট শুনে প্রোডিউসাররাও অবাক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আকাশসীমা খুলে দিল ইরান
আকাশসীমা খুলে দিল ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্ষমা চাইলেন পরেশ’
‘ক্ষমা চাইলেন পরেশ’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বর্ণ-নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
স্বর্ণ-নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসপাতালে স্বস্তিকা
হাসপাতালে স্বস্তিকা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে ১৫ কেজি গাঁজা ফেলে পালাল মাদক কারবারী
ফেনীতে ১৫ কেজি গাঁজা ফেলে পালাল মাদক কারবারী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার
মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!
স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী
পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত
রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!
এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি
প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?
ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?
পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের
পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব ধরনের সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা রাশিয়ার
সব ধরনের সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা রাশিয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনকে সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন নয় : ফখরুল
নির্বাচনকে সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন নয় : ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন নেতানিয়াহুর ছেলে
যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন নেতানিয়াহুর ছেলে

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
দেশের প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কঙ্গনার দাবি: ‘অশ্লীল ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজেরটাও’
কঙ্গনার দাবি: ‘অশ্লীল ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজেরটাও’

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ইয়েমেনে হামলার হুমকি দিলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
এবার ইয়েমেনে হামলার হুমকি দিলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোতার মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোতার মৃত্যু

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রথম পৃষ্ঠা

আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ
আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর
কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নগর জীবন

এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে
এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ
স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২
সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

প্রথম পৃষ্ঠা

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু

সাহিত্য

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম