২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:০৭

খিরা চাষে দুই মাসে লাখ টাকা আয়

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ (সিলেট)

খিরা চাষে দুই মাসে লাখ টাকা আয়

স্বল্প সময় আর অল্প পুঁজিতে খিরা চাষে দুই মাসে লাখ টাকা আয় করেছেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। এবার খিরা চাষে বাজিমাত করেছেন তারা। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বির্স্তীণ মাঠে প্রায় ৪৬ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে খিরা। সবচে বেশি হয়েছে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নে। 

কৃষকরা মধুমতি, মল্লিকা, রায়হান ও ইস্পানি জাতের খিরা চাষে লাভবান হয়েছেন বেশি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এগুলো বিক্রি হচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে।

সরেজমিন বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উলুখারা হাওরে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দু’ধারে হেক্টরের পর হেক্টর ভূমিতে হয়েছে খিরার চাষ। এসময় চাষিরা ক্ষেত থেকে তুলে রাখছিলেন খিরার স্তুপ। কেউ বাছাই শেষে করছিলেন বস্তাবন্দি। অন্যরা কাঁধে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন সড়ক পর্যন্ত। পোকা দমনে কেউ কেউ ক্ষেতে ব্যবহার করছেন কীটনাশক। কেউ সেচ দিচ্ছেন। কাজ শেষে আবার বিশ্রাম নিচ্ছেন নিজ নিজ অস্থায়ী তাবুতে। হাওর জুড়ে চোখে পড়ে খিরা চাষীদের কর্মযজ্ঞ। 

এ সময় কথা হয় স্থানীয় গৌরিনাথপুর গ্রামের কৃষক সালেহ আহমদ (৩৫)’র সাথে। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে কষি পেশায় সম্পৃক্ত রয়েছেন তিনি। উলুখারা হাওরে প্রতি বছরই চাষ করেন খিরা। এবারও চাষ করেছেন ১০ বিঘা জমি। অগ্রহায়ন মাসের শেষের দিকে ক্ষেত তৈরি করে বপন করা হয় বীজ। নিয়মিত পরিচর্যার দেড় মাসের মাথায় শুরু হয় ফলন। বিক্রি করা যায় পুরো এক মাস। প্রতিটি গাছে আসে প্রায় ৫ কেজি করে ফলন। এ বিঘা থেকে উত্তোলন করা যায় ২৫ মন। প্রথম দিকে খিরার ভালো দাম পাওয়া যায়। পরে পাইকারি বাজারে ৮শ থেকে ১২শ টাকায় বিক্রি হয় এক মন খিরা। দুই মাসে খরচ বাদে প্রায় লাখ টাকা মুনাফা আসে আমাদের। 

বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মালিক জানান, প্রতি বছরই বালাগঞ্জের কৃষকরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে খিরা চাষ করেন। এবং এ থেকে তারা ভালো মুনাফাও করে থাকেন।   

এ বিষয়ে কথা হলে বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, আমরা সব সময় কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও বিভিন্ন সরকারি সহায়তা দিয়ে আসছি। উপজেলায় খিরাই সব থেকে বেশি চাষ হয়। এ সবজি চাষে এবার উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।  


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর