১৯ মে, ২০২৪ ০৮:৫২

আমের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আমের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

ফাইল ছবি

রাজশাহীর আমের উৎপাদন নিয়ে বাগানি, চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা কেউই হিসাব মেলাতে পারছেন না। এ কারণে লাভ প্রত্যাশার পাশাপাশি কাজ করছে শঙ্কা। কারণ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মুকুল, গুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছে গাছে আমের সংখ্যা কম হয়েছে। তারপরও শেষ পর্যন্ত দেখার অপেক্ষা করছেন চাষিরা। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজশাহীজুড়ে এবার আম উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা আছে। এমনিতেই গাছে মুকুল এসেছিল কম। যেসব মুকুল এসেছিল, সেগুলো থেকে গুটিও এসেছে কম। ঠিক সময়ে বৃষ্টির বদলে ছিল গরম। এতে ঝরে পড়েছে গুটি। তবে গাছে এখন যে আম আছে, সেগুলো আকারে বড়। এতেই আশায় স্বপ্ন বাঁধছেন বাগানিরা। 

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। এসব গাছ থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। গত বছর আম বিক্রি থেকে চাষিদের আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। এবার সে হিসাব নিয়ে আগেই মন্তব্য করতে চান না কৃষি কর্মকর্তারা। 

বাঘার আম বাগানের মালিক আবদুল কাদের বলেন, ‘উৎপাদন নিয়ে আশাবাদী নই। কারণ মুকুল কম। গুটিও ছিল কম। এখন যদি ঝরে পড়ে তাহলে আশাবাদী হওয়ার কী আছে। প্রকৃতি যদি সহায় হয়, তবে হয়তো হতাশা কাটবে। শেষ সময়ে এসে আমের আকার দেখে কিছুটা ভরসা পাচ্ছি।’ 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আমের অফ ইয়ার ও অন ইয়ার বলে একটা বিষয় প্রচলিত আছে। বড় গাছগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি দেখা যায়। গত বছর যেহেতু ফলন বেশি হয়েছিল, এবার কম হবে। তবে ছোট গাছগুলোতে আম মোটামুটি ভালো আছে।’

তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন খুব কম হবে বলে মনে হয় না। আমাদের পর্যবেক্ষণে উৎপাদনের বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ উৎপাদন হবে, তা আগাম বলা ঠিক হবে না।’


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর