বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংবাদপত্র ও আগামীর যোগাযোগ

ড. মো. গোলাম রহমান, সম্পাদক, আজকের পত্রিকা, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার

সংবাদপত্র ও আগামীর যোগাযোগ

সংবাদপত্র এখন আর শুধু মুদ্রণের মধ্যেই থেমে থাকছে না, ওয়েবভিত্তিক টেক্সট যেমন থাকছে একই সঙ্গে ভিডিও, ছবি, অডিও সবই আপলোড করা হচ্ছে।  মুদ্রিত সংবাদপত্র তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট যেভাবে চালাচ্ছে একইভাবে টেলিভিশন কিংবা রেডিও তাদের ওয়েবসাইট চালাচ্ছে। তাতে সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন আর তাদের স্ব-স্ব চরিত্রে থাকছে না, সব মিলিয়ে সবই ইলেকট্রনিক মাধ্যম হয়ে যাচ্ছে।

 

সংবাদপত্রের পাঠক কিংবা গণমাধ্যমের পাঠক-শ্রোতা-দর্শক আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এলগোরিদমের কাছে ব্যক্তিসত্তা ভুলে এক ক্রীড়নক হয়ে পড়ছে। তাই সংবাদপত্রের যে অবস্থান, তা মুদ্রিত হোক কিংবা অনলাইন- দুটোকেই আধুনিক চিন্তার আলোকে বিবেচনায় নিতে হবে যে, তারা জনগণের তথ্য ও খবরাখবর জানানোর কাজে কতটা তৎপর থাকবে? নাকি এর বাইরে অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে, বিনোদন প্রদান করবে কিংবা সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে?

সংগত কারণেই আজকাল সংবাদপত্রের আধুনিকায়ন নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা চলছে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় কাগজ আবিষ্কারের কথা চলে আসে, প্রায় দুই হাজার বছর আগে চীনে কাগজ আবিষ্কার হয়েছিল বলা হয়। এই কাগজকে অবলম্বন করে মুদ্রণের বিকাশ হয়েছে, এ ইতিহাস দীর্ঘ। সারা বিশ্বে সভ্যতার ক্রমবিকাশে কাগজের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এদিকে সংবাদপত্রও আরেক অর্থে আমাদের দেশে কাগজ নামেই পরিচিত। সারা বিশ্বে মুদ্রিত সংবাদপত্রের উত্থান সম্প্রতি হয়েছে পতনোন্মুখ। এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এখনো ছাপা পত্রিকা চালু আছে।  বিশ্বে অন্যান্য স্থানে ছাপা পত্রিকার সংখ্যা হ্রাস পেয়ে এই শিল্প হারিয়ে যাওয়ার পথে।

কাগজের ব্যবহার দিন দিন কমে আসছে। পড়ালেখা এবং অফিস-আদালতেও কাগজের ব্যবহার সীমিত হয়ে আসছে স্বাভাবিকভাবে। ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহারের ব্যাপকতা এবং কাগজহীন সমাজের হাতছানি অস্বীকার করার উপায় নেই। জীবন প্রবহমান, আধুনিক প্রযুক্তির আগমন ও সম্ভাবনা আমাদের জীবনযাপনের অনুষঙ্গ। তাই, সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজকাল ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করেই আমাদের চলতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামোগত পরিবর্তন এবং আমদের মানসিক চিন্তা-চেতনার নতুন যাত্রা সার্বিক অর্থে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন। না পিছে তাকানো, না থেমে যাওয়া- কোনোটারই অবকাশ নেই। আমাদের দৃষ্টি এখন শুধুই দিগন্তপ্রসারী এবং ঊর্ধ্বগামী। ইন্টারনেট ও অনলাইনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক গণমাধ্যমের কর্মপদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে ব্যাপকভাবে এবং বিষয়বস্তু বা কনটেন্টের পরিবর্তন ঘটছে একই সঙ্গে।

সংবাদপত্র এখন আর শুধু মুদ্রণের মধ্যেই থেমে থাকছে না, ওয়েবভিত্তিক টেক্সট যেমন থাকছে একই সঙ্গে ভিডিও, ছবি, অডিও সবই আপলোড করা হচ্ছে। মুদ্রিত সংবাদপত্র তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট যেভাবে চালাচ্ছে একইভাবে টেলিভিশন কিংবা রেডিও তাদের ওয়েবসাইট চালাচ্ছে। তাতে সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন আর তাদের স্ব-স্ব চরিত্রে থাকছে না, সব মিলিয়ে সবই ইলেকট্রনিক মাধ্যম হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু আজকে কম-বেশি সবাই অনলাইনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। তাই অনলাইনের গতি-প্রকৃতির সঙ্গে ব্যবহারকারীদের মন-মানসিকতার সমন্বয় সাধনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কখনো কখনো নানাবিধ কনটেন্ট একই গতিতে আপলোড ও ডাউনলোড করার সমন্বয়ের সমস্যাকে সমীকরণের চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে এই প্রচেষ্টায় আমরা কি পিছিয়ে? আমরা প্রযুক্তির আধুনিকতাকে সম্মোহনের মতো গিলছি। কতটা আমাদের জীবনবোধ ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে করতে পারছি আর কতটুকু গিলতে না পেরে তা প্রত্যাখ্যান করছি তা বিবেচনা করে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। এই তাগিদ মিটাতে নতুন কনটেন্টের সন্ধানে সাংবাদিকরা হয়রান হচ্ছেন। একই সঙ্গে সংবাদপত্র, ভিডিও, ছবি সবকিছু প্রায় সমান তালে আপলোড করা হচ্ছে। সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশন আর আগের মতো নিজস্ব মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকছে না।  ইদানীং রেডিও, টিভি, সংবাদপত্র কিংবা কোনো ওয়েব পোর্টাল- সবাই সব ধরনের কনটেন্ট আপলোড করছে। কোনো মিডিয়ারই নিজস্ব ধারায় অনন্য থাকার অবস্থাটি আর থাকছে না। বিশ্বে লক্ষ্য করা যায় একই ট্রেন্ড, একই মানসিকতায় যেন আমরা প্রকৃত বিশ্বনাগরিক।

সামাজিক মাধ্যম বা নিউ মিডিয়ার যে দোর্দ- প্রতাপ, তা ভালো মন্দের বিবেচনায় না রেখে ব্যবহারকারীদের মগ্নতা এবং তাদের এনগেইজমেন্টের বিষয়টিকে আজকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন। সামাজিক মাধ্যম যেভাবে মানুষের মনোজগতের ওপর দখল নিয়েছে এবং গভীর প্রভাব ফেলছে তাতে এখন যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো কনটেন্টের বৈচিত্র্য ও ইন্টার‌্যাক্টিভ কনটেন্টের ওপর জোর দিচ্ছে।  তাতে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা সফলতার মুখ দেখছে।

গণমাধ্যমের ব্যবসায়িক সাফল্য অবশ্যই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতেই পারে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমের ওপর মানুষের যে ঝোঁক তৈরি হয়েছে এবং তাদের ধীরে ধীরে ব্যক্তিসত্তা বলে কিছু থাকছে না, বরং সামাজিক মাধ্যমের মধ্যে নিজেকে সমর্পিত করে এক আলাদা ভুবনে নিমজ্জিত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও এলগরিদমের ক্রীড়নক হয়ে সে তার নিজের কাজকর্ম ভুলে যাচ্ছে, নিজের কাজকর্মের দায়বদ্ধতার প্রতি উদাসীন হচ্ছে, পড়াশোনা বা পেশার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছে, ব্যক্তি-মান উন্নয়নের প্রতি খেয়াল করতে পাচ্ছে না, পরিবার কিংবা সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা হেলাফেলায় অস্বীকার করছে। ব্যক্তিস্বাধীনতা ও নিজের অধিকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও এলগরিদমের দাসে পরিণত হচ্ছে। সমাজ ও দেশের প্রতি নাগরিক অধিকার বাস্তবায়নের যে ভূমিকা তা-ও কার্যকর করা যাচ্ছে না। সমাজ যেন বৃত্তাবস্থায় তার নিজের একটি বলয় তৈরি করে ফেলছে যেখানে সময়ের গতিময়তায় নতুন নতুন সৃষ্টি এবং সৃজনশীলতার স্বাক্ষর না রেখে সে নিজেই একটি স্থবির সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করছে। অবশ্য সবাই এই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেবে না। ব্যতিক্রম তো আছেই।   

নিউ মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে তার অডিয়েন্সকে নানা ধরনের সার্ভিস দিচ্ছে। সেবা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সন্তুষ্টি প্রদান করা এবং তার বিনিময়ে তার মূল্যমান আদায় করে ব্যবসা নিশ্চিত করছে। নারী-পুরুষের বিভিন্ন বয়স, পেশা, নেশা, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন এসব প্রবণতা সার্বক্ষণিক ট্র্যাক করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও এলগরিদম কাজ করে এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যে সামাজিক মাধ্যমে লেগে থাকা প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব কিংবা গোপনীয় কিছু আর অবশিষ্ট থাকছে না।

ব্যবহারকারীর মনের অভ্যন্তরে এসে এক জাদুকরী ডিমান্ড তৈরি করছে, যা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হিসেবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাকে প্রলোভন দেখিয়ে সরবরাহ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে মানুষের মনের কথা প্রকাশ কিংবা কারও সঙ্গে শেয়ার করার এত বেশি সুযোগ ছিল না। গণমাধ্যমে কনটেন্ট পরিবেশনকারী নির্দিষ্টসংখ্যক সাংবাদিক/লেখক/শিল্পীর মধ্যে তাদের যোগাযোগ সীমিত ছিল। সাংবাদিক তথা অন্যরা যা ভালো মনে করেন শুধু তাই উপস্থাপন করেন, কালেভদ্রে দু-একজন দর্শক-শ্রোতা, পাঠক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চিঠি লিখে বা ফোন করে তাদের মতামত জানায়।

ইন্টারনেট এবং আধুনিক প্রযুক্তি সব সীমারেখা পেরিয়ে ‘মাল্টিডিরেকশনাল’ বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করে। কোনো ব্যক্তি যে কোনো স্থান থেকে বিশ্বের অন্য যে কোনো প্রান্তে তার মনের কথা ব্যক্ত কিংবা মতপ্রকাশ করে চলেছে তার পরিচিত কিংবা অপরিচিত মানুষের কাছে। কখনো কখনো সেগুলো শুধু মতামত নয়, প্রেরণাদায়ক এবং সচেতনতামূলক কিংবা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক। কখনো আবার নিরেট বিনোদনধর্মী। বিনোদন কিংবা নির্মল আনন্দ প্রদানের জন্য সামাজিক মাধ্যম যথেষ্ট অবদান রাখছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও ব্যবহার নিশ্চিতভাবে মানুষকে সুন্দর সময় কাটানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। শিক্ষামূলক ও গবেষণালব্ধ অনেক তথ্য খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে। এসবের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে সমাজ-প্রগতির ধারা যেমন অব্যাহত থাকে তেমন ব্যক্তিজীবনও অনেক কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয়। এদিকে চ্যালেঞ্জ থেকে যায় যে, একজন ব্যক্তি ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যবহারে নিজেকে কীভাবে পরিচালনা করে। অনেক ক্ষেত্রেই সময়ের অপব্যবহার, প্রযুক্তির এ সম্ভাবনাকে হালকা বিনোদন কিংবা দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবহারের কারণে তার মেধা-মনন-সময় এসব কিছুর অপব্যবহারই হয়। রাতজাগা থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবনের অনিয়ম চূড়ান্ত অধঃপতনের দিকে ধাবিত হয়। অসতর্ক এবং বিশৃঙ্খল জীবনাচার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। ব্যক্তিজীবনের নিয়ন্ত্রণ কিংবা শৃঙ্খলাবোধ পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনধারাকে হুমকির মুখোমুখি করে তোলে। (আমার লেখা, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৬ মার্চ ২০২০ দ্রষ্টব্য)।

যে কোনো গণমাধ্যমকে সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে, তা পত্রিকা হোক, টিভি হোক বা রেডিও হোক। একই সঙ্গে এসব গণমাধ্যম ও আজকাল দর্শক-শ্রোতা হারাচ্ছে। অনলাইনের জয়জয়কার অব্যাহত গতিতে চলছে, চলবেও। তাহলে মুদ্রিত সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ কী? এশিয়ার দেশগুলোতে এখনো মুদ্রিত সংবাদপত্রের ব্যবহার বিদ্যমান, একই সঙ্গে অনলাইনে পাঠকের সংখ্যা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সহাবস্থান হয়তো আরও কয়েক বছর চলবে। অডিয়েন্সের এই মিশ্র আচরণ হয়তো গণমাধ্যম পেশাজীবীদের নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে। কর্মরত সাংবাদিকরা কনটেন্ট তৈরিতে নতুন থেকে নতুনতর বিষয়াবলি ও আঙ্গিকগত পরিবর্তন নিয়ে আবির্ভূত হবেন। শুধু ঘটনা বা ইভেন্ট কাভার করে সাংবাদিকদের আর দিন চলবে না। যে যত নতুন বিষয়কে নতুন করে তুলে ধরতে পারবেন কিংবা বিনোদনধর্মী বিষয়আশয়কে প্রাধান্য দিয়ে পাঠক আকর্ষণ করতে পারবেন তাদের জন্যই ভবিষ্যৎ। সংবাদপত্র হয়তো পাঠকদের প্ল্যাটফরম হিসেবে এক অনন্য সাধারণ ফোরাম হয়ে গড়ে উঠবে। হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক ও আদর্শিকভাবে পাঠক সাধারণ একত্রিত হয়ে কণ্ঠস্বর উচ্চকিত করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অনেক ক্ষেত্রে জনগণের অনাগ্রহ এমন অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে বলে একটি ধারা গড়ে উঠতে পারে। এটি আমার একান্তই নিজস্ব ভাবনা। ভবিষ্যৎই এর জবাব দেবে। আবার এই ধারার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমের গভীর মেলবন্ধনও তৈরি হতে পারে। প্রতিটি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের আজকাল অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমের মধ্যে গভীর প্রণয় বা ভাব লক্ষ্য করা যায়।    

সারা দেশে প্রচুর পত্রপত্রিকা বের হয়, অনেক ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ করে টেলিভিশন, এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইন মিডিয়া চালু আছে। সাংবাদিকতায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সাংবাদিকরা এসব মিডিয়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের নাগরিক সুবিধার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটকে তারা নিজেদের ভালো-মন্দের জন্য বা তাদের পেশার জন্য ব্যবহার করতে চান, এসব সুবিধা নিতে তাদের সহায়তা দেওয়া কিংবা আইনি সহযোগিতা করা প্রয়োজন আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখি, নতুন প্রযুক্তি কিংবা ইন্টারনেট যে গতিতে ধাবিত হয়েছে তাতে সংশ্লিষ্ট প্রচলিত আইনগুলো জনগণের পক্ষে না গিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের নাজেহাল করার কাজে এবং ব্যক্তি রোষের পর্যায়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি কখনো কাম্য নয়।  তথ্যভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজ উদার গণমাধ্যম নীতি অপরিহার্য। গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত রাখতে মুদ্রিত সংবাদপত্রের আধুনিক ভূমিকা এবং প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটবান্ধব আইন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।  সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি সমাজের যে দায়বদ্ধতা সেখানে সংবাদপত্রের অভিনবত্ব ও আধুনিক ব্যবহার নতুন সমাজ গড়ার পক্ষে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

সর্বশেষ খবর