ডালে ডালে ঝুলছে বাহারি সব আম। চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামের পরিত্যক্ত ইটভাটার জমিতে গড়ে তোলা বাগানটিতে আছে ৫৭ জাতের বিদেশি আম, এমনটাই দাবি মালিকের। শুধু আম নয়, আছে অসংখ্য প্রজাতির ফল। ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামের এই বাগানের মালিক হেলাল উদ্দিন। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে তাঁর পরিত্যক্ত দুটি ইটভাটার জমি অনাবাদি পড়ে ছিল। চার বছর আগে এই জমিতে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে ফলের চারা রোপণ করেন হেলাল। এখন সেখানে প্রায় ৩ একর জায়গায় তৈরি হয়েছে পুরো একটি বাগান।
বর্তমানে বাগানটিতে রোসারোসা, ভ্যালেন্সিয়া প্রাইড, লেমনজেস্ট, আতাউল্ফ, কারাবাও, আলফানসো, মায়া, হাডেন, সেনসেশনসহ ৫৭টি জাতের আম রয়েছে। সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই আমের চাষ করা হয়। সাইজে বড় বিভিন্ন জাতের রঙিন আম দেশীয় অনেক জাতকে হার মানাচ্ছে। এই বাগান দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। বিদেশি আমের পাশাপাশি বাগানটিতে ১৭ জাতের সাইট্রাস কমলা, ম্যান্ডারিন, মাল্টা, লেবুও দেখা যায়। আছে ২১ ধরনের আঙুর, ১২ প্রজাতির লংগান, ৪ প্রজাতির রাম্বুটান, ৭ ধরনের ড্রাগন ফল, ৪ জাতের লিচু। আরও রয়েছে ৬ জাতের আতা, ৫ জাতের আপেল, ম্যাংগোস্টিন, অ্যাপ্রিকট, করোসল, মাম্মি সাপুটে প্রভৃতির পাশাপাশি পেঁপে, কলা, খেজুর, পেয়ারা, নতুন জাতের বড়ইসহ প্রায় ৩৭ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের গাছ।
বাগানে ঘুরতে আসা মুনতাসিম মাসুক বলেন, এ বাগানে এসে থোকা থোকা বিদেশি আম ঝুলে থাকতে দেখে খুব ভালো লাগছে। ৫৭ জাতের আমের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। বাগানের মালিক হেলাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বের যত নামিদামি ফল আছে, তা নিয়ে কাজ করে আমার ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো। এ বছর বাগানে ৫৭ জাতের বিদেশি আমের মধ্যে ৪৭টি জাতের ফলনে সফলতা পেয়েছি। গত বছর এই বাগান থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। এবার ৮ লাখ টাকার আম বিক্রি করার আশা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই