শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

নিরঞ্জন পাল

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রাঙ্গনে অগ্রণী এক বাঙালি

অনুপম হায়াৎ, লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক
প্রিন্ট ভার্সন
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রাঙ্গনে অগ্রণী এক বাঙালি

উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রশিল্পের আবির্ভাব পর্বে হীরালাল সেন (১৮৬৬-১৯১৭) থেকে শুরু করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তর পরিবেশে সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২) পর্যন্ত যে ইতিহাস, তা বাঙালির দানেই গৌরবান্বিত হয়েছে।  কলকাতা, মুম্বাই, লাহোর, লন্ডন, মিউনিখ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের ইতিহাস দেশীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে বাঙালির দানে।  বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষণীয় যে, বিশ্ব চলচ্চিত্রের অগ্রণী-দেশ ব্রিটেনকে নিতে হয়েছিল একজন বাঙালির প্রতিভার সাহায্য। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই কৃতী বাঙালি হলেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের পইল গ্রামের নিরঞ্জন পাল (১৮৮৯-১৯৫৯)। অবশ্য জন্মেছিলেন তিনি কলকাতায় ১৮৮৯ সালের ১৭ আগস্ট। আর মৃত্যুবরণ করেন ১৯৫৯ সালের ৯ নভেম্বর।

চলচ্চিত্র আবিষ্কারে কোনো বাঙালির কৃতিত্ব ইতিহাসে না পাওয়া গেলেও সেই নির্বাক ও সবাক পর্বেই যে দুজন বাঙালির মেধা-মনন-শ্রমে সমৃদ্ধ হয়েছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রাঙ্গন, এদের মধ্যে নিরঞ্জন পাল ছাড়াও আরেক কৃতী বাঙালি হচ্ছেন মানিকগঞ্জের হিমাংশু রায় (১৮৯২-১৯৪০)। নিরঞ্জন পালের অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে ব্রিটেন, জার্মানি ও ভারতীয় উপমহাদেশের চলচ্চিত্রজগৎ।  তিনি কাজ করেছেন বহু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, তারকা ও কুশলীর সঙ্গে। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় ছিল তাঁর সৃজনশীল দক্ষতা। তিনি বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, জার্মান ভাষায় ছিলেন সুদক্ষ।

বংশ ও পরিবার

ভারতীয় উপমহাদেশের এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্ম নিরঞ্জন পালের। তাঁর বংশ পাল গোত্র হিসেবে পরিচিত। নিরঞ্জন পালের বংশ ও পরিবার উপমহাদেশের রাজনীতি, সাংবাদিকতা, ব্রতচারী আন্দোলন, প্রশাসন, আইন পেশা, শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কৃতিত্বের দাবিদার। তাঁর দাদা রামচন্দ্র পাল ছিলেন ঢাকার সাব জজ কোর্টের পেশকার। পরে তিনি আইন পাস করে ঢাকা ও সিলেটে আইন পেশা শুরু করেন এবং মুনসেফ হন। মুনসেফ হিসেবে তিনি যশোর ও বরিশালে দায়িত্ব পালন করেন।

নিরঞ্জন পালের বাবা বিপিন চন্দ্র পাল (১৮৫৮-১৯৩২) ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সুবক্তা, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি সম্পাদনা করেন সাপ্তাহিক নিউ ইন্ডিয়া, দৈনিক বন্দে মাতরম, স্বরাজ (লন্ডন), ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট (লন্ডন), পরিদর্শক হিন্দু রিভিউ, ডেমোক্র্যাট, ইনডিপেনডেন্ট, বেঙ্গলী প্রভৃতি পত্রপত্রিকা। এ ছাড়া লিখেছেন অনেক গ্রন্থ। বিপিন পালের বড় ছেলে জ্ঞানরঞ্জন পাল (?-১৯৭৯) ছিলেন লেখক-সাংবাদিক। আর ছোট ছেলে হলেন নিরঞ্জন পাল। বিপিন পালের ছোট মেয়ের জামাই বিপ্লবী ও ব্রতচারী আন্দোলনের প্রবর্তক কুমিল্লার উল্লাস কর দত্ত। নিরঞ্জনের মায়ের নাম নৃত্যকালী। বিপিন পাল বিধবা নৃত্যকালীকে বিয়ে করে সে যুগে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। এমন কীর্তিমান পরিবারের সন্তান ছিলেন নিরঞ্জন পাল। নিরঞ্জন পালের স্ত্রী ব্রিটিশ রমণী লিলি। তাদের ছেলে কলিন পাল (?-২০০৫) ছিলেন মুম্বাইয়ের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সাংবাদিক। কলিন পালের ছেলে দীপ পাল মুম্বাইয়ের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র গ্রাহক। দীপ পালের ছেলে জয়জিত পাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

শিক্ষা

নিরঞ্জন পাল লেখাপড়া করেছেন কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশন, লন্ডন ইউনিভার্সিটি ও কিংস কলেজে (চিকিৎসা শিক্ষা)। শৈশব-কৈশোরে তিনি ছিলেন দুরন্ত। বিদেশি শাসকদের প্রতি ছিল তীব্র ঘৃণা। বিপিন চন্দ্র পাল ছেলেকে চিত্তরঞ্জন দাশের কাছে লন্ডনে পাঠান সুশিক্ষার জন্য। ওখানে তিনি উগ্রবাদী রাজনীতিবিদ বিনায়ক দামোদর সভারকর, মদনলাল ধিংড়া প্রমুখের সংশ্রবে আসেন। বিপিন পাল ছিলেন রাজনীতিতে উদারপন্থি। কিন্তু নিরঞ্জন পাল ব্রিটেনে অবস্থানকালে চরমপন্থিদের অনুসারী হয়ে ওঠেন। নিরঞ্জনের আইরিশ বান্ধবীও ছিলেন চরমপন্থি। ১৯০৯ সালে মদনলাল ধিংড়া স্যার উইলিয়াম হুট কার্জন উইলিকে হত্যার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। নিরঞ্জন প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হন।

সংস্কৃতিচর্চা : চলচ্চিত্র ও নাটক

বিপিন পালের পরামর্শে নিরঞ্জন পাল রাজনীতি ছেড়ে ব্রিটেনের শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়েন। নিরঞ্জন লন্ডনের বার্নার্ড শ, ডেভিড গারনেট, ডব্লিউ টি স্টিড, ডয়ারউইকের কাউন্টেশ প্রমুখ বুদ্ধিজীবীর সংস্পর্শে আসেন এবং লন্ডনের নাট্যমঞ্চে জড়িয়ে পড়েন। লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি অনেক চলচ্চিত্র ও নাটক দেখেন। ওইসব ছবি ও নাটকে ভারতীয় এবং রেড ইন্ডিয়ানদের বিকৃত চরিত্রায়ণ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং একসময় নিজেই কাহিনি লিখে বিভিন্ন চিত্রপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে থাকেন। ১৯১৩ সালে নিরঞ্জন পাল বুদ্ধদেবের জীবনী অবলম্বনে কাহিনি লিখে পাঠান ব্রিটেনের দ্য ন্যাচারাল কালার সিনেমাটোগ্রাফ কোম্পানি নামে চিত্রপ্রতিষ্ঠানে। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার চার্লস আরবান (১৮৬৭-১৯৪২) তাঁকে ডেকে নিয়ে নিজের স্টুডিওতে কাজ দেন। ওখানে নিরঞ্জন হাতে-কলমে চলচ্চিত্রবিষয়ক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভ করেন এবং বেতনভুক কুশলী হন।

১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হলে ভারতীয় অ্যাম্বুলেন্স কোরে যোগ দেন নিরঞ্জন পাল। ইতোমধ্যে ব্রিটেনের কেন্ট ফিল্মস কোম্পানি তারই কাহিনি ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে শুরু করে ‘ফেইথ অব এ চাইল্ড’ ছবির কাজ। এটি ছিল ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘতম ছয় রিলের চলচ্চিত্র। এটি ১৯১৬ সালে মুক্তি পায়। এভাবেই কোনো বাঙালির রচিত কাহিনি ও চিত্রনাট্য নিয়ে বিদেশে তৈরি হয় প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি দুই সপ্তাহ ধরে হলে চলে। আর সেই সঙ্গে ভাগ্যের চাকাও খুলে যায় নিরঞ্জনের। প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিচালক রেকস উইলসন তাঁকে এ ফিল্ম কোম্পানিতে আরও কাজ করার সুযোগ দেন।  তিনি ‘ট্রিকস অব ফেট’ নামে চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেন, কিন্তু সর্বস্বান্ত হন। পরে ‘আলিবাবা’ নামে একটি নাটক রচনা করেন। নাটকটি লন্ডনের মঞ্চে বহুদিন অভিনীত হয়। এদিকে তাঁর চিত্রনাট্য নিয়ে প্যাথে ফিল্ম কোম্পানির ব্যানারে তৈরি হয় প্রামাণ্যচিত্র ‘এ ডে ইন অ্যান ইন্ডিয়ান মিলিটারি ডিপো’। তিনি ১৯১৯ সালে কয়েকজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে ‘ব্রিটিশ অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল কোম্পানি’ নামে চিত্রপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ বছর তিনি লিলি নামে এক ব্রিটিশ মেয়েকে বিয়ে করেন। ১৯২২ সালে নিরঞ্জন পাল রচিত ‘গডেস’ নাটক লন্ডনে মঞ্চস্থ হয়ে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এরপর তাঁর লেখা ‘ম্যাজিক ক্রিস্টাল’, ‘হোয়াট এ চেঞ্জ’, ‘হাউস অপোজিট’ নাটকগুলোও লন্ডনের মঞ্চে জনপ্রিয়তা পায়। ঠিক ওই সময় লন্ডনপ্রবাসী মানিকগঞ্জের হিমাংশু রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। পরে নিরঞ্জন-হিমাংশুর বন্ধুত্ব ও যৌথ প্রয়াসে তৈরি হয়েছিল পৃথিবীখ্যাত চলচ্চিত্র ‘লাইট অব এশিয়া’ (১৯২৪) এবং অন্যান্য চলচ্চিত্র। ওদিকে নিরঞ্জন পালের কাহিনি নিয়ে ‘নিডলেস আই’ নামে আরেকটি চিত্রও ব্রিটেনে মুক্তি পায়।

কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকার

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে, নিরঞ্জন পালের কাহিনি ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে তৈরি হয়েছে মার্টিন মরনোটন পরিচালিত ব্রিটেনের ‘দ্য ফেইথ অব চাইল্ড’ (১৯৬৬), ফ্রান্সের প্যাথে কোম্পানি প্রযোজিত প্রামাণ্যচিত্র ‘এ ডে ইন অ্যান ইন্ডিয়ান মিলিটারি ডিপো’ (১৯৬৭)।

ব্রিটেনে বসবাসরত বাঙালির মধ্যে সংস্কৃতিকর্মী হিমাংশু রায় এবং তাঁর বান্ধবী রবীন্দ্রনাথের আত্মীয় দেবিকা রানী চৌধুরীর (১৯০৮-১৯৪৪) সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তাঁরা চলচ্চিত্র বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে যান। ১৯২৩ সালে নিরঞ্জন ওখানকার এমেলকা কনসার্নের চিত্রনাট্য বিভাগে এবং পরে বার্লিনের উফা কোম্পানিতে যোগ দেন। তাঁর পরিচয়ের বিস্তৃতির ফলে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তৈরি চিত্রনাট্য লাইট অব এশিয়া (বুদ্ধদেবের জীবনীভিত্তিক) এমেলকার কাছে বিক্রি করে দেন। এ কাহিনি ও চিত্রনাট্য নিয়ে ১৯২৫ সালে তৈরি হয় ভারত-জার্মানি প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘দ্য লাইট অব এশিয়া’ বা ‘প্রেমসন্ন্যাস’। ভারতের পক্ষে ছবিটি প্রযোজনা করে হিমাংশু রায়ের ‘গ্রেট ইস্টার্ন ফিল্ম করপোশেরন’ এবং জার্মানির ‘এমেলকা কনসার্ন’। ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন জার্মানির ফ্রেঞ্জ অস্টেন (১৮৭৬-১৯৫৬) ও হিমাংশু রায়। এ ছবিতে অভিনয় করেন হিমাংশু রায়, সীতা দেবী, রানী বালা, মধু বসু, প্রফুল্ল রায় প্রমুখ। ছবিটি জার্মানিতে মুক্তি পায় ১৯২৫ সালের ২২ অক্টোবর, লন্ডনে ১৯২৬ সালে এবং আমেরিকায় ১৯২৮ সালে। এ ছবি মুক্তির ফলে নিরঞ্জন পালের খ্যাতি আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। নিরঞ্জন পালের কাহিনি ও চিত্রনাট্য নিয়ে মুক্তি পায় ‘সিরাজ’ (১৯২৮), ‘থ্রো অব ডাইস’ (১৯২৯) নির্বাক চিত্র। ১৯৩১ সালে তাঁর চিত্রনাট্য নিয়ে ব্রিটেনে মুক্তি পায় সবাকচিত্র ‘এ জেন্টলম্যান অব প্যারিস’।

১৯২৯-৩০ সালে নিরঞ্জন পাল মুম্বাই ফিরে এসে হিমাংশু রায়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ‘ইন্দো ইন্টারন্যাশনাল টকিজ-এ’। এ প্রতিষ্ঠানের হিন্দি ও ইংরেজিতে তৈরি ‘কর্ম’ (১৯৩৩)-এর কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকারও তিনি। ১৯৩৪ সালে হিমাংশু রায় ‘বোম্বে টকিজ’ নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানেও নিরঞ্জন পাল যোগ দেন কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর কাহিনি ও চিত্রনাট্য নিয়ে নির্মিত হয় ‘জীবন নাইয়া’ (১৯৩৫), ‘জওয়ানি কি হাওয়া’ (১৯৩৫), ‘প্রেমকাহিনি’, ‘অচ্ছুত কন্যা’, (১৯৩৬), ‘জন্মভূমি’ (১৯৩৬), ‘ইজ্জত’ (১৯৩৭), ‘জীবনপ্রভাত’ (১৯৩৭) ও ‘সাবিত্রী’ (১৯৩৭)। এসব ছবি পরিচালনা করেন জার্মানির ফ্রেঞ্জ অস্টেন। তবে তাঁকে নানাভাবে সহায়তা করেন হিমাংশু রায়, নিরঞ্জন পাল ও দেবিকা রানী। নিরঞ্জন পালের চিত্রনাট্য নিয়ে তৈরি বাংলা চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘শুকতারা’ (১৯৪০), ‘হাতেখড়ি’ (১৯৪০), ‘দ্বিতীয় পথ’ (১৯৪১), ‘চিঠি’ (১৯৪১), ‘রাসপূর্ণিমা’ (১৯৪১), ‘ব্রাহ্মণকন্যা’ (১৯৪২), ‘বিজয়ের জের’ (১৯৪২) প্রভৃতি।

চিত্র পরিচালক

চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে নিরঞ্জন পাল মুম্বাই, কলকাতা ও লাহোরের কাজ করেছেন। তিনি কাহিনিচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, সংবাদচিত্র, প্রচারচিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেছেন। ১৯৩০-এর দশকে মুম্বাই এসে কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনায় জড়িত হন। তাঁর পরিচালনায় লাহোর থেকে ‘ট্রাবলস নেভার কাম এলোন’ (১৯৩০), পুনা থেকে ‘নিডল আই’ (১৯৩১) এবং কলকাতা থেকে ‘পূজারি’ (১৯৩১) ও ‘পরদেশিয়া’ (১৯৩২) এবং ‘এ ফেইথফুল হার্ট’ মুক্তি পায়।

১৯৩৭ সালে তিনি কলকাতায় এসে চা বোর্ড ও অরোরা ফিল্ম করপোরেশনের কয়েকটি খন্ডচিত্র পরিচালনা করেন। অরোরার প্রযোজনায় তিনি ‘হাতেখড়ি’, ‘দ্বিতীয় পাঠ’ ও ‘অন্ধ নাচার’ নামে শিশুচিত্র নির্মাণ করেন। এ ছাড়া নির্মাণ করেন কয়েকটি সংবাদচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র। তেলেগু ভাষায়ও তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ কাহিনিচিত্র নির্মাণ করেন।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তিনি ভারতীয় তথ্যচিত্র বিভাগের অনুরোধে লাহোর গিয়ে কয়েকটি প্রচারচিত্র বানান। এসবের মধ্যে ছিল ‘ইন্ডিয়ান মেন অব লেটার্স’, ‘ইন্ডিয়ান মেন অব ইন্ডাস্ট্রিজ’, ‘ইন্ডিয়ান মেন অব সায়েন্স’। এসব চিত্র সরকারি আমলাতন্ত্রের শিকার হয়। পরে তিনি তথ্যচিত্র দফতরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন প্রতিবাদে।

১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে বাংলায় সরকার গঠিত হয়। সরকার একটি প্রচার দফতর খোলে। এ দফতরের অধীনে নিরঞ্জন পাল কয়েকটি প্রামাণ্য ও প্রচার চিত্র নির্মাণ করেন।  এসব চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘ব্লাড ব্যাংক’, ‘ভিলেজ রিকনস্ট্রাকশন’, ‘ভুলের মাশুল’, ‘মেটারস অব মোমেন্ট’, ‘সেলফ রুল ইন বেঙ্গল’ ইত্যাদি।

উপসংহার

নিরঞ্জন পাল ছিলেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের অধিবাসী। অবিভক্ত বাংলা ও উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের আবির্ভাব ও বিকাশ পর্বে তিনি পথিকৃৎ বাঙালি হিসেবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রাঙ্গনে বহুমুখী অবদান রেখেছেন। তিনি যেমন ব্রিটেনের প্রথম দীর্ঘতম চলচ্চিত্রের কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, জার্মানি-ভারতের যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র লাইট অব এশিয়ার কাহিনিকার-চিত্রনাট্যকার, তেমন বাংলায় প্রথম শিশুচিত্রের পরিচালক এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা সরকারের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাও। নিঃসন্দেহে নিরঞ্জন পাল বাঙালির গর্ব।  তাঁর চলচ্চিত্রকর্ম আমাদের সংগ্রহ ও সংরক্ষণে থাকা যেমন উচিত, তেমনি সেসব চলচ্চিত্র বারবার অবলোকন করে নির্যাস গ্রহণ করা উচিত। এর ফলে আমাদের জ্ঞান, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হবে।

সহায়ক তথ্যপঞ্জি : একাধিক গ্রন্থ ও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
যেসব দেশে হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ কিংবা ব্যবহার সীমিত
যেসব দেশে হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ কিংবা ব্যবহার সীমিত

৫ সেকেন্ড আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে জানাল আবহাওয়া অফিস
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে জানাল আবহাওয়া অফিস

৪১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের ঋণ সহায়তা আজ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ
পাকিস্তানের ঋণ সহায়তা আজ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতে বন্ধ ‘দ্য ওয়ার’ নিউজ পোর্টাল, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ
ভারতে বন্ধ ‘দ্য ওয়ার’ নিউজ পোর্টাল, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু

২৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভিসা বাতিলের সুযোগ পাচ্ছেন হজযাত্রীরা
ভিসা বাতিলের সুযোগ পাচ্ছেন হজযাত্রীরা

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন : ডা. জাহিদ
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন : ডা. জাহিদ

৪৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

'আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে'
'আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে'

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পুলিশের অভিযানে ১৩ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী গ্রেফতার
পুলিশের অভিযানে ১৩ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাতক্ষীরার সীমান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক, সতর্ক বিজিবি
সাতক্ষীরার সীমান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক, সতর্ক বিজিবি

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই স্পিরিটের’ সাথে প্রতারণাকারীরা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে : শিবির সভাপতি
‘জুলাই স্পিরিটের’ সাথে প্রতারণাকারীরা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে : শিবির সভাপতি

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি,  উপদেষ্টা মাহফুজের ‘কয়েকটি কথা’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, উপদেষ্টা মাহফুজের ‘কয়েকটি কথা’

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: মঈন খান
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: মঈন খান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন বিধ্বস্ত : স্থগিত নাহিদদের ম্যাচ
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন বিধ্বস্ত : স্থগিত নাহিদদের ম্যাচ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রথম আমেরিকান পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
প্রথম আমেরিকান পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের গুলিতে ভারতে নিহত ১৬
পাকিস্তানের গুলিতে ভারতে নিহত ১৬

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা