সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন খান পাঠানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার তার নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা।
উপসচিব আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪৯ ধারা অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত আনসার উদ্দিন খান পাঠানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কর্মে যোগ দেওয়ার আগে অন্য কোনো পেশা, ব্যবসা, আধাসরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক থাকলে তাকে তা পরিত্যাগ করতে হবে।
২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর অবসরে যান আনসার উদ্দিন খান পাঠান। সেই সময় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি।
জুলাই-আগস্টের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা হয়েছে, তার তদন্তের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার। সংস্থাটির প্রধান পদ হচ্ছে কো-অর্ডিনেটর বা সমন্বয়ক পদ। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই পদে কেউ ছিল না। সমন্বয়কের কাজ হলো তদন্ত সংস্থার সার্বিক কাজ তদারকি করা।
ট্রাইব্যুনালের কার্যবিধি অনুসারে, মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য ‘নীতিগতভাবে দায়ী’ তদন্ত সংস্থা। আইনে বলা আছে, তদন্ত সংস্থাকে দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য অন্য যেকোনো কাজ সম্পন্ন করাও সমন্বয়কের দায়িত্ব।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত তদন্ত সংস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো তদন্তের জন্য সমন্বয়ক পদে মো. মাজহারুল হককে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি)।
নিয়োগের প্রায় পাঁচ মাসের মাথায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মাজহারুল হককে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পদায়ন করা হয়। তবে এ প্রজ্ঞাপনে প্রক্রিয়াগত ভুল থাকায় গত ১৯ মার্চ সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
পরের দিনই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলে যোগ দেন তিনি। এরপর থেকেই মূলত তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কের পদটি ফাঁকা ছিল।
বিডি প্রতিদিন/কেএ