সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় শুরু হয়েছে আলু চাষ। মাঠে মাঠে আলুর বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিন্ত সারের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
সোমবার উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আমন চাষিরা ধান কেটে ওই জমি আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এছাড়াও অনেকে জমিতে আলুর বীজও রোপণ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষে অনিহা প্রকাশ করছেন অনেক কৃষক। বিভিন্ন প্রকার সার ও কীটনাশক বেশি দাম হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ইমামপুর ইউনিয়নের কালীপুরা গ্রামের আলু চাষী শাহ আলম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমন ধান কাটার পর ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ শুরু করেছি। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো ফলন পাবো। তবে ব্যবসায়ীরা ১২৫০ টাকা মূল্যের বস্তা ইউরিয়া সার দাম নিচ্ছেন প্রায় ১৭০০ টাকা। শুধু ইউরিয়া সার নয় সব ধরনের সার ও কীটনাশকের দাম তারা বেশি নিচ্ছে।
আরেক আলু চাষী শরীফ হোসেন বলেন, এবছর ২০ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। গত তিনদিন আগে ভবেরচর বাজার থেকে যে মূল্যে সার কিনেছি আজ ওই মূল্য থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সারের দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক আলু রোপন থেকে সরে আসছে।
এবিষয়ে গজারিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল আরাফাতবিন ছিদ্দিক বলেন, আলু চাষের জন্য উপজেলায় ৮টি সারের ডিলার আছে। তাদের নিকট পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোনো সঙ্কট নেই। তবে যদি কোনো সারের ডিলার অনিয়ম কিংবা দাম বেশি নেয়, তা প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল