ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। এ ক্যাম্পেইনের মূল আকর্ষণ ছিল বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্ব। এতে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
সোমবার সকাল ১০টায় বসুন্ধরা শুভসংঘ কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হল রুমে এর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ উপজেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক চঞ্চল শাহরিয়ার।
সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কোটচাঁদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসাহক আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক এসএম হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী ইউনূস আলী মোল্লা, প্রেস ক্লাব কোটচাঁদপুরের সভাপতি ও শুভসংঘের কোটচাঁদপুর শাখার উপদেষ্টা কাজী মৃদুল, শুভসংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
ছাত্রীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখে কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নোহনা তাহসিন।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অন্যায়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে তোমাদের সচেতন হতে হবে। তোমাদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে তোমাদের আগে বুঝতে হবে। আর এ কুফল অনুধাবন করতে পারলেই তোমাদের দ্বারা সমাজ উপকৃত হবে, বাল্যবিবাহ ধীরে ধীরে কমে আসবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সারা দেশে সংগঠনটি গণসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অসহায় মানুষের সাহায্যসহ তাদের স্বনির্ভর করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমের দারিদ্র্যদের মাঝে আমরা কম্বল বিতরণ, গরীব ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণসহ ভর্তি ও বই কেনার অর্থও বিতরণ করেছি। আজ শুভসংঘ এসেছে তোমাদের মাঝে। বাল্যবিবাহ সমাজের কত বড় সর্বনাশ ডেকে আনে তা শুভসংঘের বক্তাদের মাধ্যমে বিশদভাবে জানতে পারলে। আমরা চাই এখন থেকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে তোমরাই নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ করতে পারবে ও করবে।
কোটচাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বসুন্ধরা শুভসংঘ কোটচাঁদপুর শাখার উপদেষ্টা কাজী মৃদুল বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমাদের মেয়েদের পড়ালেখা করতে হয়। সামাজিক কুসংস্কার ও দারিদ্র্যসহ নানাবিধ কারণে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর আগেই ছাত্রীরা ঝরে পড়ে। তাদের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বাল্যবিবাহের শিকার হতে হয়। আমাদের সবাইকে সামাজিক সচেতনতা ও সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে নারীদের শিক্ষিত করতে হাতে হাত রেখে কাজ করতে হবে।
বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিজয়ী ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ